সামনে ছিল বড় লক্ষ্য। জিততে হলে করতে হতো ৩২৭ রান। এই রান পাহাড় টপকাতে পারেনি বাংলাদেশ। ৯ রানের মধ্যে তিন উইকেট হারানো বাংলাদেশকে মাঝে পথ দেখানোর চেষ্টা করেছিলেন সাকিব-তামিম ও রিয়াদ-আফিফ জুটি। তবে তা যথেষ্ট ছিল না। শুক্রবার মিরপুরে দ্বিতীয় ওয়ানডেতে ইংল্যান্ডের কাছে বাংলাদেশ হেরেছে ১৩২ রানের ব্যবধানে। তিন ম্যাচ সিরিজে এক ম্যাচ হাতে রেখেই ২-০ ব্যবধানে ট্রফি নিশ্চিত করল ইংলিশরা।
টস হেরে আগে ব্যাট করতে নেমে ইংল্যান্ড করে ৭ উইকেটে ৩২৬ রান। জবাবে বাংলাদেশ অল আউট হয় ১৯৪ রানে, ৪৪.৪ ওভার। সেঞ্চুরির সুবাদে ম্যাচ সেরার পুরস্কার জেতেন ইংলিশ ওপেনার জেসন রয়।
বড় টার্গেটে খেলতে নামে প্রথম ওভারেই দুই উইকেট হারায় বাংলাদেশ। স্যাম কারানের চতুর্থ বলে রয়ের হাতে ক্যাচ দিয়ে প্রথমে ফেরেন লিটন। গোল্ডেন ডাক। পরের বলে উইকেটের পেছনে বাটলারের গ্লাভসে বন্দি শান্ত। তিনিও মারেন গোল্ডেন ডাক। তামিমের সাথে চাপ সামাল দেয়ার চেষ্টা করেন মুশফিকুর রহীম। তবে টিকতে পারেননি তিনিও।
তৃতীয় ওভারে মুশফিক স্যাম কারানের শিকার। উইকেটের পেছনে ক্যাচ দেন বাটলারের হাতে। ইংলিশদের জোরাল আবেদনে প্রথমে আউট দেননি আম্পায়ার। তারা রিভিউ নিলে রিপ্লেতে দেখা যায় মুশফিকের ব্যাটের বাইরের কানায় লেগেই বল জমে বাটলারের গ্লাভসে। স্রেফ ৪ রান করে ড্রেসিংরুমে ফেরেন মুশফিক।
৯ রানে তিন উইকেট হারানো বাংলাদেশকে এরপর পথ দেখানোর চেষ্টা করেন সাকিব ও তামিম। এই জুটি দলকে নিয়ে যান ৮৮ রান পর্যন্ত। ৭৯ রানের জুটি গড়ার পর বিচ্ছিন্ন হন দুজন, ১১১ বলে। মঈনের বলে ভিঞ্চের হাতে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফেরেন তামিম। ৬৫ বলে চারটি চারে ৩৫ রান করেন তিনি।
এর আগের ওভারেই জ্যাকসের বলে সাকিবকে আউট দিয়েছিলেন আম্পায়ার। তবে রিভিউ নিয়ে বেঁচে যান তিনি। নতুন জীবন পেয়ে ওয়ানডে ক্যারিয়ারের ৫১তম ফিফটি পেয়ে যান সাকিব, ৫৯ বলে।
আফিফ-মাহমুদউল্লাহ চেষ্টা করেছিলেন। এই জুটিতে আসে ৩৮ রান। দুজনের বিদায়ের পর বাংলাদেশের হার ত্বরান্বিত হয়। দুজনই আদিল রশিদের শিকার। রিয়াদ করেন ৩২ রান, আফিফ ২৩। শেষের দিকে তাসকিন ২১ রান করে হন রান আউট। বল হাত ইংল্যান্ডের হয়ে চারটি করে উইকেট নেন স্যাম কারান ও আদিল রশিদ। মঈন নেন এক উইকেট।
এর আগে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে ইংল্যান্ডের হয়ে দারুণ সেঞ্চুরি করেন জেসন রয়। ১২৪ বলে তিনি করেন ১৩২ রান। ৬৪ বলে ৭৬ রানের ইনিংস আসে ইংলিশ অধিনায়ক বাটলারের ব্যাট থেকে।
মঈন আলী ৪২, স্যাম কারান ৩৩ রানে অপরাজিত থাকেন। বাংলাদেশের হয়ে বল হাতে তাসকিন তিনটি, মিরাজ দুটি, সাকিব ও তাইজুল নেন একটি করে উইকেট। তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডে অনুষ্ঠিত হবে আগামী ৬ মার্চ, চট্টগ্রামে।