সুলতান’স ডাইনের কাচ্চি বিরিয়ানিতে খাসির পরিবর্তে অন্য প্রাণীর মাংস ব্যবহারের কোনো সত্যতা না পাওয়ায় অভিযোগ থেকে অব্যাহতির সুপারিশ করেছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর।
সোমবার দুপুরে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের মহাপরিচালক এ এইচ এম শফিকুজ্জামান এই তথ্য জানিয়েছেন। রাজধানীর কারওয়ান বাজারে নিজেদের কার্যালয়ের কনফারেন্স রুমে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ তথ্য জানান।
সম্প্রতি সুলতান’স ডাইনের বিরুদ্ধে অন্য প্রাণীর মাংস বিক্রির অভিযোগ আসে। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সমালোচনার ঝড় উঠে। এ নিয়ে শুনানি ডাকে জাতীয় ভোক্তা অধিকার।
সংবাদ সম্মেলনে ভোক্তা অধিকারের মহাপরিচালক শফিকুজ্জামান বলেন, ‘সুলতানস ডাইনসে অন্য প্রাণীর মাংস বিক্রির অভিযোগের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার প্রতিষ্ঠানটির গুলশান-২ শাখা সরেজমিনে তদন্ত করা হয়।’
‘সোমবার প্রতিষ্ঠানের পক্ষে জিএম, এজিএম এবং উক্ত শাখার ম্যানেজার শুনানিতে উপস্থিত হয়ে মৌখিক ও লিখিত বক্তব্য দেন। রেষ্টুরেন্টটি সরেজমিন তদন্ত এবং অভিযুক্তের মৌখিক ও লিখিত বক্তব্য পর্যালোচনা করেছি আমরা।’
শফিকুজ্জামান বলেন, ‘সুলতানস ডাইন কাপ্তান বাজারের মা বাবার দোয়া গোস্ত বিতান নামের একটি দোকান থেকে ভেন্ডরের মাধ্যমে খাসির গোস্ত সংগ্রহ করে থাকে। কাপ্তান বাজারে খাসি জবাই করার সময় অভিযুক্ত প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি মাঝেমধ্যে উপস্থিত থাকেন। ভেন্ডর নিজ দায়িত্বে গোস্ত অভিযুক্ত প্রতিষ্ঠানে পৌঁছায়।’
‘গত বৃহস্পতিবার সুলতানস ডাইনের ম্যানেজার মৌখিকভাবে ১৫০ কেজি খাসির গোস্ত সংগ্রহের কথা জানান। কিন্তু ভেন্ডর ১২৫ কেজি সরবরাহের কথা জানান। সন্দেহযুক্ত চিকন হাড়ের ব্যাপারে অভিযুক্ত জানান যে সাত থেকে নয় কেজি ওজনের খাসির গোস্ত তারা ব্যবহার করেন এবং আকারে ছোট হওয়ায় এ সকল খাসির হাড় চিকন হয়।’
ভোক্তা অধিকারের মহাপরিচালক বলেন, ‘যে মোবাইল নাম্বার থেকে অভিযোগ দেয়া হয়েছিলো তাও বন্ধ পাওয়া যায়। খাসি বাদে অন্য প্রাণীর মাংস ব্যবহার নিঃসন্দেহতীতভাবে প্রমাণিত না হওয়ায় অভিযুক্ত প্রতিষ্ঠান সুলতানস ডাইনকে অন্য প্রাণীর মাংস ব্যবহারের অভিযোগ থেকে অব্যহতি দেয়া যেতে পারে।’
সংবাদ সম্মেলনে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের সহকারী পরিচালক মুহাম্মদ হাসানুজ্জামান, মো: আব্দুল জব্বার মণ্ডল প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।