এশিয়া কাপের উদ্বোধনী ম্যাচেই মুখোমুখি স্বাগতিক পাকিস্তান ও নেপাল। একে তো দুই দলের মধ্যে আকাশ-পাতাল ব্যবধান, তার উপর বড় মঞ্চের চাপ। কোনোটাই ঠিকঠাক সামাল দিতে পারল না নেপাল। ২৩৮ রানের বিশাল ব্যবধানে পাকিস্তানের বিপক্ষে হার দেখল তারা। প্রথমে ব্যাট করা পাকিস্তানের দেওয়া ৩৪৩ রানের পাহাড়সম লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে মাত্র ১০৪ রানেই অলআউট হয়ে যায় নেপাল।
বড় লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে শাহীন আফ্রিদির করা প্রথম ওভারের প্রথম ২ বলে জোড়া বাউন্ডারি হাঁকিয়ে দারুণ কিছুর ইঙ্গিত দিচ্ছিলেন নেপালের ওপেনার কুশল ব্রুটেল। তবে ওই ওভারের পঞ্চম বলেই ফেরেন তিনি। পরের বলে তিনে নামা অধিনায়ক রোহিত পাউডেলকেও ফেরান তিনি। নাসিম শাহর করা ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারে আরও এক উইকেটের পতন। ফেরেন চারে নামা আরিফ শেখ।
পাকিস্তানের হয়ে ধ্বংসযজ্ঞ শুরু করেন শাহীন ও নাসিম। প্রথম ৩ উইকেটে দুইটি শাহীনের একটি নাসিমের। মাঝে ২ উইকেট নেন হারিস রউফ। নেপাল ইনিংসের লেজ গুটিয়ে দেন শাদাব খান। ৬ ওভার ৪ বলে ২৭ রানের বিনিময়ে ৪ উইকেট নেন তিনি। ১টি উইকেট নন নওয়াজ।
৪ উইকেট হারানো পাকিস্তানের রানের গতি যখন স্লথ, তখনই ঘুরে দাঁড়ায় বাবর-ইফতিখার জুটি। এই দুজন নিজেদের প্রথম ৫০ রানের জুটি গড়েন মাত্র ৩৯ বলে। দলীয় ২০০ রান পূরণ হয় ২২৮ বলে। এরপর যেন আরও ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠেন তারা। পরের ৫০ রান আসে মাত্র ২৪ বলে। এরই মধ্যে নিজের ওয়ানডে ক্যারিয়ারের ১৯তম সেঞ্চুরি করেন ১ নম্বর র্যাঙ্কিংয়ের বাবর। ৪৭তম ওভারে পাকিস্তান তাদের ৩০০ রান পূর্ণ করে। শেষ ৩ ওভারে ৪২ রান করলে পাকিস্তানের মোট রান দাঁড়ায় ৩৪২। ইফতিখার তার ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন মাত্র ৬৭ বলে। পঞ্চম উইকেটে মাত্র ১৩৪ বলে দুজনে গড়েন ২১৪ রানের জুটি। তাতে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ৩৪২ রানের বিশাল সংগ্রহ তোলে দলটি।
তিনে নেমে ১৩১ বলে ১৫১ রান করে আউট হন বাবর। ১৪ চার ও ৪ ছক্কায় সাজানো ছিল তার ইনিংস। ছয়ে নামা ইফতিখার ছিলেন আরও আগ্রাসী। স্ট্রাইকরেট দেড়শর ওপরে রেখে তিনি অপরাজিত থাকেন ১০৯ রানে। তার ৭১ বলের ইনিংসটি সাজানো ছিল ১১ চার ও ৪ ছক্কায়। বাবর-ইফতিখারের ২১৪ রানের জুটি পঞ্চম উইকেটে পাকিস্তানের সর্বেোচ্চ আর বিশ্বে ষষ্ঠ।
নেপালের বোলারদের মধ্যে ২টি উইকেট পান সোমপাল কামি। ১টি করে উইকেট পান করন কেসি ও সন্দীপ লামিচানে। তবে কোনো উইকেট না পেলেও বেধরক মার খাওয়ার দিনে ১০ ওভার বল করে মাত্র ৪৮ রান দেন ললিত রাজবংশী।
বিশ্বকাপের এটি ‘এ’ গ্রুপের ম্যাচ। ৬ দলের টুর্নামেন্টে দুই ভাগ হয়ে খেলা হচ্ছে। গ্রুপের অন্য দলটি ভারত। এই গ্রুপের শীর্ষ ২টি দল খেলবে সেমিফাইনালে।