অভিনেত্রী, মডেল ও উপস্থাপিকা তানজিকা আমিন। দেড় যুগের বেশি সময়ের ক্যারিয়ারে খুব বেশি কাজ করেননি তিনি। তবে স্বল্পসংখ্যক কাজ দিয়েই পেয়েছেন দর্শক পরিচিতি। আজ রাত ৮টা ২০ মিনিটে এনটিভিতে প্রচার হবে তার অভিনীত ধারাবাহিক নাটক ‘শহরবাস’। এই নাটক ও অন্যান্য বিষয়ে কথা হয় তানজিকার সঙ্গে। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন- জাহিদ ভূঁইয়া
‘শহরবাস’ নাটকটি নিয়ে দর্শক প্রতিক্রিয়া কেমন পাচ্ছেন?
পারিবারিক গল্পের নাটক এটি। তবে গৎবাঁধা গল্পের মতো নয়। যেজন্য পরিচিতজনদের পাশাপাশি দর্শকদের কাছ থেকে ভালোই প্রশংসা পাচ্ছি। সোশ্যাল মিডিয়ায় নাটকের ছোট ছোট ক্লিপ ছাড়া হচ্ছে; যা দেখেও অনেকে পুরো নাটক দেখার আগ্রহ পাচ্ছেন। মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপন্যাস অবলম্বনে নাটকটি লিখেছেন মাসুম রেজা, নির্মাণ করেছেন আরিফ খান। প্রতি সপ্তাহের বৃহস্পতি, শুক্র ও শনিবার এটি প্রচার হচ্ছে।
আপনার অভিনীত আরেকটি ধারবাহিক প্রচার হচ্ছে। সেটি প্রসঙ্গে কিছু বলুন…
সাগর জাহান পরিচালিত ‘অনলাইন অফলাইন’ নামের নাটকটি প্রতি সপ্তাহের রবি থেকে বৃহস্পতিবার রাত ৮টায় মাছরাঙা টেলিভিশনে প্রচার হচ্ছে। প্রচার শুরুর পর থেকে এখন পর্যন্ত নাটকটি নিয়ে দর্শক ইতিবাচক প্রতিক্রিয়াই জানাচ্ছেন। পরিবার, সহকর্মী আর বন্ধুবান্ধবরা আলাদা করে আমার অভিনয়ের প্রশংসা করছেন। সবমিলিয়ে ‘অনলাইন অফলাইন’ নিয়ে নিজের ভেতরে অন্যরকম একটা তৃপ্তি কাজ করে।
২০০৪ সালের ‘লাক্স-আনন্দধারা মিস ফটোজেনিক’ প্রতিযোগিতার প্রথম রানারআপ হওয়ার মধ্য দিয়ে মিডিয়ায় পথচলা শুরু। দীর্ঘ এই সময়টাতে খুব বেশি অভিনয় করেননি। সুনির্দিষ্ট কোনো কারণ আছে কি?
কোনো কারণ নেই। আমি একটু ঘরকুনো। নিজের মতো করেই থাকতে পছন্দ করি। তাই আমার সঙ্গে কারও যোগাযোগ সেভাবে হয় না। আবার নতুন যারা নির্মাণে এসেছেন বা আসছেন, তাদের অনেকের সঙ্গে মানিয়ে নেওয়া হয়ে ওঠেনি। এটা আমারই ব্যর্থতা। কারণ নিজেই চেষ্টা করি না। এটা অলসতা নাকি অন্য কোনো কারণে, তা-ও জানি না।
এই বিরতির শুরু কবে থেকে?
বিয়ের পর থেকেই এটা হয়েছে। ডিভোর্সের পরও অনেকটা সময় পর্যন্ত। ২০১১ সালের দিকে তো আমি বিয়ে করলাম। এসব কারণে লম্বা সময় কেটে গেল। বিয়ের পর আমি কিন্তু নিজের ইচ্ছাতেই কাজ কমিয়েছি। তখন বয়স একটু কম ছিল, মনে হতো যে, না করলেও হয়তো চলবে। আমি ২০০৪ সাল থেকে বিনোদন অঙ্গনে কাজ করছি। তখন টানা খ-নাটক ও ধারাবাহিকে অভিনয় করেছি। আমি নিজেকে আরও মেলে ধরতে না পারার কারণ আমিই।
সিনেমায়ও কাজ করেছেন আপনি। সেখানে নতুন কোনো খবর আছে?
ক্যারিয়ারের শুরুতে ‘বকুল ফুলের মালা’ নামের একটি চলচ্চিত্রে অভিনয় করি রিয়াজ ভাইয়ের বিপরীতে। তবে এটি আশানুরূপ সাফল্য পায়নি। ২০১৯ সালের শেষ দিকে মুক্তি পায় ‘গহীনের গান’। অন্য সব বাণিজ্যিক সিনেমা থেকে এটি ছিল একেবারেই আলাদা। এ ধরনের নিরীক্ষাধর্মী কিংবা ভালো গল্পের সিনেমায় কাজের সুযোগ পেলে বড়পর্দায় আবার দেখতে পাবেন। আপাতত নতুন খবর নেই।
কোন ধরনের সিনেমায় কাজের আগ্রহ কাজ করে?
নাচে-গানে ভরপুর সিনেমায় মোটেও কাজ করতে চাই না। কারণ আমার নাচ খুব জঘন্য! গল্পনির্ভর চলচ্চিত্রে অভিনয় করতে চাই। সেই সঙ্গে আমার চরিত্র পছন্দ হতে হবে। নির্মাণ কে করবেন, সেই বিষয়টিও হয়তো দেখব।
সংসারজীবন নিয়ে কি নতুন করে চিন্তাভাবনা করছেন?
বিয়ে করব। বিয়ে করার প্রয়োজনীয়তা অনুভব করছি। আমার মা-বাবা নাতি-নাতনির মুখ দেখার জন্য অস্থির হয়ে যাচ্ছেন। আমি তো তাদের একমাত্র সন্তান, আমার প্রতি তাদের একটা প্রত্যাশাও আছে। আমারও তো জীবনে একজন সঙ্গী দরকার। তবে প্রথম বিয়েতে একটা ধাক্কা খাওয়াতে পরেরটা বুঝেশুনে করতে চাই। যেটাই হোক না কেন, এমন একটা মানুষকে বেছে নিতে চাই- যার সঙ্গে আগামীর সময়টা কাটিয়ে দিতে পারি।