পাকিস্তানে মানবতার এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত হয়ে উঠেছেন সাম্প্রদায়িক সহিংসতার শিকার খ্রিস্টান কলোনি জারানওয়ালার এক মুসলিম বাসিন্দা। মালিক খলিল নামের ওই ব্যক্তি খ্রিস্টান প্রতিবেশী জোসেফাইনকে সুরক্ষা দিতে জীবন বাজি রেখে তার বাড়ির সামনে অবস্থান নিয়েছেন। জায়নামাজ পেতে নামাজ আদায় করেছেন। পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম জিও নিউজের এক প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা যায়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, গত ১৬ আগস্ট ধর্ম অবমাননার অভিযোগ এনে পাকিস্তানের ফয়সালবাদের জারানওয়ালা তেহসিলে হামলা চালায় বিক্ষুব্ধ এক গোষ্ঠী। ২১টি গির্জা ও ৯০টিরও বেশি খ্রিস্টান বাড়িতে ভাঙচুর চালানো হয়। সেই তেহসিলেরই খ্রিস্টান বাসিন্দা জোসেফাইন। তিনি বলেন, ‘আমাদের ওপর যখন হামলা চালানো হয়, তখন মুসলিম ভাইবোন আমাদের সাহায্য করে।’
তিনি জানান, যখন হামলা শুরু হয়, তখন খলিল তাকে ফোন করে সন্তানসহ তাদের বাড়িতে চলে আসতে বলেন।
জোসেফাইনকে আশ্রয় দেওয়ার পর খলিল চলে যান তার বাড়িতে। জোফোইনের বড়ির সামনে জায়নামাজ বিছিয়ে নামাজ পড়তে শুরু করেন। ফলে সেই বাড়িতে আর ভাঙচুর চালাতে পারেনি বিক্ষোভকারীরা।
এলাকায় শান্তি ফিরে আসতে শুরু করলে বাড়ি ফিরে যান জোসেফাইন। নিজ জীবন ও বাড়ি রক্ষা করায় খলিলের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন তিনি।
পাঞ্জাব পুলিশের মহাপরিদর্শক উসমন আনোয়ার বলেন, ভাঙচুরের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৬০-১৭০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। প্রযুক্তির সহায়তায় সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ করে তারা হামলাকারীদের চিহ্নিত করছেন বলে জানান তিনি।