‘হলুদ বাটিছে হলুদ বরণী মেয়ে,
হলুদের পাটা হাসিয়া গড়ায় রাঙা অনুরাগে নেয়ে।
দুই হাতে ধরি কঠিন পুতারে ঘষিছে পাটার ’পরে,
কাচের চুড়ি যে রিনিক-ঝিনিকি নাচিছে খুশীর ভরে।‘
কবি জসীমউদ্দীনের কবিতায় বাটাবাটির সুন্দর বর্ণনা থাকলেও আজকাল আর কেউ হলুদ বাটতে চায় না। তবে হলুদ না বাটলেও হলুদ খাওয়া কিন্তু থেমে নেই। আমরা দুই রকম হলুদ ব্যবহার করি—‘পাকা’ আর কাঁচা। ‘পাকা’ হলুদ মানে খাওয়ার হলুদ। সেটা তো রান্নায় ব্যবহার করা হয়, কিন্তু কাঁচা হলুদ গায়ে মাখা ছাড়া আর কীভাবে ব্যবহার করা যায়? কাঁচা হলুদ কিন্তু চা বানিয়েও খেতে পারেন। কিন্তু কেন? কারণ, এর আছে অনেক উপকারিতা। কাঁচা হলুদে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন বি-৬, পটাশিয়াম, ফাইবার, ম্যাগনেশিয়াম ও ভিটামিন সি থাকে। আর থাকে কারকিউমিন, যা বিভিন্ন রোগ থেকে আমাদের বাঁচায়। আয়ুর্বেদশাস্ত্রমতে, হলুদ রক্ত শুদ্ধ করে। এবার জেনে নিই, কাঁচা হলুদের গুণাগুণ।
আদার মতো হলুদের মূল দিয়ে পুষ্টিকর ও সুস্বাদু চা তৈরি যায়। জনস হপকিনস মেডিসিনের একজন অনকোলজি বিশেষজ্ঞ, ক্লিনিক্যাল ডায়েটিশিয়ান ও পুষ্টিবিদ, মেরি-ইভ ব্রাউন কাঁচা হলুদের প্রস্তুত প্রণালি দিয়েছেন এভাবে—