প্রত্যাবর্তনের ম্যাচে শেষ হাসি হাসা হলো না বেন স্টোকসের। ব্যাট হাতে রান পেয়েছিলেন বটে, তবে পারেননি দলকে জেতাতে। হার দিয়েই নিউজিল্যান্ড সিরিজ শুরু করলো ইংল্যান্ড। আগে ব্যাট করে ২৯১ রান তুলেও জিততে পারেনি থ্রি লায়ন্সরা। ডেভন কনওয়ে ও ডেরিয়েল মিচেলের জোড়া শতকে হেরেছে ৮ উইকেটে।
কার্ডিফে আগে ব্যাট করতে নেমে ভালো শুরুই পেয়েছিল ইংলিশরা, উদ্বোধনী জুটিতে ৮০ রান তুলেছিল ডেভিড মালান ও হ্যারি ব্রুক। তবে দু’জনে ফিরেন ৪ বলের ব্যবধানে। ব্রুকের ব্যাটে ২৫ রান এলেও মালান তুলে নেন ফিফটি, আউট হন ৫৩ বলে ৫৪ রানে। দ্রুত ফেরেন জো রুটও (৬)।
এরপর বেন স্টোকস ও বাটলার মিলে গড়েন ৮৮ রানের জুটি। দু’জনেই তুলে নেন ফিফটি। ফেরার ম্যাচে স্টোকস আউট হন ৬৯ বলে ৫২ রানে, বাটলারের ব্যাটে আসে ইনিংস সর্বোচ্চ ৭২ রান। মাঝে ফিফটি তুলে নেন ছয়ে নামা লিভিংস্টোনও, ৪০ বলে ৫২ রানের ইনিংস খেলেন এই ব্যাটার।
শেষ দিকে ডেভিড উইলির ১১ বলে ২১* রানে ৬ উইকেটে ২৯১ রানের সংগ্রহ পায় ইংল্যান্ড। ৩ উইকেট নেন রাচিন রবিন্দ্র, দুই উইকেট যায় সাউদির ঝুলিতে।
নিউজিল্যান্ডের জয়টা এসেছে স্বাচ্ছন্দ্যেই। রান তাড়ায় উদ্বোধনী জুটিতেই উইল ইয়াং ও কনওয়ে ৬১ রান যোগ করলে রান রেটের চাপটা কমে আসে। ৩৩ বলও ২৯ রান করে আউট হন ইয়াং। তিনে নামা হেনরি নিকোলসের ব্যাটে আসে ৩০ বলে ২৬ রান।
এরপর নিউজিল্যান্ডকে জয়ের বন্দরে নিয়ে যান মিচেল ও কনওয়ে জুটি। কনওয়ের সাথে চতুর্থ উইকেটে ১৫২ বলে ১৮০ রান যোগ করেন মিচেল। দু’জনেই তুলে নেন শতক। যা উভয়ের ওয়ানডে ক্যারিয়ারের চতুর্থ শতক। কনওয়ে ১২১ বল থেকে ১১১ রান ও ৯১ বলে ১১৮ রানে অপরাজিত থাকেন মিচেল।
দু’জনের যুগলবন্দীতে ইংল্যান্ডের রান ৪.২ ওভার বাকি থাকতেই পেরিয়ে যায় নিউজিল্যান্ড। জিতে যায় ৮ উইকেট হাতে রেখেই। এই জয়ে চার ম্যাচের সিরিজে ১-০ তে এগিয়ে গেল নিউজিল্যান্ড।