বুধবার উঠেছে ২০২৩ এশিয়া কাপের পর্দা। প্রথম ম্যাচে মুখোমুখি হয় পাকিস্তান ও নেপাল। তবে বাংলাদেশের এশিয়া কাপ মিশন শুরু হবে আজ থেকে। বৃহস্পতিবার নিজেদের প্রথম ম্যাচে স্বাগতিক শ্রীলঙ্কার আতিথ্য নেবে টাইগাররা।
শিরোপা জয়ের পথে আত্মবিশ্বাসী হয়ে উঠতে প্রথম ম্যাচে জয়ের বিকল্প নেই। বর্তমান এশিয়ার চ্যাম্পিয়ন ও স্বাগতিক শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে জয় তুলে নেয়া মোটেই সহজ কাজ নয়। অধিনায়ক সাকিব আল হাসান তো বলেই দিয়েছেন, সব বিভাগ থেকে পারফর্ম করেই হারাতে হবে লঙ্কানদের।
লঙ্কাবধে বড় ভূমিকা রাখতে পারেন তিন টাইগার ক্রিকেটার। এর আগেও যারা একাই ম্যাচ জিতিয়েছেন বহুবার। অধিনায়ক সাকিব আল হাসান, মুশফিকুর রহিম ও তাসকিন আহমেদ হতে পারেন দলের ট্রাম্প কার্ড।
সাকিব আল হাসান : যেকোনো প্রতিপক্ষের জন্যই বড় হুমকির নাম সাকিব। ব্যাটে-বলে যেকোনো সময় ম্যাচে পার্থক্য গড়ে দিতে পারেন তিনি, বদলে দিতে পারেন ভাগ্য। তাছাড়া দলের নেতৃত্বও যখন তার হাতে, দায়িত্বটা একটু বেশীই সাকিব আল হাসানের।
শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে অতীতটাও তার বেশ স্মরণীয়। দলের পক্ষে তৃতীয় সর্বোচ্চ ৬২৬ রান করেছেন তিনি শ্রীলঙ্কার সাথে মুখোমুখি দেখাতে। আবার বল হাতেও অন্যতম সেরা তিনি; ২১ উইকেট আছে লঙ্কানদের বিপক্ষে। তাছাড়া সদ্যই এলপিএল খেলে গেছেন সাকিব। খেলেছেন অধিনায়ক দাসুন শানাকার সাথে। ফলে সাকিব গড়ে দিতে পারেন ম্যাচের ভাগ্য, স্বপ্ন দেখা যেতেই পারে।
মুশফিকুর রহিম : দ্য ডিপেন্ডেবল তকমা বহু আগেই নিজের নামের সাথে সেঁটেছেন মুশফিক। বরাবরই দলের বিপদে ত্রাতা তিনি। তাছাড়া দলের শিরোপা জয়ের মিশনে গুরুত্বপূর্ণ ছয় নাম্বার পজিশনও তার দখলে। যেখানে বেশ ভালোই করছেন তিনি।
মুশফিকের বরাবরই প্রিয় প্রতিপক্ষ শ্রীলঙ্কা। ক্যারিয়ারে অনেক অর্জন আছে লঙ্কানদের বিপক্ষে। বিশেষ করে ওয়ানডেতে ১ হাজার রান রয়েছে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে। আছে দুটো শতক ও পাঁচটা অর্ধশতকও! সব মিলিয়ে নিজের প্রিয় প্রতিপক্ষের বিপক্ষে দারুণ কিছু দেখাবেন বলেই আশা মুশফিকের প্রতি।
তাসকিন আহমেদ : সময়ের অন্যতম সেরা এই পেসার আছেন ক্যারিয়ারের দারুণ ছন্দে। বড় বড় রাঘববোয়ালদেরও করছেন বন্দী নিজের গতিতে। দেশের ক্রিকেটের পেস বিভাগে বিপ্লব ঘটিয়েছেন তিনি। নেতৃত্ব দিচ্ছেন সম্মুখ থেকেই। এবারের এশিয়া কাপেও নিশ্চয়ই একই কাজটা করে যাবেন তিনি।
শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে খুব যে সফল, এমনটা বলার সুযোগ নেই। তবে ক্যারিয়ারের একমাত্র হ্যাটট্রিকটা তার এই দলেরই বিপক্ষে। সব মিলিয়ে ৭ ইনিংসের নিয়েছেন ১০ উইকেট। যার সবগুলো অবশ্য নিজের সেরা সময়ের আগেই। সুতরাং তাসকিন ভয়ের কারণ হতেই পারেন শানাকার দলের জন্যে। সংবাদ সম্মেলনে শানাকাও তা স্পষ্টই গেছেন বলে।
ক্রিকেট অনিশ্চয়তার খেলা। যেকোনো মুহূর্তে যেকোনো কিছুই হয়ে যেতে পারে। তবুও বিশেষভাবে চোখ রাখা যায় এই তিনজনের উপরে। অবশ্য একাদশে থাকা যেকেউ বদলে দিতে পারেন ম্যাচের গতিপথ। হতে পারেন তিনি তরুন তানজিদ তামিম কিংবা তাওহীদ হৃদয়।
যাহোক, কেমন হতে পারে বাংলাদেশের একাদশ, তা ধারণা করা যায়-
তানজিদ তামিম
এনামুল হক বিজয়
নাজমুল হোসেন শান্ত
তাওহীদ হৃদয়
সাকিব আল হাসান
মুশফিকুর রহিম
মেহেদী মিরাজ
তাসকিন আহমেদ
মোস্তাফিজুর রহমান
হাসান মাহমুদ
শরিফুল ইসলাম