ভারত থেকে ৬ মাস পর অবশেষে দেশে ফিরল শিশু জেলে ইমরান (১৪)। শনিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ইমরানের দাদা মো. ইসমাইল খান হস্তান্তরের সত্যতা নিশ্চিত করেন। সে এখন সুস্থ আছেন বলে জানান।
এর আগে গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যার দিকে ভারতীয় সীমান্ত রক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) বেনাপোল সীমান্তে বর্ডারগার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) -এর কাছে হস্তান্তর করে। সেখান থেকে পোর্ট থানায় হস্তান্তর করে তারা। পোর্ট থানা থেকে স্থানীয় শিশু হোম সেন্টার ফর ওমেন এন্ড চাইল্ড স্টাডিজ (সিডব্লিউসিএস) এর কাছে হস্তান্তর করা হয়।
ইমরান পাথরঘাটা উপজেলার চরদুয়ানী ইউনিয়নের মো. এছাহাক খানের ছেলে ও চরদুয়ানী মাধ্যমিক বিদ্যলয়ের শিক্ষাথী। তার মায়ের নাম আসমা বেগম।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গত ২৬ আগস্ট ইমরান নিজের নামের মাছ ধরার ট্রলারে করে তার দাদা ইসমাইল খানের সাথে শখের বসে সাগরে যায়। সেখানে সামুদ্রিক ঝড়ে ট্রালার থেকে ছিটকে পড়ে। প্রায় ১০ ঘন্টা উত্তাল সাগরে সে লুঙ্গি ফুলিয়ে ঢেউয়ের সাথে জীবন বাঁচানোর যুদ্ধ করছিল। তখন দূরে একটি ট্রলার দেখে তার গায়ের গেঞ্জি দিয়ে ইশারা দিলে পাশ্ববর্তী দেশ ভারতীয় এফবি বাবা পঞ্চানন নামে একটি ট্রলারের মাঝি মনোঞ্জন দাস তাকে উদ্ধার প্রথমে দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা জেলার রায়দিঘী থানায় পরে ভোলাহাট থানার নূর আলী মেমোরিয়াল সোসাইটি নামে একটি শিশু যত্ন ও শিশু সুরক্ষা কেন্দ্রে তাকে রাখা হয়। সেখানেই শিশু ইমরান দীর্ঘ ৬ মাস ছিল।
ইমরানের দাদা ইসমাইল খান জানান, গতকাল শুক্রবার সন্ধার দিকে বিএসএফ বাংলাদেশের বিজিবির কাছে হস্তান্তর করে। সেখান থেকে একটি শিশু হোমে প্রেরণ করা হয় ইমরানকে। আজ দুপুর ১টার দিকে তাকে ছেড়ে দেয়ার কথা রয়েছে। ছেড়ে দিলেই আমরা বাড়ির উদ্দেশ্যে রওয়ানা দিব।
বরগুনা জেলা প্রশাসক মোস্তাইন বিল্লাহ জানান, শিশু ইমরান ভিন্ন দেশে আটক ছিলে, তার বেঁচে থাকাকে অলৌকিক। তাকে দেশে ফিরিয়ে আনার জন্য আমাদের থেকে যত সহযোগিতা ছিল সব করেছি। তার স্বজনরাও তাকে দেশে ফিরিয়ে আনার জন্য চেষ্টা করেছেন।