প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের অভিবাসন সমস্যাটি কেবল নীতিগত নয়। তিনি এ নিয়ে তেমন কথা বলছেন না বলে ডেমোক্র্যাটিক একটি জনমত জরিপে দেখা গেছে।
জরিপে দেখা যায়, সাতটি গুরুত্বপূর্ণ ইলেক্টরাল কলেজ ব্যাটেলগ্রাউন্ড রাজ্যের ৫৮ ভাগ ভোটার অভিবাসন সঙ্কট নিরসনে বাইডেনের পদক্ষেপকে সমর্থন করছে না। মাত্র ৩২ ভাগ জবাবদাতা তার সমর্থনে রয়েছে। আর ৫২ ভাগ লোক মনে করছে, সীমান্ত সমস্যাটি বাইডেন অগ্রাহ্য করছেন। এছাড়া ৫০ ভাগ মনে করছে, অবৈধ অভিবাসীদের ঘিরে যে পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে, সেটাও বাইডেন অবজ্ঞা করছেন।
গ্লোবাল স্ট্র্যাটেজি গ্রুপ সুইয়িং-স্টেট জরিপে এসব তথ্য প্রকাশ পেয়েছে।
জরিপে দেখা যায়, ডেমোক্র্যাটদের চেয়ে রিপাবলিকানরা সমস্যাটি নিয়ে বেশি কথা বলে, এই সমস্যা সমাধানে তারা বেশি বিশ্বস্ত বলেও জনমতে দেখা যাচ্ছে। পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার ক্ষেত্রে দুই দলই পর্যাপ্ত সফলতা দেখাতে পারেনি বলে জনমতে দেখা যাচ্ছে। তবে রিপাবলিকানদের চেয়ে ডেমোক্র্যাটরাই বেশি সমালোচনায় পড়েছে। অভিবাসন ইস্যু প্রশ্নে মাত্র ৩৯ ভাগ ভোটার বাইডেন ও কংগ্রেসে ডেমোক্র্যাটদের প্রতি আস্থা প্রকাশ করেছে। আর রিপাবলিকান আইনপ্রণেতাদের প্রতি আস্থা রেখেছে ৪৭ ভাগ ভোটার।
নতুন জরিপটি পরিচালনা করেছে অভিবাসনবিষয়ক গ্রুপ ইমিগ্রেশন হাব অ্যান্ড ভোটো ল্যাটিনো নামের একটি সংস্থা। এই রাজনৈতিক সংস্থাটি ল্যাটিনো ভোটার উপস্থিতির ওপর নজর দিয়ে থাকে। টাইটেল ৪২ নামের আইনটি বাতিল হতে যাওয়ার প্রেক্ষাপটে এই জরিপ চালানো হয়। এই আইনের ফলে স্বাস্থ্য ইস্যুকে কেন্দ্র করে সীমান্ত থেকেই অভিবাসীপ্রার্থীদের সরিয়ে দেওয়া যেত। আইনটির মেয়াদ শেষ হওয়ার ফলে নতুন করে অভিবাসীদের ঢল নামবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
সীমান্ত নীতির পরিবর্তন বাইডেনের জন্য একটি বড় ধরনের রাজনৈতিক পরীক্ষা বলে ধারণা করা হচ্ছে। তাকে দক্ষিণ সীমান্তে মানবিক সঙ্কট সমাধানে বেশি করে নজর দিতে হবে।
অ্যারিজোনা, জর্জিয়া, মিশিগান, নর্থ ক্যারোলিনা, নেভাদা, পেনসিলভানিয়া ও উইসকনসিনে ৪-১১ এপ্রিল এই জরিপ চালানো হয়। ২০২৪ সালে সম্ভাব্য ভোটার হবে, এমন ১,২০১ জন এতে অংশ নেয়।