রাজধানীর রমনা ও পল্টন থানায় দায়ের হওয়া ৯টি মামলায় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলামকে জামিন দিয়েছেন আদালত।
বুধবার ঢাকার অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর হাকিম মো. সুলতান সোহাগ উদ্দিন আদেশ দেন।
১০ হাজার টাকার বন্ডে তার জামিন মঞ্জুর করা হয়।জামিন পেলেও আরও দুটি মামলায় জামিন না মেলায় এখনই মুক্তি পাচ্ছেন না ফখরুল।
এদিন মির্জা ফখরুলকে আদালতে আনা হয়নি।
এর আগে মঙ্গলবার ৯ মামলায় মির্জা ফখরুলের জামিন আবেদনের শুনানির জন্য আজকের দিন ধার্য করেন আদালত।
ফখরুলের আইনজীবীদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে মঙ্গলবার নয়টি মামলায় তার জামিনের বিষয়ে শুনানির দিন ধার্য ছিল। এদিন বেলা পৌনে ১২টার দিকে কারাগার থেকে ফখরুলকে আদালতে হাজির করা হয়। ওইদিনই আদালত বলেন, শুনানিতে ফখরুলের স্বশরীরে উপস্থিতি জরুরি নয়।
শুনানি চলার সময়ে মামলাগুলোতে ফখরুলকে গ্রেফতার দেখানোর আবেদন করা হয়। আর ফখরুলের আইনজীবী আসাদুজ্জামান তার জামিন চান। উভয় পক্ষের শুনানি নিয়ে বিচারক দুপুর ১টার ৫০ মিনিটের দিকে আদেশ দেন।
এর আগ আজ প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলার ঘটনায় পুলিশের মামলায় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে কেন জামিন দেওয়া হবে না, তা জানতে চাওয়া রুল খারিজ করে দিয়েছেন হাইকোর্ট। এর ফলে তার জামিন মেলেনি বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা।
বুধবার বিচারপতি মো. সেলিম ও বিচারপতি শাহেদ নূরউদ্দিনের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন।
আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন সিনিয়র আইনজীবী জয়নুল আবেদীনসহ বিএনপি একাধিক আইনজীবী।
গত ২৮ অক্টোবরের মহাসমাবেশ চলাকালে বিএনপি নেতাকর্মীদের সঙ্গে সংঘর্ষের সময় প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলার ঘটনায় রমনা থানায় পুলিশ বাদী হয়ে মামলা করে। ওই মামলায় মির্জা ফখরুল ছাড়াও দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসসহ ৫৯ নেতাকর্মীকে আসামি করা হয়।
ফখরুল-আব্বাস ছাড়াও মামলার উল্লেখযোগ্য আসামিরা হলেন– বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু, আবদুল আওয়াল মিন্টু, আহমেদ খান, অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন, নিতাই রায় চৌধুরী, শামসুজ্জামান দুদু, এয়ার ভাইস মার্শাল (অব.) আলতাফ হোসেন চৌধুরী, ব্যারিস্টার শাহজাহান ওমর, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক আব্দুস সালাম, ভিপি জয়নাল, মহানগর উত্তর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক ফরহাদ হালিম ডোনার ও সদস্য সচিব আমিনুল হক।