বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসের ৫২তম বার্ষিকী উপলক্ষে মেক্সিকো সিটিস্থ দূতাবাস প্রাঙ্গণে এক জমকালো সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
অনুষ্ঠানে বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত, শিক্ষাবিদ, স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ এবং গণমাধ্যম কর্মীসহ উচ্চপদস্থ সরকারি কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন এবং সম্মানিত অতিথি ছিলেন মেক্সিকোর পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এশিয়া প্যাসিফিক বিভাগের মহাপরিচালক ফার্নান্দো গঞ্জালেজ সাইফে।
উল্লেখ্য, অনুষ্ঠানটি ২৬ মার্চের জন্য নির্ধারিত হলেও পবিত্র রমজান মাসের কারণে অনুষ্ঠানটি ২৮ এপ্রিল (শুক্রবার) অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানে মহাপরিচালক গঞ্জালেজ সাইফে তার বক্তব্যে বাংলাদেশ ও মেক্সিকোর মধ্যে ঘনিষ্ঠ ও ক্রমবর্ধমান বন্ধুত্বের কথা তুলে ধরে এই সম্পর্ককে আরো জোরদার করতে মেক্সিকোর অঙ্গীকারের কথা উল্লেখ করেন।
২০২২ সালের নভেম্বরে বাংলাদেশ ও মেক্সিকোর মধ্যে অনুষ্ঠিত দ্বিতীয় ফরেন অফিস কন্সাল্টেশনে অংশগ্রহণের সুবাদে তিনি বাংলাদেশের যে অভূতপূর্ব অর্থনৈতিক উন্নয়ন এবং সামাজিক অগ্রগতি প্রত্যক্ষ করেন তার ভূয়সী প্রশংসা করেছেন।
দুই দেশের মধ্যের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ককের ‘উজ্জ্বল সম্ভাবনা’ এর কথা উল্লেখ করে তিনি এই সম্পর্ককে আরো গতিশীল, শক্তিশালী ও বাস্তবমুখী করে গড়ে তুলতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ বলে জানান।
উল্লেখ্য, এ বছর ঢাকায় মেক্সিকোর দূতাবাস স্থাপনের প্রেক্ষাপটে তার এই অঙ্গীকার বিশেষভাবে তাৎপর্যপূর্ণ, যা দুই দেশের মধ্যে বৃহত্তর সহযোগিতা, যোগাযোগ ও অংশীদারিত্বের নতুন সম্ভাবনা সৃষ্টি করবে বলে আশা করা যাচ্ছে।
রাষ্ট্রদূত আবিদা ইসলাম তার সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং ১৯৭১ সালের মহান স্বাধীনতা যুদ্ধের সকল শহীদসহ বীর মুক্তিযোদ্ধা এবং দুই লাখ বীরাঙ্গণার অপরিসীম অবদানের জন্য তাদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
পারস্পরিক শ্রদ্ধা, বিশ্বাস ও অভিন্ন মূল্যবোধের ভিত্তিতে বাংলাদেশ ও মেক্সিকোর মধ্যকার স্থায়ী বন্ধনের কথা উল্লেখ করে রাষ্ট্রদূত বলেন, এ বছর ঢাকায় মেক্সিকোর দূতাবাস স্থাপনের মধ্য দিয়ে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক আরো জোরদার হবে এবং সহযোগিতার নতুন সুযোগ উন্মোচিত হবে।
পরে অতিথিদের ঐতিহ্যবাহী বাংলাদেশী খাবার পরিবেশনের মধ্য দিয়ে আপ্যায়ন করা হয়, যা তাদের বাংলাদেশের সমৃদ্ধ সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের স্বাদ দেয়।
উল্লেখ্য, মেক্সিকো সিটিস্থ বাংলাদেশ দূতাবাস বাংলাদেশ ও মেক্সিকোর মধ্যকার দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক জোরদারে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এবং ভবিষ্যতে সহযোগিতার জন্য নতুন পথ অনুসন্ধানে কাজ করে চলেছে।
সূত্র : ইউএনবি