শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ১১:১১ পূর্বাহ্ন

কিডনি রোগ এড়ানোর উপায়

ডা: মো: তৌহিদ হোসাইন
  • আপডেট টাইম : শনিবার, ১১ মার্চ, ২০২৩
  • ৯৪ বার

প্রতি বছর মার্চ মাসের দ্বিতীয় বৃহস্পতিবার কিডনিজনিত রোগ প্রতিরোধ এবং এর ঝুঁকিবিষয়ক সচেতনতা সম্পর্কে জনগণকে অধিক সচেতন ও শিক্ষিত করতে বিশ্বজুড়ে কিডনি দিবস পালন করা হয়।

এই বছর কিডনি দিবসের প্রতিপাদ্য ছিল, ‘সুস্থ কিডনি সবার জন্য’। বিশ্বে প্রতিদিন ৪,৬৫৭.৫ জন, প্রতি ঘণ্টায় ১৯৪ জন এবং প্রতি মিনিটে ৩.৩ জন মানুষ মারা যাচ্ছে কিডনি রোগে।

বাংলাদেশে দুই কোটি মানুষ কোনো-না-কোনোভাবে কিডনি রোগে আক্রান্ত। প্রতি বছর চার লাখ মানুষ নতুন করে কিডনি রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। মহামারীর মতোই প্রতিদিনই বাড়ছে এই কিডনি রোগীর সংখ্যা।
বাংলাদেশে ৭০-৮০ হাজার আছে ডায়ালাইসিস ও ট্রান্সপ্লান্টযোগ্য রোগী। এর মধ্যে ১০ শতাংশ রোগী নিজ খরচে অনেক কষ্টে ডায়ালাইসিস চালাতে পারে। আর ছয় মাসের মধ্যে টাকার অভাবে ডায়ালাইসিস বন্ধ করে দেয় ৭৫ শতাংশ লোক।

৮৫ শতাংশ রোগী কিডনি নষ্ট হওয়ার আগে বুঝতে পারে না তারা কিডনির রোগে আক্রান্ত। নানা কারণে আমাদের দেশে ৮০ থেকে ৯০ শতাংশ লোকের কিডনি ধীরে ধীরে বিকল হয়ে যাচ্ছে। ডায়াবেটিস রোগীর ৩০-৪০ শতাংশ আর উচ্চ রক্তচাপে যারা ভুগছেন তাদের ১৮-২০ শতাংশ ক্রনিক কিডনি রোগে আক্রান্ত হয়ে থাকেন।
বাস্তবতা হচ্ছে, নিম্ন আয়ের দেশে ৯০ শতাংশ কিডনি রোগী কিডনি ডায়ালাইসিস ও কিডনি সংযোজন থেকে বঞ্চিত।

অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাত্রা এবং পুষ্টিহীন-অবৈজ্ঞানিক খাদ্যাভাসসহ অনেক কারণে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে কিডনির সাথে সম্পর্কিত অসুস্থতার সংখ্যা মহামারী আকারে বেড়ে গেছে।

কিডনি হলো রক্ত পরিশোধনের শোধনাগার যা রক্ত পরিষ্কার করার কর্মীর মতো কাজ করে। খাদ্য গ্রহণ ও কাজ করার ফলে শরীরের যে অসংখ্য ক্রিয়া-বিক্রিয়া ঘটে তার ফলে অনেক ধরনের বর্জ্য পদার্থ শরীরে তৈরি হয়। আর বেঁচে থাকার তাগিদে অপ্রয়োজনীয় অংশ শরীর থেকে বের করে দিতেই হবে। মানুষের শরীর থেকে এসব বর্জ্য পদার্থ বের করার মাধ্যম হলো চারটি। কিডনি, রেস্পিরেটরি সিস্টেম, চামড়া এবং মুখ-খাদ্যনালী-পায়ুপথ।

