প্রাচীনকাল থেকে চিয়া সিড মানুষের রসনা তৃপ্ত করে আসছে। অ্যাজটেক এবং মায়ান সভ্যতার সময়ে চিয়া সিড খাবার প্রচলন ছিল বলে প্রমাণ পাওয়া যায়। ক্ষুধা মেটানোর পাশাপাশি চিয়া সিড রূপচর্চায়ও ব্যবহার করা হতো। এর অনেক ঔষধিগুণ আছে বলে বিশ্বাস করত অ্যাজটেক ও মায়ান আদিবাসীরা। সে কারণে সাধারণ অসুখে চিয়া সিড খাবার প্রচলন ছিল তাদের মধ্যে। এ ছাড়াও চিয়া সিড ওজন কমানোর পাশাপাশি ত্বক ও চুলের জন্যও বেশ উপকারী। পাশাপাশি দেহে প্রয়োজনীয় পুষ্টির চাহিদা পূরণ করে।
পুষ্টিবিদরা চিয়া সিডকে সুপারফুড নামে ডাকতে ভালোবাসেন। কারণ এতে ফাইবার, ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড এবং বিভিন্ন প্রয়োজনীয় খনিজ পদার্থে ভরপুর চিয়া সিড। পুষ্টিগুণের কারণেই চিয়া সিডের চাহিদা অনেক। নিয়মিত চিয়া সিড খেলে আপনি ওজন কমাতে পারবেন খুব সহজেই। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে এক গ্লাস পানি এক চামচ চিয়া সিড ভিজিয়ে খাওয়ার পরামর্শ দেয় পুষ্টিবিদরা। কেউ সেটা সকালে খান, আবার কেউ রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে। তবে, চিয়া সিড খাওয়া ক্ষেত্রে ছোট্ট টিপস মানতে হবে। চিয়া সিড পানি বা দুধে ভিজিয়ে খেলে তবেই এর পুষ্টিগুণ পাওয়া যায়।
কিন্তু চিয়া সিড ভেজানো পানি খাওয়া ছাড়াও এই বীজ খাওয়া যায় বিভিন্ন উপায়ে-
* পানির পাশাপাশি আপনি দুধে চিয়া সিড ভিজিয়ে খেতে পারেন। কিন্তু এভাবে অনেকেই খেতে পারেন না। তাই দুধে চিয়া সিডের সঙ্গে মধু মিশিয়ে সারারাত রেখে দিন। পরদিন সকালে এতে ড্রাই ফ্রুটস ও তাজা ফল দিয়ে খান। চিয়া সিডের এই পুডিং আপনার ব্রেকফাস্টের অংশ হতে পারে।
* আগের দিন রাতে চিয়া সিড পানিতে ভেজাতে ভুলে গেলেও চিন্তার কোনো কারণ নেই। ফলের রস বা স্মুদি বানানোর সময় ১/২ চামচ চিয়া সিড মিশিয়ে দিন। এতে আপনার পানীয়ের পুষ্টিগুণ বেড়ে যাবে, পাশাপাশি আপনার চিয়া খাওয়াও হয়ে যাবে।
* বাড়িতে কেক, কুকিজ তৈরি করলে ডিমের বদলে ভেজানো চিয়া সিড মেশান কেকের ব্যাটারে। যারা ‘এগলেস’ কেক বা মাফিন খেতে পছন্দ করেন, তারা ব্যাটার দইয়ের বদলে চিয়া সিড ব্যবহার করুন।