ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজের তৃতীয় ওয়ানডে ম্যাচে তিনটি অর্ধশতকেও আড়াই শ’ রানের গণ্ডি পাড়ি দিতে পারলো না বাংলাদেশ, পারলো না পুরো ৫০ ওভার খেলতে। ৪৯.৪ ওভারে মাত্র ২৪৬ রানেই অলআউট টাইগাররা।
দলের পক্ষে সর্বোচ্চ রান করেন সাকিব আল হাসান, পাঁচ নাম্বারে নেমেও ৭১ বলে ৭৫ রানের ইনিংস খেলেন তিনি। অর্ধশতক ছুঁয়েছেন মুশফিকুর রহিম ও নাজমুল হোসেন শান্তও। তবে যথারীতি ব্যর্থ তামিম, লিটন, মাহমুদউল্লাহ ও আফিফ হোসেন।
আগের দুই ম্যাচের ধারাবাহিকতায় আজও টসে জিতেছেন বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক তামিম ইকবাল। চট্টগ্রামের এ ম্যাসে টসে জিতে আগে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন তিনি। লিটন দাসকে সঙ্গী করে নেমে যান ব্যাটিংয়ে। তবে দু’জনের জুটি টেকে মাত্র ৫ বল, ফের ০ রানে আউট হন লিটন দাস।
সব মিলিয়ে ইংল্যান্ড সিরিজটা একেবারেই ভুলে যেতে চাইবেন লিটন। ভরসার ন্যূনতম প্রতিদানও দিতে পারেননি তিনি, এক ম্যাচেও যেতে পারেননি দুই অংকের ঘরে। প্রথম ম্যাচে ১৫ বলে ৭ রানের পর দ্বিতীয় ও তৃতীয় ম্যাচে আউট হলেন কোনো রান করেই। অর্থাৎ ৩ ম্যাচে লিটনের রান মাত্র ৭, গড় ২.৩৩। দুই ম্যাচেই স্যাম কারানের শিকার তিনি।
অধিনায়ক তামিমও নামের প্রতি সুবিচার করতে পারেননি, ১১ রান করে স্যাম কারানের দ্বিতীয় শিকার তিনি। ৩ ওভারে মাত্র ১৭ রানেই ২ উইকেট হারায় বাংলাদেশ। তবে সেখান থেকে দলকে উদ্ধার করেন নাজমুল হোসেন শান্ত ও মুশফিকুর রহিম।
এক ম্যাচ পর এদিন আবারো অর্ধশতকের দেখা পান শান্ত। নিজের ক্যার সিরিজে যা তার দ্বিতীয় অর্ধশতক। তবে ইনিংসটা বড় হয়নি, ফিফটি ছোঁয়ার পরপরই মুশফিকুর রহিমের সাথে ভুল বুঝাবুঝিতে রান আউট হন তিনি। ৭১ বলে ৫৩ রান আসে তার ব্যাটে।
ফিফটি তুলে নিয়েছেন মুশফিকুর রহিমও, সাত ইনিংস পর অর্ধশতকের দেখা পেয়েছেন তিনি। তবে তার ইনিংসটাও আশানুরূপ হয়নি, ৯৩ বলে ৭০ রান করে আদিল রাশিদের শিকার হন তিনি। তবে শান্তর সাথে তার গড়ে তোলা ১৩০ বলে ৯৮ রানের জুটিতে ঘুরে দাঁড়ানোর শক্তি পায় বাংলাদেশ।
যেখানে দাঁড়িয়ে দলকে বলার মতো একটা সংগ্রহ এনে দেন সাকিব আল হাসান। তুলে নেন ক্যারিয়ারের ৫২তম ওয়ানডে অর্ধশতক। আগের ম্যাচেও ফিফটি পেয়েছিলেন বিশ্বসেরা এই অলরাউন্ডার। শেষ পর্যন্ত ৪৯.৪ ওভারে জেসন রয়ের দারুণ ক্যাচে থামে তার ইনিংস, আউট হবার আগে করেন ৭১ বলে ৭ চারে জার্সি নাম্বার সমান ৭৫ রান।
তবে এদিন তাকে যোগ্য সঙ্গ দিতে পারেননি কেউ। মুশফিক তো ফেরেনই, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ও আফিফ হোসেনও তাকে অপরপ্রান্ত থেকে ভরসা দিতে পারেননি। পারেননি মেহেদী মিরাজও৷ অর্থাৎ মাঝপথ থেকে ভাঙা নৌকাকে একাই টেনেছেন সাকিব। মাহমুদউল্লাহ ৮, আফিফ ১৫ ও মিরাজ আউট হন ৫ রান করে।
ইংল্যান্ডের হয়ে ৩টি উইকেট নেন জফরা আর্চার, ২টি করে উইকেট নেন আদিল রাশিদ ও স্যাম কারান।