ক্রিকেট আর খেলা নয় এই ভারতে। তা আরো বেশি কিছু। আর তাই জাতীয় দলের হয়ে খেলার স্বপ্ন দেখে উঠতি ক্রিকেটাররা। একবার ভারতের জার্সিতে মাঠে নামতে পারলেই তারকা বনে যান সংশ্লিষ্ট খেলোয়াড়। কিন্তু ভারতীয় ক্রিকেটের বাইরের চাকচিক্য নাকি ঢেকে রেখেছে ভেতরের অন্ধকারকে! সেই অন্ধকারের কথা ফাঁস করে বিস্ফোরক দাবি করতে দেখা গেল ভারতের নির্বাচক মণ্ডলীর চেয়ারম্যান চেতন শর্মাকে। পাশাপাশি তার দাবি, বিরাট কোহলি অকারণেই তার অধিনায়কত্ব হারানোর জন্য সৌরভকে দায়ী করছেন।
একটি বেসরকারি চ্যানেলের স্টিং অপারেশনে ভারতীয় ক্রিকেট সম্পর্কে একাধিক গোপন তথ্য ফাঁস করেন। তার এই ধরনের বিস্ফোরক দাবিতে ঝড় উঠতে পারে ভারতীয় ক্রিকেটে। চেতনের দাবি, একাধিক তারকা ক্রিকেটার জাতীয় দলে ঢোকার জন্য বেআইনিভাবে ওষুধ সেবন করেন। নেন ফেক ইঞ্জেকশন। যে ইঞ্জেকশন নিয়ে একজন আনফিট খেলোয়াড়ও ফিট হয়ে যেতে পারেন। তারপর ফিটনেস সার্টিফিকেট দেখিয়ে দলে প্রত্যাবর্তনও করতে পারেন তারকা ক্রিকেটার। চেতনের দাবি, ভারতীয় ক্রিকেট কন্ট্রোল বোর্ড সব জানলেও এব্যাপারে হস্তক্ষেপ করতে পারে না।
এদিকে সাবেক তারকা ক্রিকেটারের আরো দাবি, নির্বাচকদের প্রভাবিত করতেন রোহিত শর্মা ও হার্দিক পাণ্ডিয়ার মতো ক্রিকেটাররা। এমনকি, তাদের বাদ যাওয়ার পরিস্থিতি তৈরি হলেও প্রভাব খাটিয়ে সেখান থেকে তারা বেরিয়ে আসার চেষ্টা করতেন বলেই দাবি চেতনের। চেতনের এই বিস্ফোরক দাবি ভারতীয় ক্রিকেটে ঝড় তুলতেই পারে।
চেতনের কথায় সৌরভ গাঙ্গুলিই ভারতের সাবেক অধিনায়ক বিরাট কোহলিকে বলেছিলেন, নেতৃত্ব ছাড়ার আগে আরো একবার ভেবে দেখুক। কিন্তু কোহলি তা শোনেননি। চেতন বলেছেন, ‘সৌরভ হয়তো বিরাটকে বলেছিল, একবার ভেবে দেখতে। কিন্তু বিরাট ওর কথা হয়তো শুনতে পায়নি।’
তার এহেন দাবির পর এই বিতর্কে যে নতুন মাত্রা যোগ হলো, তাতে সন্দেহ নেই। এখন দেখার, ঝুলি থেকে তিনি আরো বেড়াল বের করেন কিনা।
সূত্র : বাংলাদেশ প্রতিদিন