অর্থনৈতিক উন্নয়ন বাধাগ্রস্থ, সামাজিক অবস্থান-সম্মান বিনষ্ট করার উদ্দেশ্যে অসাংবিধানিক ও অযৌক্তিক কারণ উল্লেখ করে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ভিসা নীতি আরোপ ও প্রত্যাহার চেয়ে অবশেষে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন সহ স্টেট ডিপার্টমেন্টকে অভিযুক্ত করে আদালতে মামলা করা হয়েছে। একই সঙ্গে সংশ্লিষ্ট মামলায় সেক্রেটারি অব স্টেইট এন্টনী ব্লিনকেনকেও বিবাদী করা হয়েছে।
মজার ব্যাপার মামলার বাদী রাব্বী আলমে বিরুদ্ধে কতটা মামলা আছে তা কি কেউ জানেন! তিনি মিশিগানের বিভিন্ন বাসায় থেকে বাড়ি ভাড়া না দিয়ে বাড়িঅলাদের হুমকিদামকি দিয়ে নিত্য বাড়ি বদল করা মানুষ। থাকেন মাটির তলায় বেসমেন্টে। বেকার। তার আয় রুজী হল ‘জয় বাংলা শ্লোগান’ দেয়া। তিনি সবসময়ই আওয়ামী লীগের কর্মী দাবি করে হাইলাইটেড হতে বিভিন্ন রকম হাস্যকর কাজ করে থাকেন। ঠান্ডা মাথায় চিন্তা করবেন এই দেশে কি সাচ্চা আওয়ামী লীগার কম আছে? তাহলে রাব্বী আলম কেন মামলা করলেন!? আসলে আমেরিকার মাটিতে হাসিনা সরকারের বেহাল দশা দেখে ‘নৌকা আছে’ বলে রাব্বী আলমকে দিয়ে নাড়াচাড়া করে নিজেদের অস্তিত্ব জানান দিচ্ছে কিছু পুরানো খেলোয়ার। হাহা ফানি!
আপনাদের মনে থাকবার কথা এর আগে তিনি সাংবাদিক ইলিয়াস ও কনক সারোয়ার এর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছিলেন। এক দুই টাকার না ৫০০ মিলিয়নের। সেই মামলার কি অবস্থা? তিনি বা তার জয় বাংলার অনুসারী কেউ কি কিছু বলতে পারবেন মামলাটির বর্তমান অবস্থা কি? কিছু বলতে পারবেন না। কারন তখন কোন মামলাই হয় নি। তিনি ওদের নামে একটি কমপ্লেন লিখে আদালতে নথিভুক্ত করিয়েছেন। নিম্ন আদালত সবার জন্য উন্মুক্ত। এতে যে কোনো চিঠিপত্র নিয়ে গেলে তারা তা সরকারী রেজিস্ট্রারে সিরিয়াল নাম্বার দিয়ে নির্দিষ্ট বক্সে জমা দিতে বলে। তিনি তাই করেছেন। আর সেই সিরিয়াল নাম্বার নিয়ে তিনি মানুষকে বুঝিয়েছেন তিনি ইলিয়াস-কনকের নামে মামলা দায়ের করেছেন। আসলে তিনি ঘোড়ার ডিম করেছেন। এদেশে কারো নামে মামলা করা এত সহজ না। মামলা করতে হলে নির্দিষ্ট পরিমাণ ফি জমা দিতে হয়। রাব্বী আলমের চোদ্দ গুষ্টির সেই ফি জমা দেয়ার ক্ষমতা নেই। হ্যাঁ ক্ষমতা আছে কিছু দালাল সাংবাদিক পালার। সেটা তিনি করেছেন।
রওশন হক
যে লোক ইলিয়াস ও কনকের একটা চুল ছেড়ার ক্ষমতা রাখে না, যে লোকের নামে বাড়ি ভাড়া না দেয়ার অসংখ্য অভিযোগ সেই ‘ভাঁড়’ করেছে জো বাইডেনের নামে মামলা। হাসব না কাঁদব বুঝতে পারছি না। এই রাব্বী আলম সব সময় নিজে একটি মাইক সহ সাউন্ড বক্স নিয়ে চলাচল করেন। কোন অনুষ্ঠান হতে দেখলেই সেখানেই ঢুকে পরে ‘জয় বাংলার শ্লোগান’ দিতে শুরু করে। হোক তা মিলাদ মাহফিল হোক কারো জানাযা, কিম্বা কারো বিয়ে। পরে অবশ্য ঠেলা ধাক্কা খেয়ে বের হতে হয়। কিন্তু এর মধ্যে তিনি কিছু ছবি তুলে নিয়ে তার স্যোশাল মিডিয়ায় প্রকাশ করেন। এসবের কারনে এলাকায় তাকে নিয়ে নানান রকম হাসি তামাশা প্রচলিত আছে। আমরার সিলেটিরা তাকে মাইক অলা বেটা বলে চেনে। কেউরে জিগ্গেস করলে বলে-
‘ঔ মাইকঅলা বেটা নি!?’
সে মূলত একজন প্রচার প্রিয় মানুষ। ফাউল।
আজকে এই সংবাদ নিয়ে ৭১ টিভি চ্যানেলে টক শো হতে দেখে অনেক হাসলাম। ৭১ টিভি-ও বুঝতে পারল না বা সত্যতা যাচাই করল না!? কারো অভিযোগ পত্রাকারে নথিভুক্ত হলেই তা মামলা হয় না। যাইহোক আমি বলব এই লোক সাকসেসফুল। যা সে চেয়েছিল তাই হয়েছে। তিনি অনেকদিন ধরেই চাইছিলেন কোন একটা কিছু করে শেখ হাসিনার নেক নজরে আসা। এবার সহজেই তা পারবেন।
ছাল নাই কুত্তার বাঘা কাম। হাউ ফানি। -লেখিকার ফেসবুক থেকে, ০১ জুলাই ২০২৩