ছোট ছোট নৌকায় করে সাগর পাড়ি দিয়ে হাজার হাজার অভিবাসীর অবৈধভাবে ব্রিটেনে আসা ঠেকাতে ব্রিটেনের সরকার এক বিতর্কিত নতুন আইন করার কথা ঘোষণা করেছে।
যুক্তরাজ্যের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সুয়েলা ব্রাভারম্যান পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ কমন্স সভায় মঙ্গলবার (৭ মার্চ) এ আইনের বিস্তারিত তুলে ধরে বলেছেন, এই অভিবাসীদেরকে আটক করা হবে এবং তার পর দ্রুত তাদের নিজদেশে ফেরত পাঠানো হবে।
প্রতি বছরই হাজার হাজার অভিবাসী নৌকায় করে বিপজ্জনক পথে ব্রিটেন ও ফ্রান্সের মধ্যকার ইংলিশ চ্যানেল পাড়ি দিয়ে যুক্তরাজ্যে আসছে।
গত বছর ব্রিটেনে এভাবে ৪৫ হাজার অভিবাসী এসেছে এবং গত দু’বছরে এ সংখ্যা পাঁচগুণ বেড়েছে।
তাদের মধ্যে ইরাক, ইরান, আফগানিস্তান, সিরিয়া, আলবেনিয়া, ভারত, বাংলাদেশ, পাকিস্তান, ইরিত্রিয়া, সোমালিয়া, ও সুদানসহ নানা দেশ থেকে আসা লোক রয়েছে।
পার্লামেন্টে মিজ ব্রাভারম্যান বলেন, এ নতুন আইনে নৌকায় করে যুক্তরাজ্যে আসা অভিবাসীদের আশ্রয় চাওয়া নিষিদ্ধ করা হবে এবং তাদেরকে নিজ নিজ দেশে অথবা রোয়াণ্ডায় পাঠানোর পরই কেবল তারা ব্রিটেনে আশ্রয় পাবার আবেদন করতে পারবে।
উল্লেখ্য, অভিবাসীদের নেবার জন্য রোয়ান্ডার সাথে ব্রিটেন একটি চুক্তি করেছে যদিও তা এখন আদালতে আটকে আছে।
মিজ ব্রাভারম্যান বলেন, আটক এবং বহিষ্কারের খবর পৃথিবী না জানা পর্যন্ত এভাবে লোক আসা বন্ধ হবে না।
তিনি আরো বলেন, ব্রিটেনে অভিবাসীদের আশ্রয় দেবার ব্যবস্থা এখন আর লোকের চাপ সামলাতে পারছে না।
তবে মানবাধিকার গোষ্ঠীগুলো বলেছে, এই আইনের কারণে হাজার হাজার প্রকৃত শরণার্থী অপরাধী বলে পরিগণিত হবে এমন ঝুঁকি রয়েছে।
মিজ ব্রাভারম্যানও স্বীকার করেছেন, এই আইনের প্রস্তাব হয়তো মানবাধিকার আইন ভঙ্গ করতে পারে।
বিরোধীদল লেবার পার্টি এই নতুন বিলকে একটি প্রতারণা হিসেবে আখ্যায়িত করে ক্ষমতাসীন কনসারভেটিভদের বিরুদ্ধে অভিযোগ এনেছে যে, তারা এই সমস্যাটি যথাযথভাবে মোকাবিলা করতে পারছে না।
সূত্র : বিবিসি