নিউইয়র্ক নগর ছেড়ে মানুষ অন্য নগরে চলে যাচ্ছে, এই খবর বেশ পুরোনো। আমেরিকার অন্য যেকোনো বড় মেট্রোপলিটন এলাকার তুলনায় নিউইয়র্ক অঞ্চল ছেড়ে বেশি মানুষ অন্যত্র চলে যাচ্ছে। ২০১০ সালের পর থেকে নিউইয়র্ক নগর এলাকা থেকে ১০ লাখের বেশি মানুষ আমেরিকার অন্যান্য অঞ্চলে চলে গেছে।
মার্কিন জনগণনা রেকর্ড থেকে জানা যায়, নিউইয়র্ক নগর ছেড়ে অন্যত্র যাওয়ার হার ৪ দশমিক ৮ শতাংশ এবং দেশটির বৃহত্তম জনসংখ্যা অধ্যুষিত এলাকাগুলোর মধ্যে সর্বাধিক নেতিবাচক নেট মাইগ্রেশন হার। নিউইয়র্ক শহরের বাড়ি ভাড়া বৃদ্ধি, দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি এবং অতিরিক্ত কর আরোপের কারণে মানুষ দিন দিন নিউইয়র্ক নগর ছেড়ে চলে যাচ্ছে।
সম্প্রতি রকফেলার ইনস্টিটিউট অফ গভর্নমেন্টের প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে দেখা গেছে, শুধু নিউইয়র্ক নগর নয়, এই অঙ্গরাজ্যের গ্রামাঞ্চল ছেড়ে সাধারণ মানুষও অন্যত্র চলে যাচ্ছে। নিউইয়র্কের ছোট গ্রামাঞ্চলগুলোকে দুই ভাগে ভাগ করা যায়—রুরাল বা গ্রামীণ কাউন্টি এবং আপ স্টেট মাইক্রো পলিটন স্ট্যাটিস্টিক্যাল এলাকা বা মাইক্রোএসএ। গ্রামীণ কাউন্টিগুলো হল সেগুলো যা নিউইয়র্ক মেট্রোপলিটন এলাকার অংশ নয় এবং যে সব ছোট শহরে অন্তত ১০ হাজার বাসিন্দা নেই। আদমশুমারি ব্যুরো তাদের অনুমোদিত নয় বলে শ্রেণিবদ্ধ করে।
যেমন—অ্যালেগেনি, চেনাঙ্গো, ডেলাওয়্যার, এসেক্স, গ্রিন, হ্যামিলটন, লুইস, শ্যুইলার, সুলিভান, ওয়াইমিং ইত্যাদি কাউন্টি।
অন্যদিকে আপ স্টেট মাইক্রোপলিটন স্ট্যাটিস্টিক্যাল এলাকাগুলো এমন যেখানে কমপক্ষে দশ হাজার বাসিন্দা আছে এমন একটি শহর নিয়ে কাউন্টি। যেমন—আমস্টারডাম, অবার্ন, বাটাভিয়া, কর্নিং, কর্টল্যান্ড, গ্লোভার্সভিল, হডসন, জ্যামস্টাউন, ম্যালোন, ওগডেনসবার্গ, ওলিয়ান, প্ল্যাটসবার্গ, ওয়ানন্টা, সেনেকা এবং সেনেরা ফলস।
রকফেলার ইনস্টিটিউট অফ গভর্নমেন্টের প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে আরও জানা যায়, মাইক্রোএসএ এবং গ্রামীণ কাউন্টি হিসাবে চিহ্নিত অঞ্চলগুলো দ্রুত বাসিন্দা হারাচ্ছে। এই দুটি অঞ্চল আট বছরে ৫৪ হাজার ৬০০ বাসিন্দা বা এই অঞ্চলের মোট জনসংখ্যার ৪ দশমিক ৩ শতাংশ হারিয়েছে। প্রতিবেদনে নিউইয়র্কের এই দুই অঞ্চল থেকে কেন বাসিন্দারা অন্যত্র চলে যাচ্ছে, তার কারণ জানানো হয়নি। তবে ধারণা করা হচ্ছে, অতিরিক্ত কর বৃদ্ধি এর মূল কারণ।