একজন মানুষের শরীরে মোট রক্তের পরিমাণ পাঁচ-ছয় লিটার। মানব শরীরের হার্ট থেকে যত রক্ত সারা শরীরে ছড়িয়ে দেয়ার জন্য পাম্প হয়, তার ২৫ শতাংশ রক্তই কিডনির ভেতর দিয়ে প্রবাহিত হয়। দুই কিডনিতে ২০ লাখ নেফ্রন বা ছাঁকনি দিয়ে প্রতিদিনে গড়ে সর্বোচ্চ ১৮০ লিটার এবং প্রতি মিনিটে ১২০-১২৫ মিলিলিটার রক্ত ফিলট্রেট হয়। শরীরের সব রক্ত প্রতি ৩০ মিনিটে একবার করে নেফ্রন দিয়ে ফিলট্রেট হতে হয়। এই ফিলট্রেশনের মাত্র ১ শতাংশ দিয়ে প্রস্রাব তৈরি হয়, বাকি ৯৯ শতাংশ শরীর তার নিজের প্রয়োজনে পুনরায় শরীরে ঢুকিয়ে নেয়।

কিডনির বিভিন্ন ধরনের রোগ রয়েছে যেমন কিডনিতে আঘাত, ক্রনিক কিডনি রোগ (সিকেডি) রেনাল স্টোনস, নেফ্রোটিক সিন্ড্রোম, গ্লামারিউলোনেফ্রিটিস, রেনাল সেল কারসিনোমা, মূত্রনালীর সংক্রমণ, উত্তরাধিকার সূত্রে বা জন্মগত আসা কিডনি রোগ ইত্যাদি।

কিডনি বিকলতার নানাবিধ কারণের মধ্যে কিডনি টিস্যুর প্রদাহ, নিয়ন্ত্রণহীন দীর্ঘমেয়াদি ডায়াবেটিস, নিয়ন্ত্রণহীন দীর্ঘমেয়াদি উচ্চ রক্তচাপ, ধূমপান ও মাদকদ্রব্যে আশক্তি, অনিয়ন্ত্রিত লাইফ স্টাইল। জন্মগত ত্রæটি, জেনেটিক এবং পারিবারিক ধারার অসুখগুলো।

কিডনিতে ড্যামেজ প্রক্রিয়া একবার শুরু হলে তা অব্যাহতভাবে আমৃত্যু চলতেই থাকবে। ওষুধ বা অন্য কোনো উপায়ে এই ড্যামেজ প্রক্রিয়া বন্ধ করা যায় না। তবে ধীর করা যায়।

ক্রনিক কিডনি ডিজিজকে চিকিৎসা করা, পর্যবেক্ষণে রাখা এবং ডায়ালাইসিস লাগবে কি লাগবে না এর ওপর ভিত্তি করে তিনটি ধাপে পর্যবেক্ষণ করা যায়।

প্রথমত, জিএফআর যখন ১২৫-৬০ মিলিলিটার/মিনিট- এই রেঞ্জের মধ্যে থাকে অথচ রোগীর কোনো উপসর্গ থাকে না ।

দ্বিতীয়ত, স্টেজ ২-৪ : জিএফআর ৮৯-১৫ মিলিলিটার/মিনিট। সতর্ক অবস্থানে থেকে চিকিৎসা চালিয়ে যেতে হবে। একপর্যায়ে চিকিৎসকের পরামর্শমাফিক স্টেজ-৩ বা স্টেজ-৪-এ আসার পর পরই বাম হাতের ফিসটুলা করে ফেলতে হবে। কিন্তু ডায়ালাইসিস এই স্টেজে সাধারণত শুরু করার প্রয়োজন হয় না।

তৃতীয়ত, এই ধাপটিকে মূলত অ্যান্ড স্টেজ রেনাল ডিজিজ বা ইএসআরডি বলে। এখানে এসে ডায়ালাইসিস ছাড়া রোগীর জীবন চলে না।

