শুরুটা করলেন লিওনেল মেসি, শেষটা রাঙালেন কিলিয়ান এমবাপে। মাঝের সময়ে এসেছে আরো দুই গোল। সব মিলিয়ে নঁতেকে একহালি গোল উপহার দিয়েছে পিএসজি; ঘরের মাঠে জয় পেয়েছে ৪-২ গোলে।
মেসি দলকে এগিয়ে নেয়ার পর গাউয়েন হাজামের আত্মঘাতী গোলে ২-০ গোলে এগিয়ে যায় পিএসজি। তবে প্রথমার্ধেই দুই গোল শোধ করে ফেলে নঁত। সমতা নিয়ে দ্বিতীয়ার্ধ শুরু করে এমবাপ্পের এক এসিস্ট আর এক গোলে শেষ পর্যন্ত জয় নিয়েই মাঠ ছাড়ে ক্রিস্তফ গালতিয়ের দল।
ম্যাচে নিজেদের প্রথম সুযোগেই গোলের দেখা পেয়ে যায় পিএসজি, নুনু মেন্দেসের করা পাস এমবাপ্পে স্পর্শ করতে না পারলেও তা চলে যায় লিওনেল মেসির কাছে। সরাসরি তা জালে জড়ান বিশ্বসেরা এই ফুটবলার। ১-০ গোলে এগিয়ে যাওয়ার মিনিট পাঁচেক বাদেই হাজামের আত্মঘাতী গোলে ব্যবধান ২-০ করে পিএসজি।
তবে পিএসজির গোল ক্ষুধা কমেনি, একের পর এক আক্রমণ করতে থাকে তারা। তবে তারই মাঝে সুযোগ পেয়ে ৩১তম মিনিটে ব্যবধান কমান লুদোভিক ব্লাস। হাজামের কাছ থেকে পাওয়া বল বাইলাইনের কাছ থেকে বুলেট গতির শটে জাল খুঁজে নেন ফরাসি মিডফিল্ডার।
মিনিট তিনেক পরেই দ্বিতীয় গোলও পেয়ে যায় নঁত, সমতায় ফিরে তারা। কর্নারে জটলা থেকে জাল খুঁজে নেন ক্যামেরুনের ফরোয়ার্ড ইগনাতিয়াস গানাগো। স্কোর তখন ২-২ সমতায়। যদিও এগিয়ে যাওয়ার বেশ কিছু সুযোগ পেয়েছিল পিএসজি, তবে শেষ পর্যন্ত তা আর হয়নি। স্কোরবোর্ড অপরিবর্তিত রেখেই বিরতিতে যায় উভয় দল।
বিরতির পর ৬২তম মিনিটে এগিয়ে যায় পিএসজি। কর্নার থেকে বল পেয়ে যান এমবাপে। ডি বক্সের বাইরে থেকে তার উঁচু করে বাড়ানো বলে দারুণ হেডে জাল খুঁজে নেন পেরেইরা। ৩-২ গোলে এগিয়ে যায় পিএসজি। ৬৩তম মিনিটে চতুর্থ গোলটাও পেয়ে যেত তারা, তবে মেসির ফ্রি কিক ঠেকিয়ে দেন নঁত গোলরক্ষক।
বেশ কয়েকটি সুযোগ মিসের পর যোগ করা অতিরিক্ত সময়ে টিমোথি পেম্বেলের কাছ থেকে বল পেয়ে গোলরক্ষককে পরাস্ত করেন এমবাপ্পে, যা চলতি মৌসুমে তার ১৮ গোল। আর পিএসজির জার্সিতে সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে ২০১তম গোল। তার এমন মাইলফলক স্পর্শ করা গোলে ৪-২ গোলে জয় পায় পিএসজি।
এই জয়ে ২৬ ম্যাচে ৬৩ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষস্থান আরো সুসংহত করল পিএসজি। সমান ম্যাচে ২৮ পয়েন্ট নিয়ে নঁত আছে ১৩ নম্বরে। এক ম্যাচ কম খেলা মার্সেই ৫২ পয়েন্ট নিয়ে আছে দুই নম্বরে।