আর মাত্র কিছুদিন, অতঃপর ফের বাংলাদেশে ফিরছেন চন্ডিকা হাথুরুসিংহে। আবারো বাংলাদেশের ডাগআউটে দেখা যাবে লঙ্কান এই কোচকে। ইংল্যান্ড সিরিজ দিয়েই শুরু হবে বাংলাদেশ ক্রিকেটে হাথুরুসিংহের দ্বিতীয় অধ্যায়। তবে এজন্য বিসিবিকে খসাতে হবে বেশ মোটা অংকের টাকা, আগের মতোই রেকর্ড পরিমাণ পারিশ্রমিকে বাংলাদেশে আসছেন হাথুরুসিংহে।
এই মেয়াদের হাতুরাসিংহের পেছনে প্রতি মাসে ২৫ হাজার ইউএস ডলার বেতন গুনতে হবে বিসিবিকে। আগের মেয়াদে যা ছিল প্রায় ২৮ হাজার ডলার। খোলা চোখে মনে হবে বেতন কমলেও, মূলত তা নয়। কেননা তখন মোট বেতনের ৩০ শতাংশ কাটা যেত কর হিসেবে। ফলে সব মিলিয়ে প্রায় ১৯ হাজার ডলার নিয়ে যেতে পারতেন হাথুরুসিংহে। তবে এবার নিয়ে যাবেন পুরো অর্থই, কেননা তার কর প্রদানের দায়িত্ব এখন বিসিবিই নিয়েছে।
শুধু তাই নয়, হাথুরুসিংহের পেছনে টাকার বস্তা নিয়ে বসে আছে বিসিবি। নানান অফার আর একাধিক পুরস্কারসহ থাকছে আরো নানাবিধ সুবিধা। যার একটি হলো বাংলাদেশকে আইসিসির কোনো ইভেন্টে শিরোপা এনে দিতে পারলে চার মাসের বেতন সমান প্রায় ১ লাখ ডলার পুরস্কার পাবেন হাথুরুসিংহে। আর ফাইনালে তুলতে পারলে পাবেন ৫০ হাজার ডলার।
শুধু ফাইনাল নয়, সেমিফাইনাল ও কোয়ার্টার ফাইনালের জন্যেও আর্থিক পুরস্কার পাবেন হাথুরুসিংহে। বাংলাদেশকে আইসিসির কোনো ইভেন্টে ককোয়ার্টার ফাইনালে তুলতে পারলে সাড়ে ১২ হাজার ও সেমিফাইনালে তুলতে পারলে হাথুরাসিংহে পাবেন ২৫ হাজার ডলার পুরস্কার। সমান ২৫ হাজার ডলার পাবেন দলকে এশিয়া কাপে চ্যাম্পিয়ন করতে পারলে, আর ফাইনালে ব্যর্থ হলে পাবেন ১৫ হাজার ডলার।
শুধু আইসিসি ইভেন্ট নয়, র্যাঙ্কিংয়ের উপরে থাকা যেকোনো দলের বিপক্ষে সিরিজ জিতলেও হাথুরুসিংহের জন্য থাকবে মোটা অংকের পুরস্কার। যেখানে টেস্ট জয়ে ২ হাজার ডলার, ওয়ানডেতে ১০০০ ও টি-টোয়েন্টি সিরিজ জয়ে থাকবে ৫০০ ডলার পুরস্কার।
থাকছে হাতুরাসিংহে ও তার পরিবারের জন্য প্রতি বছরব পৃথিবীর যেকোনো জায়গায় ভ্রমণ করতে ২৫ হাজার ডলার মূল্যের একটি বিমান টিকিট। তাছাড়া, আগের তুলনায় বেশি ছুটিও পাবেন হাথুরুসিংহে। আগের মেয়াদে বছরে ৩০ দিনের ছুটির কথা উল্লেখ থাকলেও এবার তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪৫ দিনে। তাছাড়া থাকার জন্য ফ্লাট বাসা ও যাতায়াতের জন্য পরিবহন ব্যবস্থা তো আছেই! সুতরাং বলাই যায়, হাথুরুসিংহে বিসিবির সোনার ডিম পাড়া হাঁস।