মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ০১:৩৪ অপরাহ্ন

এশিয়া কাপ : ভারত-শ্রীলঙ্কার আধিপত্য, সাফল্যের সন্ধানে বাংলাদেশ

এনবিডি নিউজ ডেস্ক :
  • আপডেট টাইম : মঙ্গলবার, ২৯ আগস্ট, ২০২৩
  • ৪৬ বার

এশিয়া কাপ ক্রিকেটে সবচেয়ে সফলতম দল ভারত ও শ্রীলঙ্কা। অন্যদিকে, গত পাঁচ বছরে ওয়ানডে ক্রিকেটে দুর্দান্ত সাফল্য পাওয়ার পরও এশিয়া কাপের মঞ্চে তেমন সাফল্য নেই বাংলাদেশের।

১৯৮৪ সালে শুরু হওয়া টুর্নামেন্টের প্রত্যেক আসরেই অংশ নেয়া একমাত্র দল শ্রীলঙ্কা। এশিয়া কাপে একবার করে অংশ নেয়নি ভারত, পাকিস্তান এবং বাংলাদেশ দল।

সর্বমোট ১৫টি আসরের মধ্যে কেবলমাত্র ২০১৬ এবং ২০২২ আসরে টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে ছাড়া ১৩বার ওয়ানডে ফরম্যাটে এশিয়া কাপ অনুষ্ঠিত হয়।

ওয়ানডে ফরম্যাটে গত ১৩টি আসরে ৫০ ম্যাচ খেলে ৩৪টিতে জয়, ১৬টি হারের রেকর্ড রয়েছে শ্রীলঙ্কা। যেকোনো দলের সর্বোচ্চ সাফল্য ৬৮ শতাংশ জয় রয়েছে লঙ্কানদের।

এ সময়ে ৪৯টি ম্যাচের মধ্যে ৩১টিতে জয় ও ১৬টিতে হেরে দ্বিতীয়স্থানে আছে ভারত। এছাড়া একটি করে ম্যাচ টাই ও পরিত্যক্ত হয়েছে টিম ইন্ডিয়ার।। ভারতের শতকরা জয়ের হার ৬৫ দশমিক ৬২ শতাংশ। কিন্তু ক্রিকেটে এশিয়ার শ্রেষ্ঠত্বের লড়াইয়ে ভারত সর্বোচ্চ সাতবার ও শ্রীলঙ্কা দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ছয়বার শিরোপা জিতেছে। ভারত ওয়ানডেতে ছয়বার ও টি-টোয়েন্টিতে একবার ট্রফি জিতেছে। শ্রীলঙ্কা ওয়ানডেতে পাঁচবার ও টি-টোয়েন্টিতে একবার শিরোপার স্বাদ পেয়েছে।

ওয়ানডে ফরম্যাটে ২০০০ এবং ২০১২ আসরে তৃতীয় সর্বোচ্চ দু’বার শিরোপা জিতেছে পাকিস্তান। ৪৫ ম্যাচে অংশ নিয়ে ২৬টি জয় ও ১৮টিতে হেরে যাওয়ায়, পাকিস্তানের শতকরা জয় ৫৯ দশমিক ০৯ শতাংশ। তাদের একটি ম্যাচ পরিত্যক্ত হয়।

এই তালিকায় জয়ের দিক দিয়ে চতুর্থ স্থানে আছে বাংলাদেশ। ৪৩টির মধ্যে মাত্র সাতটিতে জয় ও ৩৬টিতে হেরেছে তারা। টুর্নামেন্টে সর্বোচ্চ হার বাংলাদেশেরই। তাদের শতকরা জয় ১৬ দশমিক ২৮ শতাংশ।

২০১৪ এবং ২০১৮ সালে দু’বার ওয়ানডে ফরম্যাটে খেলেছে আফগানিস্তান। নয় ম্যাচের মধ্যে তিনটিতে জয়, পাঁচটিতে হার ও একটি ম্যাচ পরিত্যক্ত হয়েছে আফগানদের। তাদের শতকরা জয় ৩৮ দশমিক ৮৯ শতাংশ।

২০০৪, ২০০৮ এবং ২০১৮ ওয়ানডে ফরম্যাটে তিনবার এশিয়া কাপে খেলে ছয় ম্যাচের সবক’টিতে হেরেছে হংকং।

ওয়ানডে ফরম্যাটে ২০০৪ এবং ২০০৮ সালে দু’বার অংশ নিয়ে চার ম্যাচ খেলে সবগুলোতেই হেরেছে সংযুক্ত আরব আমিরাত।

এবারের এশিয়া কাপে প্রথমবারের মতো খেলবে নেপাল।

২০১৬ এবং ২০২২ সালে টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে হওয়া এশিয়া কাপের শিরোপা জিতেছে যথাক্রমে- ভারত এবং শ্রীলঙ্কা।

এ ফরম্যাটে ১০টি ম্যাচ খেলে আটটি জয়ে শতকরা ৮০ শতাংশ জয় আছে ভারতের। ১০টিতে খেলে ছয়টিতে জিতে শতকরা ৬০ শতাংশ জয় আছে শ্রীলঙ্কার। ১০ ম্যাচের মধ্যে পাঁচটিতে জয়ে পাকিস্তানের জয়ের শতাংশ ৫০।

