লিওনেল মেসিই তার আদর্শ ফুটবলার। কাতার বিশ্বকাপে সেরা উদীয়মান ফুটবলারের পুরস্কার পেয়েছেন এনজো ফার্নান্ডেজ। বিশ্বকাপের পর তাকে রেকর্ড অর্থে সই করিয়েছে চেলসি। মেসিকে কেন আদর্শ বলে মনে করেন, তা জানিয়েছেন ফার্নান্ডেজ। আড়াই মাস পর মুখ খুলেছেন ফাইনালে কিলিয়ন এমবাপ্পের সাথে মাঠের বচসা নিয়েও।
বিশ্বকাপ ফাইনালে কী হয়েছিল ক্লাব ফুটবলে মেসির সতীর্থের সাথে? একটি সাক্ষাৎকারে ফার্নান্ডেজ বলেছেন, ‘হ্যাঁ, আমাদের মধ্যে তর্ক হয়েছিল। মাঠে আমাদের মধ্যে কী হয়েছিল, সেটা বাইরে বলতে চাই না। সেটা বলার মতো বা টেনে নিয়ে যাওয়ার মতো বিষয় নয়। এমবাপ্পে অত্যন্ত বড় মাপের ফুটবলার। তিনি সকলের কাছে উদাহরণ।’
সৌদি আরবের কাছে বিশ্বকাপ অভিযান শুরু করেছিল মেসির আর্জেন্টিনা। অনেক ফুটবলপ্রেমীই মনে করেছিলেন, গ্রুপ পর্ব থেকেই বিদায় নিতে হবে তাদের। কিন্তু ওই অবস্থা থেকে পর পর সব ম্যাচ জিতে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হন মেসিরা। ফার্নান্ডেজ বলেছেন, মেসি না থাকলে এই সাফল্য সম্ভব হতো না। দল ফাইনাল পর্যন্ত পৌঁছতেই পারত না। প্রথম ম্যাচে অপ্রত্যাশিত ধাক্কার পর মেসিই উদ্বুদ্ধ করেছিলেন সতীর্থদের। তার জন্যই গ্রুপের দ্বিতীয় ম্যাচ থেকে নতুন উৎসাহে, উদ্যমে খেলতে শুরু করেন আর্জেন্টিনার ফুটবলাররা।
ফার্নান্ডেজ বলেছেন, ‘সৌদি আরবের বিরুদ্ধে ম্যাচের পর মেসি দলের বৈঠকে বক্তব্য রেখেছিল। বলেছিল, আমাদের আরো একাত্ম হয়ে খেলতে হবে। আরো বোঝাপড়া বাড়াতে হবে। মেসি আমার আদর্শ। তার কথা মনে এলেই মনটা অন্যরকম হয়ে যায়। মেসিকে ব্যাখ্যা করার মতো শব্দ আমার জানা নেই। মেসি সর্বকালের শ্রেষ্ঠ ফুটবলার।’
ফার্নান্ডেজের এখনো মাঝে মাঝে বিশ্বাস হয় না, তিনি বিশ্বজয়ী দলের সদস্য। তিনি বলেছেন, ‘মাত্র এক সপ্তাহ আগে জানতে পেরেছিলাম আমি বিশ্বকাপ খেলতে যাচ্ছি। খবরটা শুনে কেঁদে ফেলেছিলাম। ছোট থেকে দেশের হয়ে বিশ্বকাপ খেলার স্বপ্ন দেখতাম। অবসর সময় বাড়িতে ইউটিউবে বিশ্বকাপের খেলা দেখতাম। বলতে পারেন বিশ্বকাপ নিয়ে পাগল ছিলাম। বিশ্বকাপে খেলব জানতে পেরে খুব আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েছিলাম।’
চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর কেমন ছিল অনুভূতি? ফার্নান্ডেজ বলেছেন, ‘ফ্রান্সের বিরুদ্ধে ফাইনাল জেতার পর প্রথমেই মেসিকে ধন্যবাদ জানিয়েছিলাম। অনুরোধ করেছিলাম, কখনো যেন আমাদের থেকে দূরে চলে না যায়। আমি সব সময় মেসির পাশে থাকতে চাই।’
সূত্র : আনন্দবাজার পত্রিকা