সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১১:০২ পূর্বাহ্ন

বেলুন কাণ্ডে চীন-যুক্তরাষ্ট্র উত্তেজনা বাড়ছে

বাংলাদেশ ডেস্ক :
  • আপডেট টাইম : মঙ্গলবার, ১৪ ফেব্রুয়ারী, ২০২৩
  • ৭২ বার

মার্কিন আকাশ থেকে গত ৪ ফেব্রুয়ারি চীনা এক বেলুন গুলি করে ভূপাতিত করা হয়। যুক্তরাষ্ট্রের দাবি, নজরদারি চালাতে চীন এই বেলুন পাঠিয়েছে। তবে চীন তা অস্বীকার করে বলে, আবহাওয়া পর্যবেক্ষণে ভুলবশত এই বেলুন মার্কিন আকাশসীমায় প্রবেশ করে। এরপর একে একে উত্তর আমেরিকার আকাশে আরও তিন অজ্ঞাত বস্তুর সন্ধান পায় যুক্তরাষ্ট্র। ইতোমধ্যে সব কয়েকটি বস্তু ভূপাতিত করা হয় মার্কিন যুদ্ধবিমান দিয়ে। এরপর থেকেই চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে উত্তেজনা বেড়েই চলেছে।

দৈত্যাকার বেলুন ধ্বংস করার পর মার্কিন বাহিনী তিনটি বস্তুকে গুলি করে নামালেও এখন বলছে এগুলো আসলে কী এবং এই বস্তুগুলো কীভাবে তাদের আকাশে ভেসে বেড়াচ্ছিল তা তারা এখনও জানে না।

গত রোববার মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন একই রকম আরও এক বস্তু গুলি করে মাটিতে নামানোর নির্দেশ দেন। যুক্তরাষ্ট্র বলেছে, সবশেষ যে বস্তুটি ভূপাতিত করা হয়েছে, সেটি ২০ হাজার ফুট উপর দিয়ে উড়ছিল, এবং যেকোনো বাণিজ্যিক বিমানের সঙ্গে এর সংঘর্ষ হওয়ার আশঙ্কা ছিল।
এদিকে গতকাল সোমবার চীনের পক্ষ থেকেও অভিযোগ করা হয়, গত এক বছরে যুক্তরাষ্ট্র বেইজিং-এর কাছ থেকে কোনো ধরনের অনুমতি না নিয়ে চীনের আকাশে ১০ বারেরও বেশি বেলুন উড়িয়েছে। দুই দেশের মধ্যে পাল্টাপাল্টি অভিযোগে উত্তেজনা আরও ঊর্ধমুখী।

যুক্তরাষ্ট্রের আকাশে প্রথম বেলুনটি ধরা পড়ার পর মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ্যান্টনি ব্লিনকেন তার বেইজিং সফর বাতিল করেন। তিনি বলেন, চীনের এধরনের গুপ্তচরবৃত্তি কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।

পরবর্তীতে চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলছে, যুক্তরাষ্ট্র গত বছর তাদের আকাশসীমায় ১০ বারের বেশি বেলুন উড়িয়েছে। তারা বলছে, এর আগে যুক্তরাষ্ট্র বহুবার তাদের আকাশসীমা লঙ্ঘন করেছে।

চীনা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন মুখপাত্র ওয়াং ওয়েনবিন সোমবার সাংবাদিকদের বলেন, অবৈধভাবে অন্য একটি দেশের আকাশসীমায় ঢুকে পড়া যুক্তরাষ্ট্রের জন্যেও অস্বাভাবিক কিছু নয়। চীনা কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে কোনো ধরনের অনুমতি না নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র গত বছর দশবারেরও বেশি ঢুকে পড়েছে।

তিনি বলেন, চীনের বিরুদ্ধে এধরনের অভিযোগ আনার আগে তাদের উচিত নিজেদের দিকে ফিরে তাকানো।

যুক্তরাষ্ট্রের অনুপ্রবেশের ঘটনায় চীনের পক্ষ থেকে যৌক্তিক ও পেশাদারি জবাব দেওয়া হয়েছে বলে তিনি জানিয়েছেন। চীনের এই অভিযোগের ব্যাপারে ওয়াশিংটনের পক্ষ থেকে এখনও কোনো মন্তব্য করা হয়নি।

তবে কংগ্রেসে শীর্ষস্থানীয় একজন ডেমোক্র্যাট ভিন্ন কথা বলেছেন। এর আগে তিনি বলেছিলেন যে যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা কর্মকর্তারা এগুলোকেই নজরদারি বেলুন বলেই মনে করেন।

সেনেটর চাক শুমার বলেন, তাদের বিশ্বাস এগুলো বেলুন, তবে প্রথমটির চেয়ে আকারে অনেক ছোট। প্রথম বেলুনটিকে বাইডেন প্রশাসন যেভাবে সামাল দিয়েছে তার সমালোচনা করছে রিপাবলিকানরা। তারা বলছে, বিলম্ব না করেই বেলুনটিকে নামিয়ে ফেলা উচিত ছিল।

নিউজটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved © 2019 bangladeshdailyonline.com
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com