চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের সামনে পুলিশের ওপর হামলার অভিযোগে মামলা করা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে পাঁচলাইশ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মোস্তাফিজুর রহমান বাদী হয়ে মামলাটি করেন।
মামলায় মো. মোস্তাকিম নামে একজনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। এ ছাড়াও অজ্ঞাত পরিচয় আরও ৫০ থেকে ৬০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে পাঁচলাইশ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সাদেকুর রহমান জানান, এজাহার জমা হয়েছে। এতে পুলিশের ওপর হামলা ও কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগ আনা হয়েছে।
এর আগে দুপুর ১টার দিকে ডায়ালাইসিস ফি বৃদ্ধির প্রতিবাদে চমেক হাসপাতালের প্রধান ফটকে বিক্ষোভ শুরু করেন কিডনি রোগী ও তাদের স্বজনরা। তারা হাসপাতালের প্রধান ফটকের সামনের সড়ক আটকে বিক্ষোভ করতে থাকেন। কিছুক্ষণ পর ঘটনাস্থলে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা পৌঁছান। পরে পুলিশ তাদেরকে সড়ক ছেড়ে দিয়ে আন্দোলন করতে বললে উভয়পক্ষের মধ্যে বাকবিতণ্ডা এবং সংঘর্ষ হয়। এ ঘটনায় পুলিশের ওপর হামলার অভিযোগে মো. মোস্তাকিম নামের এক বিক্ষোভকারীকে আটক করা হয়।
আসাদুল হক নামে এক রোগী জানান, তারা ফি কমানোর দাবিতে সড়কে অবস্থান নিয়েছিলেন। কিন্তু পুলিশ তাদের মারধর করেছে। তিনি নিজেও পুলিশের মারধরের শিকার হয়েছেন।
পাঁচলাইশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নাজিম উদ্দীন মজুমদারের নেতৃত্বে পুলিশ সড়ক থেকে টেনেহিঁচড়ে রোগী ও স্বজনদের তুলে দেন বলে অভিযোগ করা হচ্ছে। এ সময় কয়েকজনকে কিল ঘুঁষি দেওয়ারও অভিযোগ করেন রোগীরা।
তবে মারধর করার অভিযোগ অস্বীকার করে ওসি মো. নাজিম উদ্দীন মজুমদার সাংবাদিকদের বলেন, এক স্বজন পুলিশের কাজে বাধা দেয়। তাকে আটক করা হয়। রোগীদের মারধর করা হয়নি।
ডায়ালাইসিস ফি কমানোর দাবিতে চার দিন ধরে চট্টগ্রাম মেডিকেলের নিচতলায় স্যানডোর ডায়ালাইসিস প্রাইভেট লিমিটেডের সামনে বিক্ষোভ করে আসছিলেন রোগী ও স্বজনেরা। মঙ্গলবার তারা হাসপাতালের প্রধান ফটকের সামনের কেবি ফজলুল কাদের সড়ক অবরোধ করেন।
জানা গেছে, ভারতের প্রতিষ্ঠান স্যান্ডর চমেক হাসপাতালে কিডনি ডায়ালাইসিস সেন্টার স্থাপন করে। প্রতিষ্ঠানটি এতদিন ধরে সরকারিভাবে প্রতি সেশনে ৫১০ টাকা ও বেসরকারিভাবে ২ হাজার ৭৯৫ টাকা করে নিয়ে আসছিল। কিন্তু এখন সেটা বেড়ে সরকারিভাবে ৫৩৫ টাকা ও বেসরকারিভাবে ২ হাজার ৯৩৫ টাকা হয়েছে। এতে কিডনি রোগীরা আন্দোলনে নামেন।