শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ০৯:১৪ অপরাহ্ন

আজ মেঘালয় ও নাগাল্যান্ডে নির্বাচন, পারবে মমতার তৃণমূল!

বাংলাদেশ ডেস্ক :
  • আপডেট টাইম : সোমবার, ২৭ ফেব্রুয়ারী, ২০২৩
  • ১২৪ বার

ভারতের মেঘালয় ও নাগাল্যান্ডে আজ ভোটগ্রহণ হচ্ছে। ছোট হলেও উত্তর-পূর্ব ভারতের এই দুই রাজ্যের নির্বাচনের ফলাফল দেশটির জাতীয় রাজনীতিতে বড় ধরনের পরিবর্তন ঘটাতে পারবে। বিশেষ করে মেঘালয়ের নির্বাচনটি বেশ গুরুত্বপূর্ণ।

দুটি রাজ্যেই মোট বিধানসভা আসনের সংখ্যা ৬০। মেঘালয়ে সরকার গঠনের বিষয়ে আশাবাদী মমতা ব্যানাজির দল। মুকুল সাংমার নেতৃত্বে সেখানে বাকি দলগুলোকে টেক্কা দিতে চায় তৃণমূল। তাই জাতীয় রাজনীতির নিরিখে মেঘালয়ের নির্বাচন বেশ তাৎপর্যপূর্ণ হতে চলেছে।
মেঘালয়ে কংগ্রেসের আশায় পানি ঢালতে পারে তৃণমূল
এই আবহে কংগ্রেসের কপাল পুড়তে পারে। যা নিয়ে কংগ্রেসের এমপি রাহুল গান্ধী এবং তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক ব্যানার্জির মধ্যে কথার লড়াইও হয়েছে। কংগ্রেস ভাঙিয়েই এই রাজ্যে প্রধান বিরোধী দল হয়ে উঠেছিল তৃণমূল।
মেঘালয়ে ‘খ্রিস্টান-বিরোধী’ তকমা মুছে ফেলে যথা সম্ভব আসন জেতাই এবারের নির্বাচনের লক্ষ্য বিজেপির। আবার মেঘালয়ে নিজেদের হারানো জমি পুনরুদ্ধার করতে চাইছে কংগ্রেস। ২০১৮ সালের ভোটে একক বৃহত্তম দলের তকমা পাওয়ার চার বছরের মধ্যে ২১ বিধায়ককে হারিয়েছে কংগ্রেস শিবির।

এর আগে ২০১৮ সালের বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির সাথে জোট হয়েছিল এনপিপির। তবে এবার আর জোট হয়নি দুই দলের। এককভাবে ৫৭টি আসনে লড়াই করছে এনপিপি। সব আসনেই লড়াই করছে বিজেপি এবং কংগ্রেস। এদিকে ৫৮টি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে তৃণমূল কংগ্রেস।

১৯৭২ সাল থেকে মেঘালয়ে বিধানসভা নির্বাচনে কোনো দল একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়নি মেঘালয়। তবে এবার সেই ধারা ভেঙে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাওয়ার বিষয়ে নিশ্চিত শাসক দল ন্যাশনাল পিপলস পার্টি (পিপিপি)। একাধিক দুর্নীতির অভিযোগ বিদ্ধ হলেও শাসক দলের দাবি, এবার এককভাবেই ৩০ পেরিয়ে যাবে।

নাগাল্যান্ডের ভোটে ইস্যু কী কী
নাগাল্যান্ডে এবারের নির্বাচনেও বিশেষ নিরাপত্তা আইন আফস্পা প্রত্যাহার এবং নাগা-রাজনৈতিক সমস্যা সমাধানের মতো বিষয়গুলো প্রভাব ফেলতে পারে। এর মাঝে পূর্ব নাগাল্যান্ডকে পৃথক রাজ্য হিসেবে স্বীকৃতি দেয়ার দাবি উঠেছে। এ নিয়ে নাগা রাজনৈতিক মহলে পানিঘোলা হচ্ছে।

নাগাল্যান্ডের জোট সমীকরণ
অন্যদিকে নাগাল্যান্ডে জোট বেঁধে লড়াই করছে এনডিপিপি ও বিজেপি। আঞ্চলিক দলের ৪০টি আসন এবং বিজেপির ২০টি আসনের ফর্মুলায় লড়াই করছে। ২৩টি আসনে লড়ছে কংগ্রেস। ২২টি আসনে লড়ছে এনপিএফ। ১৫টি আসনে প্রার্থী দিয়েছে লোক জনশক্তি পার্টি (রামবিলাস)। সবমিলিয়ে ১৮৩ জন প্রার্থীর ভাগ্যনির্ধারণ হবে।

২০১৮ সালের বিধানসভা নির্বাচনে একক বৃহত্তম দল হয়েছিল নাগা পিপলস ফ্রন্ট (এনপিএফ)। ৬০টি আসনের মধ্যে ২৬টিতে জিতেছিল। বিজেপি জিতেছিল ১২টি আসনে। কিন্তু ভোটের আগে বিজেপি এবং এনপিএফের যে জোট তৈরি হয়েছিল, তা ভেঙে গিয়েছিল। পরিবর্তে ন্যাশনালিস্ট ডেমোক্রেটিক প্রোগ্রেসিভ পার্টির (এনডিপিপি) সাথে জোট বেঁধে সরকার গঠন করেছিল বিজেপি। ১৭টি আসনে জিতেছিল এনডিপিপি।

সূত্র : হিন্দুস্তান টাইমস

নিউজটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved © 2019 bangladeshdailyonline.com
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com