ফিলাডেলফিয়ায় দুর্বৃত্বের হাতে নিহত বাংলাদেশী যুবক আরিফুল হক জেমসের (৩১) জানাজা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গত ১৩ মে শুক্রবার বাদ জুমা ফিলাডেলফিয়ার আপার ডারবির আল মদিনা মসজিদে জেমসের জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। সর্বস্তরের হাজারেরও অধিক মানুষ জানাজায় অংশগ্রহন করেন। জানাজার পর জেমসকে আপারডারবি মসজিদের পাশে ফ্রেন্ডস কবর স্থানে দাফন করা হয়।
জানা যায়, বাংলাদেশী আরিফুল হক জেমস গত ৮মে দুর্বৃত্তেদের আঘাতে মর্মান্তিকভাবে নিহত হন। স্থানীয় সংগঠন বিটিএসপি’র সভাপতি তোজাম্মেল হক তোজার বড় ছেলে জেমসকে নর্থফিলি এলাকা থেকে ফিলাডেলফিয়া পুলিশ গুরুতর আহত অবস্থায় টেম্পল হাসপাতালে ভর্তি করে। জেমসের পরিবারকে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানায়, প্রচুর রক্তক্ষরণ ছাড়াও মাথায় এবং বুকে গুরুতর আঘাতের কারণে জেমসকে বাঁচানো সম্ভব হয়নি।
ফিলাডেলফিয়া শহরের আপার ডারবির বাসিন্দা জেমসের বাবার বাড়ি জয়পুরহাটের আক্কেলপুর উপজেরার তিলকপুর ইউনিয়নের ভাতকুড়ি গ্রামে। জেমসের মামা-বা ছাড়াও এক ভাই ও বোন রয়েছে। জেমস তার বাবার পরিবারকে সহযোগিতা করার জন্য দীর্ঘদিন ধরে তার বাবার গ্যারেজে কাজ করে আসছিলেন।
এদিকে আপার ডারবি টাউনশীপের কাউন্সিলম্যান, মিলর্বন বরোর মেয়র এবং ৫ জন কাউন্সিলম্যান, ফিলাডেলফিয়া ও আপারডারবি থেকে নির্বাচিত ৩২ জন কমিউনিটি কমিটি মেম্বার এবং আগামী ১৬ মে নির্বাচনে অংশগ্রহনকারী প্রার্থীসহ বৃহত্তর ফিলাডেলফিয়ার সামাজিক, রাজনৈতিক, ধর্মীয় সর্বমোট ২৭টি সংগঠনের কমকর্তা, ফিলাডেলফিয়ায় বসবাসরত বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ, মূলধারার রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ এবং সাধারন মানুষ জানাজায় অংশগ্রহন করেন।
জানাজায় অংশগ্রহনকারীরা এই জঘন্য হত্যাকান্ডের সুষ্ঠ তদন্তসহ বিচারের দাবী জানান। উপস্থিত সকলেই ফিলাডেলফিয়ার আইন শৃঙ্খলার অবনতির জন্য উদ্বেগ প্রকাশ করেন। প্রবাসীরা জেমস হত্যার ন্যায়বিচারসহ বৃহত্তর ফিলাডেলফিয়ায় আইন শৃঙ্খলার উন্নতির জোড়ালো দাবী জানান।
জানাজা এবং দাফনের পর জেমসের পিতা তোজ্জাম্মেল হক তোজা জানান, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এবং গোয়েন্দা সংস্থা প্রাথমিক তদন্তে হত্যাকান্ডের বিষয়টি নিশ্চিত করছে। ঘাতকদের কাউকে গ্রেফতার করা সম্ভব হয়নি। তিনি তার এ দুঃসময়ে যারা পাশে দাঁড়িয়েছেন তাদেরকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান।