নিউইয়র্ক সিটি কাউন্সিলের ডিস্ট্রিক্ট-২৫ এর কাউন্সিলম্যান শেখর কৃষ্ণানের পূননির্বাচনকে সামনে রেখে জ্যাকসন হাইটস-এ উৎসবমুখর পরিবেশে পোস্টার ক্যাম্পেইন হয়েছে। গত ১১ জুন রোববার নিউইয়র্কে প্রবাসী বাংলাদেশী কমিউনিটির প্রিয় ব্যক্তিত্ব, রাজনীতিবিদ ও আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয়ক গবেষক, পিপল ইউনাইটেড ফর প্রোগ্রেস এর প্রেসিডেন্ট আবু জাফর মাহমুদের নেতৃত্বে একদল সমর্থক এই
ক্যাম্পেইনে অংশ নেন। এসময় উল্লেখযোগ্য ব্যক্তিবর্গের মধ্যে আরো ছিলেন শেখর কৃষ্ণানের দপ্তরের কমিউনিটি অ্যাফেয়ার্স ম্যানেজার সামিনা রহমান, শিল্পকলা একাডেমি ইউএসএ ইনক’র সভাপতি মনিকা রায় চৌধুরী ও মূলধারার রাজনীতিক মিলন রহমান। তারা জ্যাকসন হাইটস এর প্রাণকেন্দ্র ডাইভারসিটি প্লাজা থেকে শুরু করে বাংলাদেশ স্ট্রিট এলাকার বাণিজ্যিক কেন্দ্রগুলোয় পোস্টার ক্যাম্পেইন করেন। এসময় তারা স্থানীয় জনগোষ্ঠির সঙ্গে আলোচনা করেন এবং বাংলাদেশী কমিউনিটির অতি প্রিয়জন শেখর কৃষ্ণাণকে পূনর্বার নির্বাচিত করার আহ্বান জানান।
অনুষ্ঠানে বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু জাফর মাহমুদ বলেন, শেখর কৃষ্ণাণ আমাদের লোক। তিনি জ্যাকসন হাইটস, এলমহার্স্ট ও উডসাইডের নির্বাচিত কাউন্সিলম্যান হিসেবে যে যোগ্যতা দেখিয়েছেন, বাংলাদেশীদের প্রতি যে ভালোবাসার দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন তা আমরা কখনো ভুলে যেতে পারি না। আমেরিকান সরকারের সকল স্তরে তিনি তার যোগ্যতা প্রমাণ করেছেন। জ্যাকসন হাইটস এর ৭৩ স্ট্রিটকে ‘বাংলাদেশ স্ট্রিট’ করে তিনি এক অনন্য সাধারণ নজির সৃষ্টি করেছেন। যতদিন বাংলাদেশ থাকবে, ততদিন যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কের বুকে বাংলাদেশ স্ট্রিট থাকবে। এর জন্য কৃতিত্বের দাবিদার তিনি। বাংলাদেশীদের প্রাণের দাবি পুরণের স্বার্থেই কাউন্সিলম্যান শেখর কৃষ্ণাণকে পূণর্বার নির্বাচিত করতে হবে।
আবু জাফর মাহমুদ বলেন, শেখর কৃষ্ণান সকল জাতিগোষ্ঠির মাঝেই তার তৎপরতা ও আন্তরিক দৃষ্টিভঙ্গির প্রমাণ রেখেছেন। সবখানে তার প্রশ্নাতীত জনপ্রিয়তা রয়েছে। আমরা বিশ্বাস করি, আসন্ন পূননির্বাচনে তিনি সকল জাতিগোষ্ঠির নিরংকুশ ভোটেই আবার নির্বাচিত হবেন। তার জন্য আমাদের বাংলাদেশীদের অনেক বেশি এগিয়ে আসতে হবে। এখানকার অপরাপর জাতিগোষ্ঠির সঙ্গে আমাদের সম্পর্কের বন্ধন আরো মজবুত করতে হবে। মূলধারায় আমাদের কৃতিত্ব ও যোগ্যতাকে প্রমাণ করতে হবে।
উল্লেখ্য, নিউইয়র্ক সিটি কাউন্সিলের ডিস্ট্রিক্ট-২৫ এর কাউন্সিলম্যান শেখর কৃষ্ণাণ ডেমোক্র্যাট পার্টির প্রার্থী হিসেবে পূননির্বাচনে অংশ নিয়েছেন। আগাম ভোগ গ্রহণ শুরু হয়েছে ১৭ জুন থেকে। ইলেকশন ডে হচ্ছে ২৭ জুন।