বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান বলেছেন, নয়াপল্টনে বিএনপির সম্পূর্ণ শান্তিপূর্ণ মহাসমাবেশ নিয়ে আওয়ামী লীগ সরকার নৃশংস খেলা খেলেছে। পুরো কৌশলটি ছিল পূর্বপরিকল্পিত।
তিনি বলেন, তারা মহাসমাবেশের অনুমতিটিকে অস্বীকার করার পরিবর্তে এই বিশেষ উদ্দেশ্য নিয়েই সভার অনুমতি দিয়েছিল, যাতে তারা গণতন্ত্র ও ভোটাধিকার পুনরুদ্ধারের জন্য বিরোধী দলের ন্যায়সঙ্গত শান্তিপূর্ণ দাবিকে নস্যাৎ করতে পুলিশের ওপর হামলার অজুহাত ব্যবহার করে ঠান্ডা মাথায় নৃশংস হামলা চালাতে পারে।
‘আওয়ামী লীগ সরকার এটা কৌশলে বিরোধীদলের ন্যায্য দাবিকে বাতিল করার জন্য তৈরি করেছে। এর ফলে এক দিনেই বাংলাদেশের পুরো রাজনৈতিক দৃশ্যপট ব্যাপকভাবে বদলে গেছে।’
ঢাকায় বিএনপি নেতৃত্বাধীন বিরোধী দল ও জোটসমূহের মহাসমাবেশে হামলা ও সংঘর্ষের ঘটনার প্রতিক্রিয়ায় তিনি সোমবার (৩০ অক্টোবর) গণমাধ্যমকে এসব কথা বলেন।
ড. মঈন খান বলেন, নয়াপল্টনে বিএনপির সম্পূর্ণ শান্তিপূর্ণ মহাসমাবেশ নিয়ে আওয়ামী লীগ সরকার যে নৃশংস খেলা খেলেছে তাতে অবাক হওয়ার কিছু নেই। বিএনপিকে এই শান্তিপূর্ণ মহাসমাবেশের অনুমতি দেয়ার বিষয়ে সরকার উদাসীন ছিল। তারপরও আগের রাতে প্রয়োজনীয় অনুমতি প্রদান করা হয়। মহাসমাবেশের পশ্চিম প্রান্ত থেকে কাঁদানে গ্যাসের শেল ছোড়া শুরুর আগ পর্যন্ত মহাসমাবেশ পুরোপুরি সুশৃঙ্খল ও শান্তিপূর্ণভাবে ঘণ্টার পর ঘণ্টা চলতে থাকে। তারপর আক্রমণের তীব্রতা বেড়ে যায় এবং বিস্ফোরণ ও গুলির শব্দসহ সহিংস আক্রমণ পুরো জায়গাটিকে একটি যুদ্ধক্ষেত্রে পরিণত করে। এটা স্পষ্ট যে, পুরো কৌশলটি ছিল পূর্বপরিকল্পিত।
তিনি বলেন, সরকার এটা বাংলাদেশের মানুষের মৌলিক অধিকার হরণের জন্যে করছে।
মঈন খান বলেন, সরকার ঢাকা শহরের বিভিন্ন স্থানে সংগঠিত সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের দায় বিএনপির ওপর চাপানোর চেষ্টা করছে, তার গোমর ইতোমধ্যেই ফাঁক হয়ে গেছে। যেখানেই সরকার বাসে আগুন অথবা গ্রেনেড বিস্ফোরণের দায় বিএনপির ওপর চাপিয়ে দেয়ার চেষ্টা করেছে সেখানেই প্রত্যক্ষদর্শীরা বলে দিয়েছে যে সরকারের লোকেরাই এসব ঘটনা ঘটিয়েছে। কাজেই সরকারের ২০১৪ সালের ধোঁকাবাজি যে ১০ বছর পরে আর চলবে না, সেটা সরকার বুঝতে পারেনি। আজ এটা দিবালোকে মতো স্পষ্ট হয়ে গেছে যে এভাবে মিথ্যাচার আর জুলুমবাজি দিয়ে বাংলাদেশের গণতন্ত্রকামী মানুষকে আর দমিয়ে রাখা যাবে না।