আগস্ট মাসের আইসিসি প্লেয়ার অব দ্য মান্থ (পুরুষ) নির্বাচিত হয়েছেন পাকিস্তান অধিনায়ক বাবর আজম। মাসসেরার লড়াইয়ে স্বদেশি শাদাব খান ও ক্যারিবীয় ক্রিকেটার নিকোলাস পুরানকে হারান তিনি।
ওয়ানডেতে ব্যাটারদের র্যাঙ্কিংয়ে শীর্ষে থাকা বাবর আজম এ নিয়ে তৃতীয় বারের মতো আইসিসির মাস সেরার পুরস্কার পেলেন। প্লেয়ার অব দ্য মান্থ হওয়ার অনুভূতি ব্যক্ত করে বাবর বলেন, ‘২০২৩ এর আগস্টের সেরা খেলোয়াড় নির্বাচিত হয়ে আমি খুবই আনন্দিত।’
আগস্টে ব্যাট হাতে দুর্দান্ত ছিলেন বাবর আজম। গত মাসে আফগানিস্তানের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজে প্রথম ম্যাচে আলো ছড়াতে পারেননি। তবে পরের দুই ম্যাচে দুটি হাফসেঞ্চুরি হাঁকান পাকিস্তান অধিনায়ক। আর ৩ ম্যাচের সিরিজে আফগানদের হোয়াইটওয়াশ করে ‘গ্রিন ক্যাপ’রা। এরপর গত ৩০শে আগস্ট এশিয়া কাপের উদ্বোধনী ম্যাচে নেপালের বিপক্ষে ১৩১ বলে ১৫১ রানের দুর্দান্ত ইনিংস খেলেন বাবর। এতে ওয়ানডে ইতিহাসে দ্রুততম ১৯টি সেঞ্চুরির মালিক বনে জান তিনি। বাবর বলেন, ‘আগস্ট মাসটি আমার এবং দলের জন্য অসাধারণ ছিল। আমরা দুর্দান্ত কিছু পারফরম্যান্স দেখিয়েছি।পাকিস্তানে এতদিন পর এশিয়া কাপ এসেছে। এটা দারুণ যে, মুলতানের উৎসাহী ও ক্রিকেটপ্রেমী জনতার সামনে খেলাটা দারুণ ছিল। যেদিন মুলতানে আমি দ্বিতীয় ১৫০+ রান করি, আমার লোকদের সামনে, সেটা আমার আনন্দকে দ্বিগুণ করে তুলেছিল।’
এদিকে আগস্টের সেরার মনোনয়ন পাওয়া শাদাব খানও ছিলেন দুর্দান্ত। আফগানিস্তানের বিপক্ষে পাকিস্তানের সিরিজ জয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন তিনি। প্রথম ওয়ানডেতে ব্যাট হাতে ৩৯ বলে ৫০ রানের ইনিংসের পাশাপাশি বল হাতে নেন আফগান ব্যাটার আবদুল রহমানের গুরুত্বপূর্ণ উইকেট। দ্বিতীয় ওয়াডেতে দল যখন বিপর্যয়ে তখন একাই লড়ে গেছেন। ৩৫ বলে তার ৪৮ রানের ইনিংসে ভর করেই ম্যাচটি জিতে পাকিস্তান। শেষ ম্যাচে বল হাতে নেন ৩ উইকেট। এশিয়া কাপের উদ্বোধনী ম্যাচে রেকর্ড বোলিং ফিগার ২৭ রানে নেপালের ৪ উইকেট তুলে নেন শাদাব।
মাসসেরার মনোয়ন পাওয়া নিকোলাস পুরান ভারতের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজ জয়ে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছিলেন। দুর্দান্ত পারফরম্যান্সে হয়েছিলেন সিরিজসেরা। প্রথম ম্যাচে ৪ রানের নাটকীয় জয়ে ব্যাট হাতে পুরান খেলেছিলেন ৩৪ বলে ৪১ রানের ইনিংস। এই ফর্ম তিনি নিয়ে যান দ্বিতীয় ম্যাচেও। ৪০ বলে ৬৭ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলে দলকে এনে দেন জয়। তৃতীয় ও চতুর্থ ম্যাচে ভারত কামব্যাক করলেও শেষ ম্যাচে ব্যাট হাতে আবারও ঝড় তোলেন পুরান। ৩৫ বলে ৪৭ রানের ইনিংস খেলে দলের সিরিজ জয়ে রাখেন বড় অবদান।