বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘বর্তমান সরকার মুখে গণতন্ত্রের কথা বলে ভিন্ন কায়দায় ও ছদ্মবেশে একদলীয় শাসন ব্যবস্থা চাপিয়ে দিচ্ছে।’
সোমবার (২৫ মার্চ) রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সামনে এক সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দল এই সমাবেশের আয়োজন করে।
বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানকে শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘যে আকাঙ্ক্ষা আর স্বপ্ন নিয়ে মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলাম, সেই আকাঙ্ক্ষা ছিল একটি গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ। আমাদের গণমানুষেরা নিজেদের প্রতিনিধি নির্বাচিত করবে ভোটের মাধ্যমে। শান্তিতে বসবাস করতে পারবে, কথা বলতে ও লিখতে পারবে স্বাধীনভাবে। সেই আশা ও ভরসা নিয়ে সারাদেশের মানুষ যুদ্ধকে সমর্থন দিয়েছিল। সংবিধানে স্পষ্ট বলা আছে, দেশের মালিক জনগণ। কিন্তু ৫২ বছর পর সেই বাংলাদেশের মানুষ তার মালিকানা হারিয়ে ফেলেছে।’
২০১৪ সালে নির্বাচনে কেউ অংশ নেয়নি, কেউ যেন অংশ নিতে না পারে সেই ব্যবস্থা করেছিল সরকার- এমন অভিযোগ করে তিনি বলেন, ‘২০১৮ সালে রাতে নির্বাচন করেছে। আর এবার এক নাটকীয় মাধ্যমে নিজেরা ডামি প্রার্থী দিয়ে নিজেরাই ভোট করেছে। বিরোধী দল হিসেবে যারা দাবি করে, তাদেরও আসন কর্তন করা হয়েছে। এ নির্বাচন কেউ গ্রহণ করেনি। দেশের জনগণ ভোট দেয়নি। এমনকি বিশ্ব এই নির্বাচন গ্রহণ করেনি।’
একটি শাসক গোষ্ঠী এই দেশের মানুষের বুকের ওপরে চেপে ধরে বসে আছে এমন মন্তব্য করে বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘এদের কোনো নৈতিক অধিকার নেই, শাসনতন্ত্র ও সাংবিধানিক অধিকার নেই চেয়ারগুলোতে বসে থাকার, শাসন করবার।’
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মেজর অবসরপ্রাপ্ত হাফিজ উদ্দিন আহমেদ বীর বিক্রমের সভাপতিত্বে মুক্তিযোদ্ধা সমাবেশে উদ্বোধনী বক্তব্য রাখেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী।
এছাড়াও বক্তব্য রাখেন চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জয়নুল আবেদিন ফারুক, যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানি, মুক্তিযোদ্ধা দলের সভাপতি ইশতিয়াক আজিজ উলফাৎ, সাধারণ সম্পাদক সাদেক খান প্রমুখ।