চতুর্থ ধাপে জিএফআর ৫৯-১৫ মিলিলিটার/মিনিট থাকে।

স্টেজ-১ থেকে স্টেজ-৩ পর্যন্ত সাধারণত রোগীর কোনো উপসর্গ থাকে না। তবে ল্যাবরেটরিতে প্রস্রাব পরীক্ষা করে প্রস্রাবের সাথে অতিরিক্ত এলবুমিন বের হয়ে যাওয়া বোঝা যাবে। রেনাল বায়োপসি করে দেখা যাবে রোগীর কিডনিতে হিস্টোলজিক পরিবর্তন আছে। এমতাবস্থায় রোগীকে বুঝতে হবে তার কিডনির ড্যামেজ প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গেছে এবং সর্বদা নেফ্রোলজিস্টের তত্ত্বাবধানে তাকে চলতে হবে।

স্টেজ-২ : জিএফআর সামান্য কমে যাবে যার লেভেল হবে ৮৯-৬০ মিলিলিটার/মিনিট। বাহ্যিক কোনো উপসর্গ এখানেও না থাকতে পারে।
স্টেজ-৩ : মডারেট ফেইলিউর। জিএফআর ৫৯-৩০ মিলিটার/মিনিটের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকে।
স্টেজ-৪ : সিভিয়ার ফেইলিউর। জিএফআর ২৯-১৫ মিলিলিটার/মিনিটের মধ্যে সীমাবদ্ধ।
স্টেজ-৫ : এন্ড স্টেজ রেনাল ডিজিজ বা ইএসআরডি। জিএফআর ১৫ মিলিলিটার/মিনিটের চেয়েও কম।

কখন বুঝবেন ক্রনিক কিডনি ডিজিজের প্রাথমিক পর্যায়
যখন দেখবেন ক্রমাগত তিন মাস আপনার জিএফআর বা সিরাম ক্রিয়েটিনিন লেভেল নরমাল কিন্তু বায়োপসি টেস্টে হিস্টোলজিক অ্যাবনরমালিটি তথা কিডনির ড্যামেজ প্রক্রিয়া ধরা পড়েছে।

যখন দেখবেন জিএফআর লেভেল ৬০ মিলিলিটার/মিনিটের নিচে অব্যাহতভাবে তিন মাস থাকবে অথচ বায়োপসি টেস্টে কোনো হিস্টোলজিক অ্যাবনরমালিটি নেই।

ক্রনিক কিডনি ডিজিজ একটি ধীরে ধীরে কিন্তু স্থায়ীভাবে দুটো কিডনিই একসাথে বিকল হওয়া রোগ, যাকে আমরা বলি প্রগ্রেসিভ ডিজিজ। যার বিকল প্রক্রিয়া একবার শুরু হলে সম্পূর্ণ বিকল না হওয়া পর্যন্ত কোনো ওষুধ দিয়েও থামানো যায় না। তবে এ রোগের চিকিৎসায় কিডনি বিকল হওয়ার গতি কমিয়ে আনা যায়।

যেখানে ক্রনিক কিডনি ডিজিজ শনাক্ত করতে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদেরই বেশ কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষা করতে হয়, সেখানে সাধারণ মানুষের পক্ষে উপসর্গ বোঝা প্রায় অসম্ভব। এ জন্যই এই রোগটি সম্পর্কে সাধারণ মানুষকে অনেক বেশি সচেতন থাকতে হবে। তবে কিডনিতে ক্ষতি যখন অপরিবর্তনীয় হয়ে যায় তখন সতর্ক রোগীরাও বেশ কয়েকটি লক্ষণ অনুভব করতে পারেন, যেমন- গোড়ালি এবং পা ফোলা, ওজন হ্রাস, ক্ষুধা মন্দা, রক্তশূন্যতা হয়ে ফ্যাকাসে দেখানো, শারীরিক দুর্বলতা, প্রস্রাবে সমস্যা ইত্যাদি।

