১৯৮৪ সালে শুরু হয় এশিয়া কাপের পথচলা। প্রথম আসর বসে আরব আমিরাতে। ওইবার অংশ নেয় মোট তিনটি দল। ভারত,পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কা। পরের আসরেই যুক্ত হয় বাংলাদেশের নাম। এরপর সময়ের সাথে সাথে আফগানিস্তান, আরব আমিরাত, হংকং ও এবার নেপাল এসেছে এশিয়া কাপে। এক নজরে দেখে আসা যাক দলগুলোর সাফল্যগাঁথা।
ভারত : এশিয়া কাপ ইতিহাসের সবচেয়ে সফলতম দল ভারত। প্রথম আসর দিয়ে শুরু, অতঃপর বিগত ১৫ আসরের ৭টিতে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে তারা। রানার্স আপও হয়েছে ৩ বার। তারা শিরোপা জেতে যথাক্রমে : ১৯৮৪, ১৯৮৮, ১৯৯০, ১৯৯৫, ২০১০ ও ২০১৮ সালে।
শ্রীলঙ্কা : দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সফলতম দল শ্রীলঙ্কা। মোট ছয়বার চ্যাম্পিয়ন হবার স্বাদ পেয়েছে তারা। আসরের বর্তমান চ্যাম্পিয়নও দ্বীপরাষ্ট্রের দেশটি। তাছাড়া সমান ৬ বার রানার্সআপও হয়েছে লঙ্কানরা। শ্রীলঙ্কা শিরোপা জেতে যথাক্রমে : ১৯৮৫-৮৬, ১৯৯৭, ২০০৪, ২০০৮, ২০১৩-১৪ ও ২০২২ সালে।
পাকিস্তান : ২০১২ সালে গোটা বাংলাদেশকে কাঁদিয়ে শেষবার চ্যাম্পিয়ন হয় পাকিস্তান। এর আগে ২০০০ সালে একবার শিরোপা উল্লাসে মেতেছিল তারা। তাছাড়া তিনবার রানার্সআপ হবার স্বাদ পেয়েছে দেশটি। বর্তমান রানার্সআপও তারা। পাকিস্তান শিরোপা জেতে ২০০০ ও ২০১২ সালে।
বাংলাদেশ: একাধিকবার ফাইনাল খেলেও ভাগ্য বিভ্রমে একবারও শিরোপা স্পর্শ করা হয়নি বাংলাদেশের। শেষ ৫ আসরেই ৩ বার ফাইনালে উঠে টিম টাইগার্স। ২০১২ সালে পাকিস্তানের কাছে হেরে যায় মাত্র ১ রানে। না হলে গল্পটা ভিন্নও হতে পারতো! এবার অবশ্য সুযোগ আছে ০ সংখ্যাটা পরিবর্তন করার।
অন্যান্য : এই চার দল বাদে এই আসরে খেলেছে আর মাত্র ৩টি দল। আরব আমিরাত, আফগানিস্তান ও হংকং। তবে কোনো বার ফাইনালে যেতে পারেনি কোনো দল। এবার অবশ্য এই তালিকায় যোগ হয়েছে নেপালের নাম। অর্থাৎ এবারের আসরে খেলছে হিমালয়ের দেশটি।