সিরিজ জয়ের মিশনে আজ (বৃহস্পতিবার) নামছে বাংলাদেশ। শুধু সিরিজ জয় নয়, জিতলেই আইরিশদের হোয়াইটওয়াশেরও তিক্ত স্বাদ দেবে টাইগাররা। ধারাভাষ্য রুম থেকে হয়ত আবারো আতহার আলী খান কিংবা শামীম চৌধুরীর মুখ থেকে ভেসে আসবে ‘বাংলাওয়াশ’ শব্দটি।
স্থানীয় সময় দুপুর ২টায় সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে আয়ারল্যান্ডের মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ। সিরিজ জয়ের স্বস্তি নিয়েই অবশ্য মাঠে নামতে পারত টাইগাররা, খেলতে পারত আজ ভাবনাহীনভাবে। কিন্তু তা আর হলো কই! দ্বিতীয় ম্যাচে বেরসিক বৃষ্টি বদলে দিয়েছে হিসাব-নিকাশের খাতা।
প্রথম ওয়ানডেতে ১৮৩ রানের জয় পায় বাংলাদেশ, যা রানের দিক থেকে নিজেদের ইতিহাসের সবচেয়ে বড় জয়। দ্বিতীয় ম্যাচেও নিজেদের ওয়ানডে ইতিহাসের সর্বোচ্চ ৩৪৯ রানের সংগ্রহ পায় স্বাগতিকরা, তবে ওই ম্যাচে এত বড় সংগ্রহ নিয়েও জয়ের স্বাদ পায়নি বাংলাদেশ। যদিও হারেনি, বৃষ্টির বাধায় পরিত্যক্ত হয় ম্যাচটি।
তবে প্রথম দুই ম্যাচে থেকে ১-০ তে এগিয়ে থাকায় আয়ারল্যান্ডকে হোয়াইটওয়াশ করার সুযোগ আছে টাইগারদের। শেষ ম্যাচে জয় পেলে ২-০ ব্যবধানে হোয়াইটওয়াশ করার স্বাদ পাবে তারা।
ওয়ানডেতে বরাবরই সমীহ জাগানিয়া বাংলাদেশ, এই সংস্করণেই সর্বোচ্চ ১৬ বার প্রতিপক্ষকে হোয়াইটওয়াশের তিক্ত স্বাদ উপহার দিয়েছে। বাকি দুই সংস্করণ টেস্ট ও টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের এই অভিজ্ঞতা হয়েছে যথাক্রমে তিন ও চারবার করে। ২৩ হোয়াইটওয়াশের মধ্যে ১৫টি দেশে, সাতটি প্রতিপক্ষের মাঠে।
ওয়ানডেতে ১৬ বারের মাঝে সর্বাধিক ছয়বার জিম্বাবুয়েকে হোয়াইটওয়াশ করেছে বাংলাদেশ। তাছাড়া ওয়েস্ট ইন্ডিজকে তিনবার, নিউজিল্যান্ড ও কেনিয়াকে দু’বার করে এবং আয়ারল্যান্ড, স্কটল্যান্ড ও পাকিস্তান একবার করে হোয়াইটওয়াশ করছে টাইগাররা। তবে আজ সিলেটে জয় পেলে আইরিশদের বিপক্ষেও দু’বার হোয়াইটওয়াশের স্বাদ পাবে বাংলাদেশ।