অত্যন্ত ব্যয়বহুল ও অনেকটাই অকার্যকর এই চিকিৎসা। এই রোগ নির্ণয়ের একটি সহজ উপায় হলো সিরাম ক্রিয়েটিনিন করে কিডনি বিকল হয়েছে কি না অনেকটাই প্রাথমিকভাবে বোঝা যায় কিন্তু সমস্যা হলো আমাদের কিডনির রিজার্ভ পাওয়ার অনেক বেশি হওয়ার কারণে কিডনি ফাংশন ৫০-৬০ শতাংশ লস না হওয়া পর্যন্ত সিরাম ক্রিয়েটিনিন পরীক্ষা করলেও রিপোর্ট নরমাল দেখাবে। এ জন্যই একে নীরব ঘাতক রোগ বলা হয়।

সাধারণত ক্রমাগতভাবে উচ্চ রক্তচাপ ১০-১৫ বছর এবং ডায়াবেটিস ৫-১০ বছর আনকন্ট্রোল থাকলে কিডনি বিকল হওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়ে যায় এবং একবার শুরু হয়ে গেলে মৃত্যু না হওয়া পর্যন্ত থামে না। সুতরাং এ প্রাণঘাতী রোগ থেকে বাঁচার উপায় হলো- রোগ যাতে না হতে পারে সে ব্যবস্থা করা।
যদি কেউ এমন কোনো লক্ষণ অনুভব করেন, যা কিডনির রোগের ইঙ্গিত দেয় তবে তাদের তাৎক্ষণিকভাবে চিকিৎসকের পরামর্শ নেয়া উচিত।

কোনো পরীক্ষা না করেও আপনি কিডনি রোগে ভুগছেন কি না সন্দেহ করুন নিম্ন লিখিত উপসর্গ লক্ষ করে
প্রস্রাবের সাথে রক্ত বের হওয়া, বিশেষ করে রাতের বেলায় অল্প পরিমাণে কিন্তু বারবার প্রস্রাব হওয়া, কোনো কারণ ছাড়াই কিছুটা দুর্বল লাগতে থাকা, শরীরের চামড়া শুকনা খসখসে হতে থাকা, ফেনা ফেনা প্রস্রাব হওয়া, চোখের পাতা এবং পায়ের গোড়ালি ফুলে যাওয়া, ক্ষুধা মন্দা চলে আসা এবং মাংসপেশিতে কামড়ানো অনুভব করা।

পরিত্রাণের সহজ উপায়
চারটি স্তরে কিডনি রোগকে নিয়ন্ত্রণ করতে হবে।
প্রথম স্তর : কিডনি রোগ সম্পর্কে সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ে গণসচেতনতা বাড়াতে হবে। স্বাস্থ্য খাতে সরকারের ব্যয় বাড়াতে হবে। দ্বিতীয়ত কিডনি রোগের রিস্ক ফ্যাক্টর নিয়ন্ত্রণ। অর্থাৎ যেসব কারণে রোগটি ত্বরান্বিত হয় তা নিয়ন্ত্রণ করা।

কিছু কারণ আছে যেগুলো মানুষ ইচ্ছা করলে কম বেশি নিয়ন্ত্রণ করতে পারে। যেমন- ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, এলোমেলো ব্লাড লিপিড লেভেল, স্থূলতা, ধূমপান, মদ্যপান, প্রয়োজন এবং চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া ব্যথানাশক ওষুধ খাওয়া ইত্যাদি।

পরিশ্রম, হালকা থেকে মাঝারি ধরনের নিয়মিত ব্যায়াম যেমন যখন যতটা পারা যায় হাঁটা, দৌড়ানো, সাঁতার কাটা, সাইকেল চালনা ইত্যাদিতে অভ্যস্ত হওয়া। ধূমপান-মাদক-নেশাদ্রব্য পুরোপুরি পরিহার করা। পর্যাপ্ত ঘুম হওয়া, পরিমিত বিশ্রাম ও চিন্তামুক্ত জীবন যাপনকে অভ্যাসে পরিণত করা।

