আর মাত্র সপ্তাহ তিনেক বাকি। এরপরই শুরু হবে এশিয়ার ক্রিকেটের শ্রেষ্ঠত্বের লড়াই। বিভিন্ন ঘাটতি আছে জেনেও এ আসর ঘিরে সমর্থকেরা স্বপ্ন বুনতে শুরু করেছে। অপেক্ষা করছে এমন কিছুর, যা আগে কখনো ঘটেনি। তবে স্বপ্ন সত্যি করার এই লড়াইয়ে তামিমের না থাকা মাঠে নামার আগেই খানিকটা হোচট দিয়েছে বাংলাদেশকে।
তামিম ইকবালকে ছাড়া এশিয়া কাপ, মন খারাপের কারণ বটে। তাছাড়া চোটের যে অবস্থা, বিশ্বকাপেও তামিমকে পাওয়া যাবে কি-না, তা নিয়েও রয়েছে শঙ্কা। তার বিকল্প খুঁজছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড। বিকল্প হিসেবে অনেক নাম সম্মুখে থাকলেও তাদের মধ্যে কে সেরা, তা নিয়েই এখন যত সমীকরণ।
তামিমের বিকল্প হিসেবে চারটা নাম আসে, যারা কি-না লিটন দাসের সঙ্গী হতে পারে। তাদের একজন তামিমও, তানজিদ হাসান তামিম। আছেন নাইম শেখ, মাহমুদুল হাসান জয়ও। সামর্থ্যনুযায়ী দাবি রাখছেন জাকির হাসানও। রনি তালুকদারকেও রাখা যায় বিবেচনায়।
তানজিদ হাসান তামিম
সম্প্রতি বেশ ছন্দে আছেন এই তরুণ। ইমার্জিং এশিয়া কাপে ভয়ডরহীন ব্যাট করে সব আলো কেড়ে নেন তিনি। চার ইনিংসের তিনটাতেই পান ফিফটির দেখা, করেন ১৭৯ রান। তাছাড়া গত ঢাকা প্রিমিয়ার লিগেও ছিলেন ছন্দে, ৪৩ গড়ে করেন ৪৭৩ রান। ধারাবাহিক এমন নৈপুণ্যে জাতীয় দলের দরজায় বেশ ভালোভাবেই কড়া নাড়ছেন এই ব্যাটার।
নাইম শেখ
ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে ৭২ গড়ে ৯৩২ রান করে আলোচনায় এসেছিলেন নাইম। ২৭ মাস পর ওয়ানডে দলে প্রত্যাবর্তনও হয় তার। তবে প্রত্যাশা পূরণ করতে পারেননি। দুই ইনিংস মিলে ২৯ বলে করেন মাত্র ৯ রান। ইমার্জিং এশিয়া কাপেও ছিলেন ব্যর্থ, চার ইনিংসে করেন ১২৫ রান। তবুও সামর্থ্য বিবেচনায় জায়গা পেয়ে যেতে পারেন এশিয়া কাপের দলে।
মাহমুদুল হাসান জয়
জাতীয় দলের হয়ে নয়টি টেস্ট খেললেও এখনো ওয়ানডে দলে অভিষেক হয়নি জয়ের। তবুও তিনি আলোচনায় উঠে এসেছেন ইমার্জিং এশিয়া কাপে আলো ছড়িয়ে। দলের পক্ষে একমাত্র শতক আসে তার ব্যাটে। তিন ইনিংসে করেন ১৩১ রান। ভালো স্পিন খেলার অভিজ্ঞতা তাকে নিয়ে ভাবাতেই পারে নির্বাচকদের।
জাকির হাসান
জাকির এগিয়ে থাকবেন যেকোনো পজিশনে ব্যাট করতে পারার সক্ষমতা আর ভালো স্পিন খেলার সামর্থ্যের কারণে। তাছাড়া জাতীয় দলের হয়ে টেস্টেও বেশ ভালো করছেন তিনি। ভারত ও আফগানিস্তানের বিপক্ষে তিন ম্যাচের প্রতিটিতেই খেলেছেন পঞ্চাশোর্ধ ইনিংস। ইমার্জিং এশিয়া কাপেও নম্বর ছয়ে ব্যাট করে ৩৫ গড়ে করেন ১০৪ রান।
রনি তালুকদার
টি-টোয়েন্টিতে ভালো করে আলোচনায় এলেও আফগানিস্তানের বিপক্ষে শেষ টি-টোয়েন্টির একাদশে জায়গা হয়নি রনির। এর আগে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে চেমসফোর্ডে অভিষেক ওয়ানডে ম্যাচেও ব্যর্থ হন তিনি, করেন মোটে ৪ রান। এমন পারফরম্যান্সে যদিও অন্যদের তুলনায় অনেকটাই পিছিয়ে রনির এশিয়া কাপ যাত্রা। তবুও দ্রুত রান তুলতে পারার দক্ষতায় ঠাঁই পাওয়ার সম্ভাবনা একেবারে ছেড়েও দেয়া যায় না।
বিবেচনায় থাকতে পারেন সৌম্য সরকার। প্রধান কোচ হাথুরুসিংহের প্রিয় শিষ্যদের একজন সৌম্য। কয়েক দিন ধরেই জাতীয় দলের রাডারে আছেন তিনি। খেলেছিলেন ইমার্জিং কাপেও। যদিও তেমন ছন্দে নেই এই ক্রিকেটার। তবে বড় মঞ্চে খেলার অভিজ্ঞতা এগিয়ে তিনি।