ব্যাংকগুলোর চাহিদা মেটাতে নিয়মিত ডলার বিক্রির মধ্যে আমদানি দায় মেটাতে এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়নে (আকু) সবশেষ অর্থ পরিশোধের পর দেশের বিদেশি মুদ্রার রিজার্ভ দাঁড়িয়েছে ২৯ দশমিক ৮ বিলিয়ন ডলার। সাত বছর পর বাংলাদেশ ব্যাংকে রক্ষিত রিজার্ভ ৩০ বিলিয়ন ডলারের নিচে নামল।
সোমবার (৮ মে) এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়নে (আকু) ১ দশমিক ১৮ বিলিয়ন ডলারের দায় সমন্বয়ের পর রিজার্ভ দাঁড়িয়েছে ২৯ দশমিক ৮ বিলিয়ন ডলারে। গত বৃহস্পতিবার রিজার্ভ ছিল ৩০ দশমিক ৯৯ বিলিয়ন ডলার। এ নিয়ে একবছরে রিজার্ভ কমল ১৪ বিলিয়ন ডলারের বেশি।
২০১৬ সালের জুনে রিজার্ভ ৩০ বিলিয়ন ডলার ছাড়ায়। এরপর বাড়তে বাড়তে ৪৮ বিলিয়ন ডলার পর্যন্ত ওঠে এবং তা থেকে কমেও যায়। কিন্তু ৩০ বিলিয়ন ডলারে নিচে নামেনি।
আকু হলো একটি আন্তঃদেশীয় লেনদেন নিস্পত্তি ব্যবস্থা। এর মাধ্যমে বাংলাদেশ, ভুটান, ভারত, ইরান, মালদ্বীপ, মিয়ানমার, নেপাল ও পাকিস্তানের মধ্যে লেনদেনের দায় পরিশোধ করা হয়। এসব দেশ প্রতি দুই মাস অন্তর নিজেদের মধ্যে বাড়তি দায় নিস্পত্তি করে। এর আগে গত মার্চে আকুতে বাংলাদেশের পরিশোধ ছিল ১ দশমিক শুন্য ৫ বিলিয়ন ডলার। গত জানুয়ারিতে পরিশোধ হয় ১ দশমিক ১২ বিলিয়ন ডলার। সাম্প্রতিক সময়ে সর্বোচ্চ ২২৪ কোটি ডলার পরিশোধ হয় গত বছরের মে মাসে।
দেশের ইতিহাসে রিজার্ভ সর্বোচ্চ ৪৮ বিলিয়ন ডলারের ঘর অতিক্রম করে ২০২১ সালের আগস্টে। করোনা পরবর্তী বৈশ্বিক চাহিদা বৃদ্ধি এবং রাশিয়া–ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাবে যে পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা দেশে আসছে, খরচ হচ্ছে সে তুলনায় বেশি। বাড়তি চাহিদা মেটাতে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ থেকে প্রতিনিয়ত ডলার বিক্রি করছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এতে রিজার্ভ ধারাবাহিকভাবে কমছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, গতবছরের ৩০ এপ্রিল দেশের রিজার্ভ ছিল ৪৪ দশমিক শুন্য ২ বিলিয়ন ডলার। সেখান থেকে কমে গত ডিসেম্বর শেষে ৩৩ দশমিক ৭৫ বিলিয়ন ডলারে নামে।