শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ০২:৩০ অপরাহ্ন

প্রতিদিন ১ চা চামচ হলুদ খেলে মিলবে উপকার

বিডি ডেইলি অনলাইন ডেস্ক :
  • আপডেট টাইম : বৃহস্পতিবার, ১ ফেব্রুয়ারী, ২০২৪
  • ৯৮ বার

হলুদকে বলা হয় জাদুকরী মসলা। কারণ এর রয়েছে অসংখ্য স্বাস্থ্য উপকারিতা। এই মসলা বহু প্রাচীনকাল থেকে ভেষজ ওষুধ হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। লিভারের সুরক্ষা, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি এবং আর্থ্রাইটিস দূর করার ক্ষেত্রে হলুদের কার্যকারিতা রয়েছে। আপনার প্রতিদিনের খাবারে এক চা চামচ হলুদ যোগ করলে তা স্বাস্থ্যের উন্নতি করবে। চলুন জেনে নেওয়া যাক, প্রতিদিন এক চা চামচ হলুদ খেলে কী হয়-

১. কার্ডিওভাসকুলার সমস্যা কমাতে সাহায্য করে

বেশ কিছু গবেষণায় হলুদে থাকা কারকিউমিন হৃদরোগের জন্য উপকারী বলে প্রমাণিত হয়েছে। এর প্রদাহ-বিরোধী এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বৈশিষ্ট্যের কারণে এটি হৃদরোগ থেকে আপনাকে দূরে থাকতে সাহায্য করে। রিসার্চ ট্রাস্টেড সোর্সের গবেষণা অনুসারে কারকিউমিন রক্তকে পাতলা করতে, কোলেস্টেরল কমাতে এবং ধমনীকে সংকুচিত হতে সাহায্য করে। এটি বিভিন্ন কার্ডিওভাসকুলার সমস্যার বিরুদ্ধে প্রতিরক্ষার একটি স্তর তৈরি করে। এছাড়া এটি কার্ডিয়াক ইনজুরির বিভিন্ন প্রকারের ক্ষতির পরিমাণ কমিয়ে দিতে পারে।

২. ক্যানসার প্রতিরোধ করে

হলুদে থাকা কারকিউমিন এর ক্যান্সার বিরোধী প্রভাবের জন্য পরিচিত। কারকিউমিন কোষের ক্ষতি এবং পরবর্তী মিউটেশন এবংক্যানসারের ঝুঁকি কমায় বলে মনে করা হয়। কারণ এটি একটি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি বৈশিষ্ট্য সমৃদ্ধ। বেশ কয়েকটি গবেষণায় দেখা গেছে, কারকিউমিনের টিউমার-বিরোধী প্রভাবও রয়েছে, যা টিউমার গঠন এবং বিপজ্জনক কোষের বিস্তারকে বাধা দেয়। ২০১৪ সালের একটি চিকিৎসা মূল্যায়নে দেখা গেছে যে কারকিউমিন এবং ক্যান্সার শব্দ দুটি ২,০০০টি প্রকাশিত গবেষণায় ব্যবহৃত হয়েছে। ক্যান্সারের চিকিৎসা হিসাবে বিকিরণ এবং কেমোথেরাপির সঙ্গে কারকিউমিনের ব্যবহার নিয়ে এখন গবেষকরা গবেষণা করছেন।

৩. প্রদাহ বন্ধ করে

হলুদের শক্তিশালী অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি গুণাবলী একটি সুরক্ষা স্তর তৈরি করে। হলুদ পুরো শরীরের সুস্থতার জন্য একটি শক্তিশালী ভেষজ কারণ কারকিউমিন বিভিন্ন উপায়ে প্রদাহজনক পথকে নিয়ন্ত্রণ করে। ২০১১ সালে প্রাকৃতিক পণ্য রিপোর্ট বৈজ্ঞানিক পর্যালোচনা বলে যে, কারকিউমিন সরাসরি প্রো-ইনফ্ল্যামেটরি মধ্যস্থতাকারীদের ক্রিয়া নিয়ন্ত্রণ করে এবং কার্যকরভাবে প্রো-ইনফ্ল্যামেটরি জিনগুলোকে বন্ধ করে। এটি শরীরের প্রদাহ প্রতিরোধ করে যা সমস্ত অসুস্থতার মূল কারণ।

৪. রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী করে

হলুদ, আদা এবং গোল মরিচ দিয়ে তৈরি চা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর জন্য সবচেয়ে কার্যকর ঐতিহ্যবাহী আয়ুর্বেদিক চিকিৎসাগুলোর মধ্যে একটি। কারকিউমিনের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি ক্ষমতা এই কাজে সাহায্য করে। যদিও কারকিউমিন রক্তপ্রবাহে খুব ভালোভাবে শোষণ করে না, গোল মরিচের সঙ্গে হলুদ মিশিয়ে খেলে তা শোষণকে উন্নত করে। কারণ গোল মরিচে থাকা পিপারিন এই শোষণে সহায়তা করে।

৫. ওজন কমাতে সাহায্য করে

ইউরোপিয়ান রিভিউ ফর মেডিক্যাল অ্যান্ড ফার্মাকোলজিক্যাল সায়েন্স ২০১৫ সালে একটি সমীক্ষা প্রকাশ করেছে, যা স্থুল প্রাপ্তবয়স্কদের ক্ষেত্রে প্রথম ৩০ দিনে বডি মাস ইনডেক্সে ২ শতাংশ পর্যন্ত এবং ৬০ দিনের পরে ৫-৬% বা ৪ শতাংশেরও বেশি পরিবর্তন দেখিয়েছে। তার প্রতিদিন কঠোর ডায়েটের পাশাপাশি ৯৫ শতাংশ কারকিউমিন সমৃদ্ধ ৮০০ মিলিগ্রাম সম্পূরক গ্রহণ করেছিলেন। অনেকে হলুদের স্বাদ পছন্দ করতে পারেন না। কিন্তু এর উপকারিতার কথা চিন্তা করলে তা আপনাকে হলুদের স্বাদ পছন্দ করতে সাহায্য করবে। এই ভেষজের শক্তিশালী অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট গুণাবলী ওজন কমাতে সাহায্য করে।

৬. অন্ত্রের স্বাস্থ্য ভালো রাখে

গলব্লাডার এবং অন্যান্য পাচক এনজাইমগুলোতে পিত্তের উৎপাদন বৃদ্ধি করার ক্ষমতার কারণে হলুদ হজমের উন্নতি করে। হলুদ বিপাক বাড়ায়।

নিউজটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved © 2019 bangladeshdailyonline.com
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com