বাংলাদেশ সাতটিতে অংশ নিয়ে তিনটিতে জয় ও চারটিতে হেরেছে। পাঁচটি ম্যাচ খেলে দু’টি জয় ও তিনটিতে হেরেছে আফগানিস্তান। সংযুক্ত আরব আমিরাত চারটি এবং হংকং দু’টিতে খেলে কোনো ম্যাচ জিততে পারেনি।

তবে দলের বাজে পারফরমেন্সের মাঝেও এশিয়া কাপে সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার জয়ের রেকর্ড রয়েছে বাংলাদেশের দুই ক্রিকেটার সাকিব আল হাসান ও সাব্বির রহমানের।

২০১২ আসরে ২৩৭ রান ও ছয় উইকেট নিয়েছিলেন সাকিব। ওই আসরের ফাইনালে উঠলেও পাকিস্তানের কাছে দুই রানের হারে হৃদয় ভাঙ্গে বাংলাদেশের। ২০১৬ এশিয়া কাপে (টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে) ১৭৬ রান করেছিলেন সাব্বির।

সর্বশেষ ২০১৮ সালে এশিয়া কাপের ফাইনালে উঠেছিল বাংলাদেশ। ভারতের কাছে ফাইনালে হারলেও ১১৭ বলে ১২১ রান করে শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচের সেরা খেলোয়াড় হয়েছিলেন লিটন দাস।

সবচেয়ে বেশি পাঁচবার এশিয়া কাপ আয়োজন করেছে বাংলাদেশ।

এই টুর্নামেন্টে সর্বোচ্চ দলীয় স্কোর সাত উইকেটে ৩৮৫ রান (ওয়ানডে ফরম্যাট)। ২০১০ সালে বাংলাদেশের বিপক্ষে করেছিল পাকিস্তান।

২০০০ সালে পাকিস্তানের বিপক্ষে টুর্নামেন্টের সর্বনিম্ন ৮৭ রানে অলআউট হয় বাংলাদেশ।

২৫টি ওয়ানডেতে ১২২০ রান করে এশিয়া কাপে সর্বোচ্চ রানের মালিক শ্রীলঙ্কার সনাাথ জয়সুরিয়া।
এশিয়া কাপের এক আসরে সর্বোচ্চ রানের রেকর্ডের মালিকও জয়সুরিয়া। ২০০৮ সালে ৩৭৮ রান করেছিলেন তিনি। সর্বাধিক ছয়টি সেঞ্চুরিও করেছেন জয়সুরিয়া।

বাংলাদেশী ব্যাটারের মধ্যে ১৩ ওয়ানডেতে সর্বোচ্চ ৪০২ রান আছে সাকিবের।

২৪ ওয়ানডেতে ৩০ উইকেট নিয়ে এশিয়া কাপে সর্বোচ্চ শিকারী শ্রীলঙ্কার কিংবদন্তি স্পিনার মুত্তিয়া মুরালিধরন।

বাংলাদেশের পক্ষে ১৮ ওয়ানডেতে সর্বোচ্চ ২২ উইকেট নিয়েছেন বাঁ-হাতি স্পিনার এবং বর্তমান নির্বাচক আব্দুর রাজ্জাক। ১৩ ওয়ানডেতে ১৯ উইকেট শিকার করেছেন সাকিব।

এশিয়া কাপে এক আসরে সর্বোচ্চ উইকেট শিকারী শ্রীলঙ্কার স্পিনার অজন্তা মেন্ডিজ। ২০০৮ আসরে সর্বোচ্চ ১৭ উইকেট নিয়েছিলেন তিনি।

এশিয়া কাপে ইনিংস সেরা বোলার শ্রীলঙ্কার অজন্তা মেন্ডিজ। ২০০৮ আসরে ভারতের বিপক্ষে ১৩ রানে ছয় উইকেট নিয়ে এশিয়া কাপের ইতিহাসে সেরা বোলিং ফিগারের নজির গড়েন অজন্তা।

এশিয়া কাপের ইতিহাসে ১৯৯১ সালে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ভারতের কপিল দেব এবং ২০১০ সালে ভারতের বিপক্ষে পারভেজ মারুফ হ্যাট্টিকের নজির গড়েন।

এশিয়া কাপ ইতিহাসে রান তাড়ায় একমাত্র ব্যাটার হিসেবে দু’টি সেঞ্চুরি করেছেন ভারতের বিরাট কোহলি। ২০১২ সালের ১৮ মার্চ মিরপুরে পাকিস্তানের বিপক্ষে ১৮৩ রান এবং ২০১৪ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি ফতুল্লায় বাংলাদেশের বিপক্ষে ১৩৬ রান করেছিলেন কোহলি।

২০১২ সালে পাকিস্তানের বিপক্ষে কোহলির ১৮৩ রান এশিয়া কাপের সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত স্কোর।

সূত্র : বাসস

নিউজটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved © 2019 bangladeshdailyonline.com
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com