হিলিতে বাড়তে শুরু করেছে পেঁয়াজের দাম। ঈদে বিক্র হওয়া ৩০ টাকার পেঁয়াজ এখন বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৫৫ টাকায়।
দোকানিরা বলছেন, আমদানি বন্ধ থাকা এবং দেশীয় পেঁয়াজের ওপর চাপ পড়েছে বলেই বেড়েছে পেঁয়াজের দাম। অন্যদিকে আমদানিকারকরা বলছেন, পেঁয়াজ আমদানিতে সরকারের অনুমতিপত্র বা আইপি না থাকায় তারা পেঁয়াজের আমদানি করতে পারছেন না। তারা বলছেন, ভারত থেকে আমদানি শুরু হলে দেশের বাজারে পেঁয়াজের দাম কেজি প্রতি ৩০ থেকে ৩২ টাকায় নেমে আসবে।
হিলি স্থলবন্দর দিয়ে সবশেষ ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি হয়েছিল ১৫ মার্চ ২০২৩। এরপর এই বন্দর দিয়ে কোনো পেঁয়াজ আমদানি হয়নি। পেঁয়াজ আমদানির অনুমতিপত্র বা আইপির মেয়াদ ওই দিন শেষ হয়ে যাওয়ায় এরপর বন্দর দিয়ে আর পেঁয়াজ আমদানি হয়নি।
হিলি বাজার ঘুরে দোকানিদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, গেল ঈদে প্রতিকেজি পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ৩০ থেকে ৩২ টাকায়। এখন বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৫৫ টাকায়।
হিলি বাজারের দোকানি আব্দুল মালেক জানান, ভারতীয় পেঁয়াজের আমদানি বন্ধ থাকায় দেশী পেঁয়াজের ওপর চাপ পড়েছে আর ওই কারণেই বাড়ছে পেঁয়াজের দাম।
এদিকে গেলো ১০ দিনের ব্যবধানে হিলিতে পেঁয়াজের দাম বেড়েছে কেজিতে ২০ থেকে ২২ টাকা। হঠাৎ করে পণ্যটির দাম বেড়ে যাওয়ায় বেকায়দায় পড়েছে নিম্ন আয়ের মানুষেরা। ক্ষোভ জানিয়েছেন ক্রেতা-বিক্রিতা।
বন্দরের পেঁয়াজ আমদানিকারকরা বলছেন, আইপি বা অনুমতিপত্রের মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ায় তারা ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি করতে পারছেন না। নতুন করে আইপি দেয়া হলে দেশের বাজারে পেঁয়াজের সরবরাহ বাড়বে। একইসাথে পেঁয়াজের দাম নেমে আসবে ৩০ থেকে ৩২ টাকায়। পেঁয়াজের ঊর্ধ্বমুখী দাম ঠেকাতে নতুন করে আইপি দেয়ার পরামর্শ হিলি স্থলবন্দরের ব্যবসায়ীদের।