ঈদের কেনাকাটায় ধুম পড়েছে নিউইয়র্ক অঞ্চলে। বাংলাদেশি অধ্যুষিত জ্যাকসন হাইটস, জ্যামাইকা, ওজোনপার্ক, চার্চ-ম্যাকডোনাল্ড, পার্কচেস্টার এলাকার প্রতিটি দোকানেই ক্রেতার অবিশ্বাস্য রকমের ভিড় লক্ষ্য করা যাচ্ছে। ক্রেতা-সাধারণের সামর্থ্যরে প্রতি যত্নবান হয়ে প্রায় সব ব্যবসায়ীই পোশাকের দাম কমিয়েছেন।
এ প্রসঙ্গে জ্যাকসন হাইটস বাংলাদেশি বিজনেস এসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট মাহাবুবুর রহমান টুকু বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, করোনা মহামারি থেকে জেগে উঠার পরিক্রমায় ইউক্রেন-রাশিয়ার যুদ্ধজনিত কারণে দ্রব্যমূল্য আকাশচুম্বি হয়েছে। অপরদিকে, অনেক প্রবাসীর কর্মঘণ্টা কমানো হয়েছে অর্থাৎ সাপ্তাহিক আয়ের পরিধি টেনে ধরা হয়েছে।
টুকু বলেন, গত দু’বছর থেকে বাড়ি ভাড়াও বেড়েছে। চাল, ডাল, তেল, শাক-সব্জি থেকে মাছ, মাংশ সবকিছুর দাম দ্বিগুণ। এতদসত্বেও পবিত্র রমজানের সংযমের শিক্ষায় আমার স্মৃতি ফ্যাশনে সকল পোশাকের মূল্য ৫৫% পর্যন্ত হ্রাস করেছি। টুকু বলেন, সবচেয়ে বেশি বিক্রি হচ্ছে ভারতের নায়রা এবং পাকিস্তানের আগানো। এছাড়া ক্রেতা-সাধারণের পছন্দের শীর্ষে রয়েছে সাজনী, কাবলি, পাঞ্জাবি, কুটি।
বাংলাদেশ স্ট্রিট এবং ৩৭ এভিনিউর কর্ণারে স্মৃতি ফ্যাশনের ভিড় সকাল-সন্ধ্যা পরিলক্ষিত হচ্ছে। আশপাশের আরো কয়েকটি স্টোরে ঈদের পোশাকের পসরা সাজানো হয়েছে। শুধু পোশাকই নয়, কসমেটিক্স, স্বর্ণালংকারও বিক্রি হচ্ছে দেদারসে। নিউইয়র্কের মত নিউজার্সি, পেনসিলভেনিয়া, ভার্জিনিয়া, ফ্লোরিডা, জর্জিয়া, মিশিগান, টেক্সাস, ক্যালিফোর্নিয়া থেকে আরিজোনা পর্যন্ত ঈদের ঢেউ ছড়িয়ে পড়েছে।