শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৩:২৪ অপরাহ্ন

বাড়তে পারে শৈত্যপ্রবাহের আওতা, কমবে রাতের তাপমাত্রা

বাংলাদেশ ডেস্ক :
  • আপডেট টাইম : সোমবার, ১৬ জানুয়ারী, ২০২৩
  • ১১০ বার

উত্তরাঞ্চলের চার জেলার ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া শৈত্যপ্রবাহ মাঝারি থেকে মৃদু পর্যায়ে নেমেছে। যদিও শীতে এসব অঞ্চলে জনজীবন এখনো বিপর্যস্ত হয়ে আছে। আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, কিশোরগঞ্জ, নীলফামারী, পঞ্চগড় ও কুড়িগ্রাম জেলায় মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা আরও ছড়িয়ে পড়তে পারে।

সাধারণত ৬ থেকে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে তাপমাত্রাকে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ, ৬ থেকে ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসকে মাঝারি এবং ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কম তাপমাত্রাকে তীব্র শৈত্যপ্রবাহ হিসেবে বিবেচিত হয়। গতকাল রবিবার সকাল ৬টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৮.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায়। সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ২৯.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে কক্সবাজারের টেকনাফে।

মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত দেশের কোথাও কোথাও হালকা থেকে মাঝারি ধরনের কুয়াশা পড়তে পারে এবং দুপুর পর্যন্ত তা অব্যাহত থাকতে পারে। সারাদেশে অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া থাকতে পারে শুষ্ক। সারাদেশে রাতের তাপমাত্রা ১ থেকে ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস কমতে পারে এবং দিনের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে।

পঞ্চগড় প্রতিনিধি জানান, জেলায় তিন সপ্তাহ ধরে তাপমাত্রা ৬ থেকে ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে ওঠানামা করছে। গত শনিবারও পঞ্চগড়ে চলতি শীত মৌসুমে দেশের মধ্যে সর্বনিম্ন ৬.১ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়। গতকাল তাপমাত্রা সামান্য বাড়লেও কনকনে হিমেল বাতাসে শীতের তীব্রতা অব্যাহত রয়েছে। দুপুরে কিছুক্ষণের জন্য সূর্যের মুখ দেখা গেলেও তা তাপ ছড়াতে পারেনি। বিকালের দিকে আবারও চারদিক কুয়াশায় ঢেকে যায়। রাতে বৃষ্টির মতো কুয়াশা ঝরছে। হাঁড় কাঁপানো শীতে কাবু হয়ে পড়েছে মানুষ। খেটে খাওয়া নিম্নআয়ের মানুষের ভোগান্তি অনেক বেশি। বৃদ্ধ ও শিশুরা বেশি কষ্ট পাচ্ছেন। অনেকেই শীতজনিত রোগ সর্দি, কাশি ও শ^াসকষ্টে আক্রান্ত হচ্ছেন। জেলার হাসপাতালগুলোতে ঠা-াজনিত রোগীর সংখ্যা বেড়ে গেছে।

নীলফামারী প্রতিনিধি জানান, মৃদু শৈত্যপ্রবাহের পাশাপাশি ঘন কুয়াশা আর হিমেল বাতাসে স্থবির হয়ে পড়েছে জনজীবন। সদর হাসপাতালসহ বিভিন্ন উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ঠা-াজনিত রোগে আক্রান্তরা চিকিৎসা নিচ্ছেন। এই রোগীদের বেশির ভাগই শিশু ও বয়স্ক। গতকাল দুপুর পর্যন্ত জেলায় সূর্যের আলোর দেখা মেলেনি। ডিমলা আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, গতকাল নীলফামারীর সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

নিউজটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved © 2019 bangladeshdailyonline.com
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com