নিউইয়র্কের ওজনপার্কে আবারো রক্তাক্ত হলেন বাংলাদেশী শাহাব উদ্দীন (৭২) নামের আরেক বাংলাদেশী। গত ৯ ফেব্রুয়ারী রোববার বেলা ১১ থেকে ১১.২০ মিনিটের দিকে ঘটনাটি ঘটে। এতে শাহাব উদ্দীন গুরুতর আহত হয়েছেন তাকে জ্যামাইকা মেডিক্যাল সেন্টারে ভর্তি করা হয়েছে। উল্লেখ্য, ইতিপূর্বে কয়েক মাসের ব্যবধানে ওজনপার্ক এলাকায় একাধিক হামলা ও হত্যার ঘটনা ঘটেছে। বাংলাদেশীদের ওপর একের পর এক এমন ঘটনায় উদ্বীগ্ন প্রবাসী বাংলাদেশীরা। সাম্প্রতিককালে নিউইয়র্কে প্রায়ই দুর্বৃত্তের হামলার শিকার হচ্ছেন প্রবাসী বাংলাদেশীরা। এতে হতাহতের ঘটনা ঘটছে। কয়েক বছর অগে ওজনপার্কে পৃথক পৃথক ঘটনায় তথা দূর্বৃত্তের হামলায় যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগ নেতা নজমুল ইসলাম, ইমাম আকুঞ্জী ও তার সহযোগি মারা যান। গত বছর আরো এক বাংলাদেশী হামলার শিকারে মারা যায়। এছাড়াও অতীতে মিজানুর রহমান নামে বাংলাদেশী ফটো সাংবাদিক নিহত ছাড়াও আরো বেশ কয়েকজন বাংলাদেশী হতাহত হন। একের পর এক এ ধরণের ঘটনা বন্ধে প্রবাসীরা আইন-শৃংখলা বাহিনীর কঠোর পদক্ষেপ দাবী করেছেন।
জানা গেছে, ঘটনার সময় শাহাব উদ্দীন বাসার দিকে ফিরছিলেন। এসময় দু’জন দূর্বৃত্ত আকস্মিক তার ওপর চড়াও হয় এবং ‘মুসলিম’ বলে কিল-ঘুঁষি মারতে থাকে। দূর্বৃত্তরা তার হাতে থাকা মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নিয়ে যায়। তাদের আঘাতে শাহাব উদ্দীনের ‘নাক চোখ এবং মাথার সামনের’ অংশ গুরুতর জখম হয়। পরে পুলিশ এবং ওজন-পার্ক সিভিলিয়ান পেট্রোল-সিটি লাইনের সহযোগিতায় তাকে জ্যামাইকা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
বাংলাদেশী অধ্যুষিত ওজন-পার্কের গ্লান্ডমোর এন্ড পিটকিন এভিনিউর মাঝে ৭৬ স্ট্রীট এলাকায় প্রকাশ্যে এই হামলার ঘটনা ঘটে। এই হামলার ঘটনাকে স্থানীয় বাংলাদেশীরা ‘হেইট ক্রাইম’ হিসেবে দেখছেন। সিলেট জেলার বিয়ানীবাজার উপজেলার সন্তান শাহাব উদ্দীন দীর্ঘদিন ধরে যুক্তরাষ্ট্রের অভিবাসী এবং ওজনপার্কে বসবাস করছেন। ঘটনার খবরে ওজনপার্কে বসবাসকারী বাংলাদেশী কমিউনিটিতে ক্ষোভ আর হাতাশা প্রকাশ পেয়েছে।
এদিকে শাবাহ উদ্দীনের উপর হামলার ঘটনার বিষয়ে ‘ওজন-পার্ক সিভিলিয়ান পোট্রেল’। নিজেদের অফিসিয়াল ফেসবুকে একটি সচেতনতামূলক পোস্ট দিয়ে হামলাকারীকে খুঁজে বের করে দ্রুত গ্রেফতারে কাজ করছে এনওয়াইপিডি। এতে সব ধরণের সহায়তার আশ্বাস দিয়েছে সিভিলিয়ান পেট্রোল।