সর্বোপরি ভালো চিন্তা করা, সৎ ও ধর্মীয় জীবন পরিচালনা, হিংসা-বিদ্বেষ, পরশ্রীকাতরতা, লোভ-লালসা পরিহার করা এবং ক্রোধ দমন করা; কারণ এসব জিনিসেই স্বাস্থ্যের ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়ে।

এক কথায়, কায়িক পরিশ্রম ও নিয়মিত শরীরচর্চা, উচ্চ রক্তচাপ ও ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ, সুপ্ত উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে নিয়মিত রক্তচাপ পরীক্ষা, স্বাস্থ্যসম্মত পুষ্টিকর খাবার গ্রহণ ও ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা, পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান, ধূমপান ও মদ্যপান থেকে বিরত থাকা, ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া কোনো ওষুধ সেবন না করা এবং নিয়মিত কিডনির কার্যকারিতা পরীক্ষা করা এবং পরিচ্ছন্ন জীবন পরিচালনা।

কিছু কারণ আছে যেগুলো মানুষের আওতার বাইরে। যেমন- জেনেটিক্যালি কিডনি রোগের রোগী বা বাহক হওয়া। বয়সের সাথে সাথে নেফ্রন বা ছাঁকনির পরিমাণ কমে যাওয়া ফলে জিএফআর কমে যাওয়া, কিডনি রোগের পারিবারিক ইতিহাস, কিডনি জটিলতা নিয়েই জন্মগ্রহণ বা জন্মগত ত্রুটি নিয়েই দুনিয়ায় আগমন ইত্যাদি ফ্যাক্টর, যা থাকা না থাকা মানুষের নিয়ন্ত্রণের মধ্যেই নেই।

তৃতীয় স্তর : সেকেন্ডারি প্রতিরোধ অর্থাৎ রোগ প্রাথমিক পর্যায়ে শনাক্তকরণ ও রোগের প্রথম অবস্থায় চিকিৎসা করা। বর্তমানে ডায়াবেটিসের জন্য ব্যবহৃত একটি ওষুধ সোডিয়াম-গ্লুকোজ কো-ট্রান্সপোর্টার-২ ইনহিবিটর কিডনি রোগের ক্রমবর্ধমান ক্ষতি কমিয়ে থাকে।

এ ছাড়াও ভেসোপ্রেসিন রিসেপ্টর এন্টাগনিস্ট ওষুধ জন্মগত কিডনি রোগীর পলিসিস্টিক কিডনি রোগের ক্ষতি কমিয়ে দিতে পারে।

যারা ডায়াবেটিস, উচ্চরক্তচাপ, বংশগত কিডনি রোগ, কিডনির ক্ষতিকারক ওষুধ, হারবাল ওষুধ, নেশার জন্য ওষুধ, স্থানীয় কবিরাজি ওষুধ গ্রহণ করে এবং যাদের স্বাস্থ্য ইতিহাসে কিডনি অকেজো হয়েছিল এবং যাদের বয়স ৬৫ বছরের ঊর্ধ্বে- তাদের কিডনি রোগ পরীক্ষা করা।

চতুর্থ স্তর : টারশিয়ারি প্রতিরোধ হলো যখন রোগী কিডনি রোগে আক্রান্ত; সে ক্ষেত্রে কিডনি রোগের জটিলতা থেকে প্রতিকার পাওয়ার জন্য চিকিৎসা প্রদান। ডায়ালাইসিস এবং ট্রান্সপ্লান্টেশন চিকিৎসাব্যবস্থা অব্যাহত রেখে আমরা জটিল কিডনি রোগের বিপর্যয়কর পরিস্থতির হাত থেকে বাঁচতে পারি।

লেখক : প্রজেক্ট ডাইরেক্টর, সিজেডএম কিডনি ডায়ালাইসিস অ্যান্ড ট্রান্সপ্লান্ট সেন্টার, শ্যামল বাংলা রিসোর্ট, কেরানীগঞ্জ, ঢাকা।

নিউজটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved © 2019 bangladeshdailyonline.com
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com