হোম গ্রাউন্ডে নিজেদের শেষ ম্যাচটা রাঙাতে পারলো না চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স। খুলনা টাইগার্সের কাছে ৭ উইকেটে হেরেছে বন্দরনগরীর দলটি।
এদিকে টানা দুই জয়ে বিপিএলের রেসে ফিরেছে খুলনা টাইগার্স।
খুলনাকে জয় এনে দিয়েছেন অধিনায়ক ইয়াসির আলী রাব্বি, ব্যাট হাতে বিধ্বংসী উঠেছিলেন এই ব্যাটার। ১৭ বলে ৩৬ রানের অপরাজিত ছিলেন ইয়াসির।
শুক্রবারের (২০ জানুয়ারি) ম্যাচে টসে জিতে চট্টগ্রামকে ব্যাটিং করতে পাঠায় খুলনার অধিনায়ক ইয়াসির আলী। আগে ব্যাট করতে নেমে মাত্র ৮ রানেই ম্যাক্স ও’ডাউডের উইকেট হারায় চট্টগ্রাম। তবে দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে দলকে টেনে নিয়ে যান উসমান খান ও আফিফ হোসেন। দু’জনের ৪৬ বলে ৭০ রানের জুটিতে বড় সংগ্রহের দিকেই এগিয়ে যায় চট্টগ্রাম।
তবে দলীয় ৭৮ রানে জুটি ভেঙে উসমান খান ২৭ বলে ৪৩ রানে ফিরলে পথ হারায় চট্টগ্রাম, কমে আসে রানের গতি। দলকে তিন অংকের ঘরে পৌঁছে দিয়ে আফিফ হোসেন ৩৫ রান করে ফিরলেই ভেঙে পড়ে চট্টলার ইনিংস। দরবেশ রাসুলি ২৬ বলে ২৫ করে রান আউট হলে ১৭ ওভারে ১২৩ রানে ৫ উইকেট হারায় চট্টগ্রাম। মাঝে খাজা নাফে ফিরেন ৩ বলে ৫ রান করে।
শেষ ছয় ব্যাটসম্যানের মাঝে ফরহাদ রেজা ছাড়া আর কেউ বলার মতো কিছু করতে পারেনি। ফরহাদ রেজা অপরাজিত থাকেন ৯ বলে ২১ রানে। বাকিদের মাঝে জিয়াউর রহমান ১১, অধিনায়ক শুভাগত হোম করেন ১ রান। শেষ পর্যন্ত ৯ উইকেটে ১৫৭ রান তুলে থামে চট্টগ্রামের ইনিংস।
৩৬ রান দিয়ে ৪ উইকেট শিকার করেন খুলনার ওয়াহাব রিয়াজ। এছাড়া মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন পেয়েছেন ২টি ও আমাদ পেয়েছেন একটি উইকেট।
১৫৮ রানের লক্ষ্যে ব্যাটিংয়ে নেমে কোনো রান যোগ করার আগেই মুনিম শাহরিয়ারকে শূন্য রানে হারায় খুলনা। তবে দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে ঘুরে দাঁড়ায় ইয়াসির রাব্বির দল। তামিম ইকবাল ও মাহমুদুল হাসান জয়ের জুটিতে তিন অংকের রানে পৌঁছে যায় খুলনা, দু’জনে মিলে যোগ করেন ৭৯ বলে ১০৪ রান।
তামিম ইকবাল ৩৭ বলে ৪৪ রানে আউট হলেও অপর প্রান্ত থেকে ততক্ষণে অর্ধশতক ছুঁয়ে ফেলেন মাহমুদুল হাসান জয়। ৩৫ বলে তুলে নেন বিপিএল ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় ফিফটি। তবে তামিম ফেরার পর ৫ রান যোগ করেই ফেরেন তিনিও। আউট হওয়ার আগে খেলেন ৪৪ বলে ৫৯ রানের ইনিংস।
শেষ ৩ ওভারে জয়ের জন্য খুলনার প্রয়োজন হয় ৩৩ রান। সবাই চেয়ে ছিল তখন আজম খানের দিকে। তবে আজম খানকে দর্শকের ভূমিকায় রেখে জ্বলে উঠেন ইয়াসির আলী রাব্বি। অধিনায়কোচিত ইনিংস খেলেই নিশ্চিত করেন দলের জয়। ইয়াসির শেষ পর্যন্ত অপরাজিত ছিলেন ২ চার আর ৪ ছক্কায় ১৭ বলে ৩৬ রানে। আজম খানের ব্যাটে আসে ১৬ বলে ১৫ রান।
চট্টগ্রামের হয়ে ২টি উইকেট নিয়েছেন নিহাদুজ্জামান আর একটি পেয়েছেন শুভাগত হোম।
এই জয়ে পয়েন্ট টেবিলের চতুর্থ স্থানে উঠে এসেছে খুলনা। তারা পাঁচ ম্যাচ খেলে জয় পেয়েছে দুটিতে।