ব্রুকলিন কমিউনিটির একটি অনলাইন বোর্ড সভা বুধবার রাতে ছিনতাই করেছিল হস্তমৈথুনরত এক ‘হ্যাকার।’ ফলে আয়োজকরা সভা স্থগিত করতে বাধ্য হয়েছিলেন। পরে অবশ্য এজন্য দুঃখপ্রকাশ করে সভাটি হয়েছিল।
কনি আইল্যান্ড হেলথ সেন্টারের এক প্রতিনিধি যৌনবাহিত রোগ নিয়ে কথা বলার সময়ই বিকৃত যৌনবাতিকগ্রস্ত ওই লোকের আবির্ভাব ঘটে এবং পরিবেশ নষ্ট করে ফেলে।
জানা গেছে, এসডিটি আলোচনার সময় স্ক্রিনের ওপরের বাম কোণে স্বমেহনে নিয়োজিত ব্যক্তিটিকে দেখা যায়। এতে সভায় বড় ধরনের বিভ্রান্তি ও বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হয়।
একই সময় বেশ কিছু অশ্লীল ও বর্ণবাদী শব্দও উচ্চারিত হয়। এমনকি এমন ঘোষণাও শোনা যায় : ‘এই সভা পর্নগ্রাফিক হিসেবে চিহ্নিত হলো। আর আমাকে যদি হোস্ট না করো এবং বিষয়টির সমাধান না করো, তবে সভা পাঁচ মিনিটের মধ্যে বন্ধ হয়ে যাবে।’ এরপর একই ব্যক্তিকে স্ক্রিনে হস্তমৈথুন করতে দেখা যায়।
এরপর সিবি ১৩-এর সভাপতি মুজিকা দিয়াজ সবাইকে লগ অফ করতে বলেন।
সভায় অংশগ্রহণকারী এক ব্যক্তি বলেন, ‘হ্যাকের ঘটনা ঘটেছিল। এটি ছিল পর্ন হ্যাক। একেবারে সামনাসামনি ঘটনা ঘটে! সবাই অবাক হয়ে গিয়েছিল।’
পরে নতুন লিঙ্ক পাঠিয়ে সভা শুরু হয়। সভাপতি দিয়াজ ওই ঘটনার জন্য ক্ষমা চেয়ে পুরো দায় হ্যাকারের ওপর চাপিয়ে দেন।
তিনি বলেন, ‘কারিগরি জটিলতার জন্য আমরা ক্ষমাপ্রার্থী। আমরা জানি না কী হয়েছিল। তবে বুঝতে পারছি যে আমরা হ্যাকের শিকার হয়েছিলাম।’
অবশ্য নিউইয়র্কের স্থানীয় সরকারের বৈঠকগুলোতে এক্স-রেটেড হ্যাক নতুন কিছু নয়। কোভিড-১৯-এর সময় থেকেই অনেক সভা অনলাইনে হচ্ছে এবং হ্যাকও হচ্ছে।
এমনকি সম্প্রতি নিউইয়র্ক পুলিশের একটি কমিউনিটি কাউন্সিল সভাও হ্যাক হয়েছিল।