দুই সিটিতে পুনঃনির্বাচনের দাবি জানিয়ে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন,‘আমরা খুব স্পষ্ট করে বলতে চাই, ঢাকা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে জনগণের মতামতের প্রতিফলন ঘটেনি। এ নির্বাচনে জনগণ ভোট দিতে পারেনি। সুতরাং এ নির্বাচনের ফলাফল বাতিল করে পুনরায় নতুন নির্বাচন দিতে হবে। তাই আমরা নতুন নির্বাচনের আহ্বান জানাচ্ছি। সেই সঙ্গে নিরপেক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে নতুন ফলাফল ঘোষণা করতে হবে।’
বুধবার দুপুরের রাজধানীর গুলশানের ইমানুয়েলস কনভেনশন সেন্টারে সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন তিনি। এর আগে ঢাকা দক্ষিণ ও উত্তর সিটি করপোরেশন মেয়র নির্বাচনে বিএনপি মনোনীত দুই প্রার্থী ইশরাক হোসেন এবং তাবিথ আউয়াল ভোটের অনিয়মের নানা চিত্র তুলে ধরেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, আমরা অত্যন্ত স্পষ্টভাবে লক্ষ্য করেছি, নির্বাচন কমিশনের অধীনে জনগণের কোনো আস্থা নেই বলে ভোটারদের উপস্থিতি ছিলো না। আজকে অত্যন্ত ন্যায়সঙ্গতভাবে প্রশ্ন উঠেছে এই ধরনের একটি নির্বাচনে যেখানে প্রকৃতপক্ষে ৭-৯ ভাগের বেশি ভোট পড়েনি সেই নির্বাচনে যারা জয়ী হতে পেরেছেন তাদের আসলে আইনগত যোগ্যতা থাকে কিনা জনগণের প্রতিনিধি হওয়ার?
তিনি আরো বলেন, এটা প্রমাণিত হয় গেছে যে, গত ১০-১২ বছরে যে আওয়ামী লীগের অধীনে কোনো নির্বাচন সুষ্ঠু হয়নি। সেই কারণেই আমরা বারবার বলেছি নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশনের অধীনে নির্বাচন করতে হবে।
মির্জা ফখরুল বলেন, নির্বাচনের প্রকৃত চিত্র আপনাদের সামনে আমাদের দুই প্রার্থী ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেন ও তাবিদ আউয়াল তুলে ধরেছেন। তিনি বলেন, এই সরকার অবৈধভাবে ক্ষমতায় আসার পর থেকে অত্যন্ত সুপরিকল্পিতভাবে নির্বাচন ব্যবস্থাকে সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস করে ফেলেছে এবং গণতন্ত্রের যতগুলো প্রতিষ্ঠান আছে সেগুলো ধ্বংস করে ফেলেছে। এর উদ্দেশ্য একটাই- ১৯৭৫ সালে যে একদলীয় বাকশাল প্রতিষ্ঠা করতে চেয়েও তারা করতে পারেনি এখন ভিন্ন কৌশলে সেই একদলীয় বাকশাল কায়েম করতে চাচ্ছে।
ফখরুল বলেন, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি ছাড়া গণতন্ত্র ফিরবে না। তাই গণতান্ত্রিক আন্দোলনের মধ্য দিয়ে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে হবে।