বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ০৮:২৮ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
ইসকন ইস্যুতে দেশি-বিদেশি ইন্ধন থাকতে পারে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা চট্টগ্রামে আইনজীবী হত্যা, যে নির্দেশ দিলেন প্রধান উপদেষ্টা স্বৈরাচার পালিয়ে গেলেও তাদের লেজ রেখে গেছে : তারেক রহমান আইনজীবীকে ‘কুপিয়ে হত্যা করল’ ইসকন সদস্যরা অনির্দিষ্টকালের জন্য সেন্ট গ্রেগরি হাইস্কুল বন্ধ ঘোষণা অহিংস গণঅভ্যুত্থানের আহ্বায়কসহ ১৮ জনকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ ঢাকা ও চট্টগ্রামে ১০ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন রাষ্ট্রদ্রোহের ঘটনায় যুক্ত থাকলে ছাড় দেয়া হবে না : আসিফ মাহমুদ চিন্ময়কে গ্রেফতারের নিন্দা জানিয়ে ভারতের বিবৃতি মানুষ কেন তাদের ওপর বিক্ষুব্ধ, গণমাধ্যমের তা স্পষ্ট করা উচিত : নাহিদ ইসলাম

লবণাক্ত জমিতে ধান উৎপাদনের রেকর্ড

এনবিডি নিউজ ডেস্ক :
  • আপডেট টাইম : বুধবার, ৩ মে, ২০২৩
  • ৫৯ বার

উপকূলীয় জেলা বরগুনা সদর উপজেলার বুড়িরচর ইউনিয়নের চরগাছিয়া গ্রামের একটি মাঠে ২০০ বিঘা জমি প্রথমবারের মতো বোরো চাষের আওতায় এসেছে। আগের বছরগুলোতে এই সময়ে পতিত থাকত। এ বছর মাঠজুড়ে চাষ করা হয়েছে ব্রি-৬৭, ৭৪, ৮৯, ৯২, ৯৯ ধান ও বঙ্গবন্ধু-১০০ ধান। নমুনা শস্য কর্তনে রেকর্ড ফলন পাওয়া গেছে। প্রতি বিঘাতে ব্রি ধান ৮৯ হয়েছে ৩৭ মণ, ব্রি-৬৭ হয়েছে ২৮ মণ, ব্রি-৭৪ পাওয়া গেছে ২৮ মণ, ব্রি-৯৯ হয়েছে ২৮ মণ ও ব্রি-৯২ হয়েছে ৩৩ মণ।

বুধবার (৩ মে) দুপুরে নমুনা শস্য কর্তনে এই রেকর্ড ফলন পাওয়া গেছে বলে কৃষি মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে দাবি করা হয়েছে।

বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের (ব্রি) সেচ ও পানি ব্যবস্থাপনা বিভাগের উদ্যোগে এবং উপকূলীয় শস্য নিবিড়িকরণ কর্মসূচির আওতায় এই ২০০ বিঘা (২৭ হেক্টর) জমিতে ব্রি-৬৭, ব্রি-৭৪, ব্রি-৮৯, ব্রি-৯২, ব্রি-৯৭ ও ব্রি-৯৯ জাতের ধান চাষ করা হয়েছে। ৩০০ জন কৃষককে বীজ, সেচ, সারসহ সকল উপকরণ বিনামূল্যে দেয়া হয়েছে। খাল থেকে পানি এনে সেচ সুবিধা দেয়া হয়েছে। প্রয়োজনীয় পরামর্শও দেয়া হয়েছে তাদের।

নমুনা কর্তন অনুষ্ঠানে ব্রি মহাপরিচালক শাহজাহান কবীর, সেচ ও পানি ব্যবস্থাপনা বিভাগের প্রধান মো: মনিরুজ্জামান, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের বরিশালের অতিরিক্ত পরিচালক শওকত ওসমান, ব্রি বরিশাল আঞ্চলিক কার্যালয়ের কাজী শিরিন আখতার জাহান, বরগুনার উপ-পরিচালক সৈয়দ জোবায়দুল আলম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

এ সময় ব্রির মহাপরিচালক শাহজাহান কবীর বলেন, ধানের অবিশ্বাস্য ফলন হয়েছে। দেশের আর কোথাও বিঘাতে ৩৬ মণ ফলন পাইনি। অথচ উপকূলীয় এলাকার এ রকম জমি পতিত থাকে, যা আমাদের জন্য বিরাট ক্ষতির।

তিনি বলেন, এ বছর সম্ভাবনাময় পাঁচ থেকে ছয়টি জাত চাষ করেছি। যেগুলোর ফলন তুলনামূলক বেশি পাওয়া যাবে, আগামী বছর সেটির চাষ করা হবে। এত ফলন পাওয়ায় কৃষকেরা খুবই খুশী। তারা জানান, সামনের দিনগুলোতে ধান চাষ চালু রাখবেন। পানির সমস্যার কথা তুলে তারা আরো জানান, পানি পেলে এক ইঞ্চি জমিও পতিত রাখবেন না।

উল্লেখ্য, দেশের প্রায় ২৫ শতাংশ এলাকা হচ্ছে উপকূলীয় এলাকা। বরিশাল অঞ্চলে বিশেষত বরগুনা, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, পটুয়াখালী ও বরিশাল জেলায় শুকনো মওসুমে অনেক জমি পতিত থাকে। লবণাক্ততার কারণে বেশিরভাগ এলাকায় সারা বছরে একটি ফসল হয়। আমন ধান তোলার পর বছরের বাকি সময়টা মাঠের পর মাঠ জমি অলস পড়ে থাকে। এছাড়া লবণ পানির ভয়াবহতার কারণে প্রতিবছর শুষ্ক মৌসুমে উপকূলীয় এলাকায় ৫ লাখ হেক্টরেরও বেশি জমি অনাবাদি থেকে যায়। এর একটি কারণ হচ্ছে সেচ সুবিধার অভাব। যদিও এই অঞ্চলে বড় বড় নদী যেমন তেতুলিয়া, বলেশ্বর, বিষখালী, পায়রা, কীর্তনখোলাসহ বিভিন্ন নদীতে মিষ্টি পানির অনেক প্রাপ্যতা রয়েছে। সেজন্য, সেচ সুবিধাকে কাজে লাগিয়ে পতিত জমিকে চাষের আওতায় আনার মাধ্যমে উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে কৃষি মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে এবং বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের মাধ্যমে ‘উপকূলীয় শস্য নিবিড়িকরণ’ নামে একটি কর্মসূচি বাস্তবায়িত হচ্ছে। এই কর্মসূচির মাধ্যমে বোরো ২০২২-২৩ মওসুমে বরিশাল অঞ্চলে প্রায় ৩৫০০ বিঘা (৪৭০ হেক্টর) জমিতে ব্রি উদ্ভাবিত উচ্চফলনশীল যেমন ব্রি-৭৪, ব্রি-৮৯ ও ব্রি-৯২ এবং লবনসহনশীল জাত যেমন ব্রি-৬৭, ব্রি-৯৭ ও ব্রি-৯৯ জাতের ব্লক প্রদর্শনী স্থাপন করা হয়েছে।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের তথ্য অনুসারে এই বছর বরগুনা সদর উপজেলায় ৩ হাজার হেক্টর জমিতে বোরো আবাদ হয়েছে যা গত বছরের তুলনায় ৫০০ হেক্টর বেশি।

নিউজটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved © 2019 bangladeshdailyonline.com
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com