নিউইয়র্ক সিটির বিভিন্ন দোকানে ডাকাতির মতো অপরাধ নিয়ন্ত্রণে অদ্ভূত এক অনুরোধ জানিয়েছেন মেয়র এরিক অ্যাডামস। সোমবার টেন টেন উইন্স রেডিও স্টেশনকে দেয়া এক সাক্ষাতকারে মেয়র বলেন, ফেসমাস্ক সরিয়ে চেহারা দেখানোর আগ পর্যন্ত দোকানগুলোতে কাউকে ঢুকতে দেয়া যাবে না। তবে দোকানে ঢোকার পর কেউ চাইলে আবার ফেসমাস্ক ব্যবহার করতে পারে।
এর ফলে অপরাধী শনাক্ত করা যেমন সহজ হবে তেমনি অপরাধ প্রবনতাও নিয়ন্ত্রণ করা যাবে বলে দাবি করেন নিউইয়র্ক সিটি মেয়র। অবশ্য কোন দোকানে ঢুকতে আগ্রহী ব্যক্তিকে ফেসমাস্ক খুলতে বাধ্য করার দায়িত্ব দোকানকর্মীদেও ওপরেই চাপিয়েছেন এরিক অ্যাডামস। সাক্ষাতকারে মেয়র আরো জানান, অপরাধীরা প্যান্ডেমিকের ভয়ে ফেসমাস্ক ব্যবহার করে না।
মেয়রের মতে, পুলিশের ভয়েই তারা ফেসমাস্ক পরিধান করে।একইদিন অনুষ্ঠিত ভিন্ন এক সংবাদ সম্মেলনে একই সুরে কথা বলেন এনওয়াইপিডি’র চিফ অব ডিপার্টমেন্ট জেফরি ম্যাডরি। সিটি পুলিশের পোষাকধারী কর্মকর্তাদের মধ্যে সর্বোচ্চ পদের অধিকারী এই ব্যক্তি সাংবাদিকদের বলেন, কোন দোকানে ঢোকার আগে মুখ থেকে ফেসমাস্ক সরানোর বিষয়টি সাধারণ ভব্যতার মধ্যে পড়ে। দোকানকর্মীদের নিরুদ্বিগ্ন রাখতে সবারই এর চর্চা করা উচিত বলেও জানান ম্যাডরি। সিটি কর্তৃপক্ষের এমন অদ্ভূত অনুরোধে সমালোচনার ঝড় উঠেছে বিভিন্ন মহলে।
সমালোচকদের যুক্তি অনুযায়ী, দোকানকর্মীর অনুরোধে কোন সশস্ত্র অপরাধী তার ফেসমাস্ক সরাবে না। তাছাড়া ইমিউনোকম্প্রোমাইজ্ড ব্যক্তির জন্য এই নিয়ম প্রাণঘাতী হয়ে উঠতে পারে বলেও আশংকা করছেন তারা। প্যান্ডেমিকের প্রকোপ কমে এলেও, সোমবার পর্যন্ত নিউইয়র্ক সিটিতে গড়ে দৈনিক ৬১১ জন কোভিড-১৯ ভাইরাসে আক্রান্ত হচ্ছেন। এদের মধ্যে প্রতি সপ্তাহে হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছেন গড়ে ২৪ জন।