যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশ সরকারের মালিকানাধীন আর্থিক প্রতিষ্ঠান সোনালী এক্সচেঞ্জ যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসরত প্রবাসী ভাই-বোনদের সুবিধার কথা চিন্তা করে সোনালী ব্যাংকের মাধ্যমে বাংলাদেশে বিকাশ একাউন্টে টাকা পাঠানোর সেবা অনেক আগেই চালু করেছে। বাংলাদেশের শহর-গ্রাম সর্বত্রই ‘বিকাশ’ অর্থ লেনদেনের একটি জনপ্রিয় মাধ্যম। বিদেশ থেকে ব্যাংকের মাধ্যমে প্রেরিত অর্থ বাংলাদেশে বিকাশ এজেন্টের নিকট থেকে নগদ উত্তোলন ব্যবস্থা সম্পূর্ণ বৈধ এবং বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক অনুমোদিত। তাই কিছুদিন আগেই বিকাশের সাথে সোনালী ব্যাংকের এক চুক্তির মাধ্যমে সোনালী ব্যাংকের একটি অঙ্গ প্রতিষ্ঠান হিসেবে সোনালী এক্সচেঞ্জ চালু করেছিল এ সেবা। কিছু কারিগরি সমস্যার কারণে এ সার্ভিস কিছুটা ধীর গতি থাকলেও নতুন বছরের শুরু থেকে প্রায় সব সমস্যা কাটিয়ে সোনালী এক্সচেঞ্জ গ্রাহকদের ভালোভাবেই বিকাশ সার্ভিস দেয়া শুরু করেছে।
ফলে এখন থেকে যে কেউ সোনালী এক্সচেঞ্জে গিয়ে গ্রাহকের নাম এবং বিকাশ একাউন্ট নাম্বার দিয়ে বাংলাদেশে টাকা পাঠাতে পারবেন। এর জন্য সোনালী এক্সচেঞ্জ কোনো সার্ভিস চার্জ নেবে না। আর বিকাশ সার্ভিসের রেটও একই থাকবে। অর্থাৎ গ্রাহক সোনালী এক্সচেঞ্জে গিয়ে বাংলাদেশের ব্যাংক একাউন্টে এবং ক্যাশ পিকআপের মাধ্যমে টাকা পাঠাতে যেমন সর্বোচ্চ রেট পান ঠিক তেমনি বিকাশ সার্ভিসের মাধ্যমে টাকা পাঠালেও সমান এবং সর্বোচ্চ রেট পাবেন। বিকাশের সার্ভিসের মাধ্যমে টাকা পোঁছে যাবে অতি দ্রুত। আর সরকার প্রদত্ত ২.৫% প্রণোদনাও নিশ্চিত পাবে। প্রাপক ব্যাংকে না গিয়েও নিকটবর্তী বিকাশ এজেন্টের থেকে টাকা তুলতে পারবেন বা অন্যান্য লেনদেন করতে পারবেন। প্রতি লেনদেনে প্রেরণের সর্বোচ্চ সীমা টাকা ১,২০,০০০.০০ (পরিবর্তন যোগ্য) ও মাসে সর্ব্বোচ্চ টাকা ৪,০০,০০০.০০ (পরিবর্তন যোগ্য)। এ জন্য প্রাপকের মোবাইল নম্বরটি বিকাশে অবশ্যই রেজিষ্টার্ড হতে হবে। প্রবাসী ভাই-বোনদের সবচেয়ে পুরনো ও বিশ্বস্ত বন্ধু হিসাবে সোনালী এক্সচেঞ্জ এই সার্ভিস দিতে পেরে খুবই আনন্দিত।