কিডনির কাজ হলো, খাবার গ্রহণের পর শরীরে যেসব বর্জ্য পদার্থ জমা হয়, সেগুলো রক্তপ্রবাহ থেকে ছেঁকে মূত্রথলিতে পাঠিয়ে দেওয়া। রক্ত পরিষ্কার করার পর বিশুদ্ধ রক্ত আবার শরীরে সঞ্চালনের জন্য সংশ্লিষ্ট অঙ্গে পাঠানোও কিডনির কাজ। আরও যেসব কাজ করে তা হলো-শরীরের রক্তস্বল্পতার কারণ দূর করা, শরীরের প্রয়োজনীয় উপাদান অ্যাসিডের ভারসাম্য রক্ষা করা (যা শরীরে রক্তের সব উপাদানের কার্যকারিতা বজায় রাখে)। তবে কিডনি অকার্যকর হয়।
এর রয়েছে নানা কারণ। যেমন-রক্তচাপ অনিয়ন্ত্রিত, বহুমূত্র বা ডায়াবেটিস রোগ নিয়ন্ত্রণ করা না হলে, জন্মগত ত্রুটি, ব্যথানাশক ওষুধের অপ্রয়োজনীয় ব্যবহার, মূত্রনালির প্রদাহজনিত সংক্রমণ ইত্যাদি।
অকার্যকারিতার লক্ষণগুলো হলো-উচ্চ রক্তচাপের অনুভূতি, যেমন-মাথা ধরা, ঘাড়ব্যথা, মাথা ঘোরা, খিটখিটে মেজাজ ইত্যাদি; বমির ভাব; তলপেট ও কোমরে ব্যথা; মাথা ঝিমঝিম করা; শারীরিক দুর্বলতার অনুভূতি; নিঃশ্বাস গ্রহণে অসুবিধা; পায়ে ও মুখে পানি জমা হয়ে ফুলে যাওয়া; বারবার প্রস্রাবের বেগ। উপরিল্লিখিত লক্ষণগুলো দেখা গেলে দেরি না করে কিডনি বিশেষজ্ঞ বা অভিজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। রক্তচাপ ও বহুমূত্র রোগ নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে। সুষম খাদ্যাভ্যাস করতে হবে। বিশেষ করে আমিষযুক্ত ও তৈলাক্ত খাবার কম খেতে হবে। নিয়মিত চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। কিডনির কার্যকারিতা পরীক্ষার জন্য রক্ত ও প্রস্রাব নিয়মিত পরীক্ষা করাতে না পারলে বছরে অন্তত একবার পরীক্ষা করানো ভালো।