মাত্র ৯৫ দিনের মাথায় চাকরি হারালেন সাউদাম্পটনের কোচ নাথান জোনস। প্রিমিয়ার লিগ ক্লাব সূত্র আজ এই তথ্য নিশ্চিত করেছে।
শনিবার ১০ জনের উল্ফসের সাথে পরাজয়ের পর লুটন টাউনের সাবেক বস ৪৯ বছর বয়সী জোনসের বিদায় নিশ্চিত হয়। এই মুহূর্তে ২২ ম্যাচে ১৫ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের তলানিতে রয়েছে সাউদাম্পটন।
প্রিমিয়ার লিগের ইতিহাসে সাউদাম্পটনের সবচেয়ে সংক্ষিপ্ত সময়ের কোচ হিসেবে এই ওয়েলসম্যানের নাম লেখা থাকবে। গত ১০ নভেম্বর নিয়োগ পাওয়া জোনসের অধীনে সাউদাম্পটন ১৪ ম্যাচের নয়টিতে পরাজিত হয়েছে। এর মধ্যে প্রিমিয়ার লিগে রয়েছে আটটি ম্যাচ। সেন্ট মেরিসে ম্যাচটি ছিল টানা চার হোম ম্যাচে পরাজয়ের লজ্জাজনক রেকর্ড।
এবারের মৌসুমে প্রিমিয়ার লিগে অষ্টম ম্যানেজার হিসেবে জোনস চাকরি হারালেন। জোনসের সাথে প্রথম দলের দুই কোচ ক্রিস কোহেন ও এ্যালান শিহানও ক্লাব ছেড়েছেন। চেলসির বিরুদ্ধে শনিবারের প্রিমিয়ার লিগের ম্যাচটিতে ডাগ আউটে কোচ হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন রুবেন সেলাস।
শনিবার উল্ফসের কাছে ঘরের মাঠের পরাজয় কোনোভাবেই মেনে নেয়নি সাউদাম্পটন সমর্থকরা। সেইন্ট সমর্থকরা ম্যাচের শেষে জোনসকে উদ্দেশ্য করে দুয়োধ্বনি দিয়েছে। এসময় তাকে দ্রুত টানেল দিয়ে বেরিয়ে যেতে দেখা যায়। ওই ম্যাচের পরেই তিনি ইঙ্গিত দিয়েছিলেন এটাই হয়তো সাউদাম্পটনের কোচ হিসেবে তার শেষ ম্যাচ।
ড্রেসিং রুম থেকে বেরিয়ে যাওয়ার সময় জোনস বলেছেন, ‘আমি আমার জীবনে এমন পরিস্থিতিতে আগে কখনই পড়িনি। ক্যারিয়ারে ৩৯০টি ম্যাচে এমন কখনো হয়নি। কিন্তু আমি এখনো জানি না এখানে আমার ভবিষ্যত কী।’
এর আগে ব্রেন্টফোর্ডের বিপক্ষে লিগের আগের ম্যাচটিতে পরাজিত হওয়ার পর সমর্থকরা জোনসকে উদ্দেশ্য করে বলেছিলেন, ‘কাল সকালেই তুমি চাকরি হারবে। আমাদের ক্লাব থেকে বেরিয়ে যাও।’
নভেম্বরে রাল্ফ হাসেনহাটলের স্থলাভিষিক্ত হয়েছিলেন জোনস। সাড়ে তিন বছরের চুক্তিতে তিনি চ্যাম্পিয়নশীপ দল লুটনের দায়িত্ব ছেড়েছিলেন। জোনসের অধীনে প্রথম পাঁচ ম্যাচের চারটিতেই সাউদাম্পটন পরাজিত হয়েছিল। এ সময় একমাত্র জয়টি এসেছিল লিগ ওয়ানের দল লিঙ্কনের বিপক্ষে ইএফএল কাপে। এরপর এক সপ্তহের ভিতর এফএ কাপে ক্রিস্টাল প্যালেস, ইএফএল’এ ম্যানচেস্টার সিটি ও প্রিমিয়ার লিগে এভারটনের বিরুদ্ধে জয়ের পর সকলে ধরে নিয়েছিল জোনস হয়তোবা ক্লাবের ভাগ্য ফেরাতে পারবে।
লুটনের হয়ে দুই বছর বেশ সফল ছিলেন জোনস।