কাতার বিশ্বকাপ জিতে মূলত বিতর্কটা থামিয়েছেন লিওনেল মেসি। এখন তাকে আর সর্বকালের সর্বসেরা ফুটবলার বলতে বাধা নেই। ক্লাব ক্যারিয়ারে এমনিতেই তিনি মহাতারকা। তবে তার অর্জনের ঝুলিতে সবটুকুই বার্সেলোনার হয়ে।
বার্সার সঙ্গে সম্পর্ক চুকিয়ে পিএসজিতে যোগ দিয়েছিলেন মেসি। যদিও এই ক্লাবটির হয়ে এখনও পর্যন্ত সেরাটা পাননি তিনি। জিতেছেন কেবল লিগ ওয়ান। প্যারিসের দলটির হয়ে আরও বড় শিরোপা জিততে চান মেসি।
পিএসজি সতীর্থরা বিশ্বকাপ জেতা মেসিকে রাজকীয়ভাবে বরণ করে নেন। সেই সংবর্ধনা নিয়ে মেসি বলেন, ‘সত্যিটা হলো, এটি খুবই হৃদয়স্পর্শী ছিল। যা হয়েছে তা খুবই সুন্দর ছিল এবং এসব অনুভূতি ব্যাখ্যা করাও কঠিন। কারণ বিশ্বকাপ জেতাটা ছিল আমার আজীবনের স্বপ্ন যা আমরা আর্জেন্টাইনদের সঙ্গে ভাগাভাগি করে নিতে পেরেছি। আমরা আশা করেছিলাম পাগলাটে এক উদযাপন হবে কিন্তু এমন পাগলাটে হবে তা ভাবিনি। এই মুহূর্ত আজীবনের জন্য স্মৃতিতে গচ্ছিত থাকবে। সব আর্জেন্টাইন এবং যারা খেলার সুযোগ পেয়েছে, তারা সবাই এই স্মৃতি মনে রাখবে।’
পিএসজি সতীর্থ কিলিয়ান এমবাপ্পের ফ্রান্সকেই ফাইনালে টাইব্রেকারে হারিয়ে বিশ্বকাপ ট্রফি উঁচিয়ে ধরেছেন মেসি, ‘এটা সত্যি যে, ফাইনালটা শ্বাসরুদ্ধকর ছিল এবং ম্যাচের চিত্রনাট্য পুরোই পাগলাটে ছিল। ফাইনালে অবিশ্বাস্য তিনটি গোল করেও এমবাপ্পে চ্যাম্পিয়ন হতে পারেনি। তবে সে আগেই তা জিতেছে এবং সে জানে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হওয়ার স্বাদ কেমন। তবে হ্যাঁ ফুটবল বিশ্বের জন্য এ এক অসাধারণ ফাইনাল ছিল। এবং এটা সত্যি যে এমবাপ্পের সঙ্গে একই দলে খেলতে দারুণ লাগছে। আশা করি, একসঙ্গে প্যারিসে দারুণ কিছু করবো আমরা।’
আগামীকাল চ্যাম্পিয়নস লিগে শেষ ষোলোর দ্বিতীয় লেগে বায়ার্ন মিউনিখের মুখোমুখি হবে পিএসজি। যেখানে প্রথম লেগে নিজেদের মাঠে ১-০ গোলে হেরে পিছিয়ে রয়েছে তারা। তাই ঘুরে দাঁড়াতে মরিয়া হয়ে আছেন মেসি, ‘মিউনিখে আমরা প্রথম ম্যাচের মতোই খুবই প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ, খুবই কঠিন ম্যাচ খেলতে চাচ্ছি। সবকিছুই ছোট ছোট জিনিসের ওপর নির্ভর করছে, বিশেষ করে এই পর্যায় থেকে জেতাটা খুবই কঠিন। তবে আমার মনে হয় নিজেদের কাজগুলো ঠিকঠাকমতো করলে জেতা সম্ভব। চ্যাম্পিয়নস লিগে আমরা আমাদের সফরটা অব্যাহত রাখতে চাই। এবং সেই চেষ্টাই করতে যাচ্ছি আমরা।’