পিলখানা ট্র্যাজেডির ১১ বছর আজ মঙ্গলবার। ২০০৯ সালের ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি ঢাকার পিলখানায় বিডিআর (বর্তমানে বিজিবি) সদর দপ্তরে নৃশংস হত্যাকাণ্ডের ওই ঘটনা ঘটে। ট্র্যাজেডিতে প্রাণ হারান ৫৭ সেনা কর্মকর্তাসহ ৭৪ জন বেসামরিক নাগরিক। আজ যথাযোগ্য মর্যাদায় শহীদ সেনা সদস্যদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানোর মধ্য দিয়ে স্মরণ করা হচ্ছে দিনটি।
মঙ্গলবার সকালে বনানী কবরস্থানে শহীদদের সমাধিতে রাষ্ট্রপতির পক্ষে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা জানান তার সামরিক সচিব মেজর জেনারেল এস এম শামীম উজ জামান। আর প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে শ্রদ্ধা জানান তার সামরিক সচিব।
এ ছাড়া স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদসহ নৌবাহিনী প্রধান এডমিরাল মোহাম্মদ শাহীন ইকবাল, বিমানবাহিনী প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল মাসিহুজ্জামান সেরনিয়াবাত ও বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল সাফিনুল ইসলামও শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান।
এ সময় তারা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান ও তাদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন। এরপর বিএনপিসহ অন্যান্য রাজনৈতিক দলের পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা জানানো হয় শহীদদের প্রতি।
দিনটি উপলক্ষে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) যেসব স্থানে রেজিমেন্টাল পতাকা উত্তোলন হয়, সেসব স্থানে বিজিবির পতাকা অর্ধনিমিত রয়েছে এবং কালো ব্যাজ ধারণ করেছেন বিজিবির সব সদস্য।
পিলখানা হত্যাকাণ্ড দিবস উপলক্ষে আগামীকাল বুধবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) বাদ আসর পিলখানার কেন্দ্রীয় মসজিদে শহীদদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে বিশেষ দোয়া ও মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত হবে। দোয়া ও মিলাদ মাহফিলে প্রধান অতিথি থাকবেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।
এ ছাড়া স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব, বিজিবি মহাপরিচালক, শহীদদের নিকটাত্মীয়, পিলখানায় কর্মরত সব অফিসার, জুনিয়র কর্মকর্তা, সৈনিক এবং বেসামরিক কর্মচারীরা অংশগ্রহণ করবেন।